কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের শ্রীবল্লভ কবিরাজপাড়া বড়ুয়া এলাকায় নির্মিত সেতুটি ২০১৮ সালের বন্যায় ভেঙে যাওয়ার পর দীর্ঘ আট বছরেও সংস্কার হয়নি। এর ফলে ২০টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
তবকপুর ও রানীগঞ্জ ইউনিয়নের মানুষের মূল যাতায়াতের মাধ্যম এই সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। ভেঙে যাওয়া সেতুটির স্থানে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিশেষ করে ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায়। ভয়ে অনেক শিশু বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুরভী আক্তার ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরশি আক্তার জানায়, ড্রামের ভেলায় পারাপার হতে গিয়ে তারা সব সময় আতঙ্কে থাকে।
স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে পানির ওপর ড্রামের ভেলা তৈরি করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পারাপার হচ্ছেন। ভারী যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ। পথচারীরা ভেলা বা কৃষিজমির আইল ধরে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা শেয়ার আলীসহ অনেকেই অভিযোগ করেন, আট বছর ধরে চলা এই ভোগান্তি নিরসনে জনপ্রতিনিধি বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই। তারা দ্রুত সেতু তৈরির দাবি জানিয়েছেন।
কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও প্রকল্পের জটিলতা সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ার পেছনে কর্তৃপক্ষ দায়ি। এ কারনে উদাসীনতা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকে দায়ী করছেন এলাকাবাসী।
উপজেলা প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার জানিয়েছেন, নতুন করে সেতুর প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে এবং বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে। ইউএনও’র আশ্বাস: উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নয়ন কুমার সাহা নিশ্চিত করেছেন যে, ব্রিজটি ‘সাপোর্টিং রুরাল ব্রীজ প্রকল্পে’র ডিপিপিভুক্ত রয়েছে।
প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লে এটির অনুমোদন পাওয়া যাবে। তবে, প্রকল্প অনুমোদনের এই দীর্ঘসূত্রিতা ও অনিশ্চয়তা ২০ গ্রামের ৪০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়াচ্ছে। দ্রুত সেতুটি পুনর্র্নিমাণ করে স্বাভাবিক জনজীবন ফিরিয়ে আনার দাবি উঠেছে।
এএস/

আজ কবি অনিতা আন্দন কবিতার জন্মদিন
উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি 























