ঢাকা , বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
Logo আজ কবি অনিতা আন্দন কবিতার জন্মদিন Logo মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ তরুণের মৃত্যু Logo ময়মনসিংহে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আগামীকাল সাক্ষাৎ চান ৮ দলের নেতারা Logo ভারতের বিপক্ষে জয় দিয়ে বছরটা শেষ করতে চাই: রাকিব Logo সোনারগাঁয়ের পলিথিন বর্জের কারণে জনস্বাস্থ্য পরিবেশ হুমকিতে  Logo মীর স্নিগ্ধর স্ক্রিপ্ট কে লিখে দেন, জানতে চাইলেন শাওন Logo ইসলামী আন্দোলনের সাবেক মহাসচিব মাওলানা নুরুল হুদা মারা গেছেন Logo নড়াইল-২ আসনে মনিরুল ইসলামকে মনোনয়ন দাবিতে সমাবেশ: বহিরাগত প্রার্থী বর্জনের হুঁশিয়ারি

কিমের সামরিক শো, নজরে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র

উত্তর কোরিয়ার শাসক দল ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়া (ডব্লিউপিকে) এবার ৮০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন করছে। এই উপলক্ষে রাজধানী পিয়ংইয়ং সাজছে উৎসবের সাজে। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন আয়োজন করছেন এক বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজ ও বিদেশি অতিথিদের জন্য জাঁকজমকপূর্ণ সংবর্ধনা।

দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, কিম মাসের পর মাস ধরে এই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে অনুষ্ঠিত হবে কুচকাওয়াজটি, যেখানে অংশ নেবে কয়েক হাজার সেনা ও নাগরিক। বড় জাতীয় দিবসগুলোতে এমন বিশাল জনসমাগম ও সামরিক প্রদর্শনী উত্তর কোরিয়ায় সাধারণ ঘটনা।

ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়া উত্তর কোরিয়ার একমাত্র রাজনৈতিক দল। দলটি সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারার সঙ্গে কিম পরিবারের তিন প্রজন্মের আদর্শকে মিশিয়ে দেশ পরিচালনা করছে।

বিশ্লেষকদের ধারণা, এবারের প্যারেডে কিম জং উন দেখাবেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধুনিক অস্ত্র। এর মধ্যে থাকতে পারে নতুন প্রজন্মের আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ‘হোয়াসং-২০’, হাইপারসনিক গ্লাইড যান ‘হোয়াসং-১১ মা’, এবং অন্যান্য উন্নত অস্ত্র।

গত মাসে কিম উপস্থিত ছিলেন সলিড ফুয়েলচালিত রকেট ইঞ্জিন পরীক্ষায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই প্রযুক্তি আগের তরল জ্বালানিচালিত ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে অনেক স্থিতিশীল ও দ্রুত প্রস্তুতযোগ্য। কয়েক মিনিটের মধ্যে এটি উৎক্ষেপণ করা সম্ভব।

সপ্তাহখানেক আগে কিম উপস্থিত ছিলেন এক অস্ত্র প্রদর্শনীতে, যেখানে দেখানো হয় হাইপারসনিক ওয়ারহেডযুক্ত স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ‘হোয়াসং-১১ মা’। উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানায়, এই ক্ষেপণাস্ত্রের সর্বোচ্চ পাল্লা প্রায় ৮০০ কিলোমিটার।

ইউনিফিকেশনের বিশ্লেষক হং মিন বলেন, এবারের প্যারেডে কিম নতুন ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত অস্ত্র, ড্রোন ও মানববিহীন যুদ্ধযানও প্রদর্শন করতে পারেন। তাঁর মতে, ‘এবার শুধু সংখ্যায় নয়, প্রযুক্তিগত দিক থেকেও নজরকাড়া অস্ত্র দেখা যাবে।’

এই অনুষ্ঠান হচ্ছে এমন এক সময়, যখন কিম সম্প্রতি চীন সফর করে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করেছেন। এই সফরে তিন দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হয়।

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফ্রান্সে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবেন ম্যাক্রোঁ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফ্রান্সে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবেন ম্যাক্রোঁ
চীন ও রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে উত্তর কোরিয়ার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মিত্র। গত বছর এই দুই দেশ পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করে। এরপর থেকে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। পশ্চিমা সূত্র অনুযায়ী, কিম রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তা হিসেবে হাজারো সৈন্য, ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠিয়েছেন।

এ সম্পর্কের প্রতীক হিসেবেই পিয়ংইয়ংয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং ও রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, প্যারেডে থাকবে বিশাল গণজিমন্যাস্টিকস প্রদর্শনীও।

এ ছাড়া ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা তো ল্যাম ও লাওসের প্রেসিডেন্ট থংলুন সিসৌলিথও উপস্থিত থাকবেন। লাওস প্রেসিডেন্টের জন্য ইতোমধ্যে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ ভোজসভা ও ২১ বার বন্দুক স্যালুট।

উত্তর কোরিয়ার সব বড় অনুষ্ঠানেই গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা থাকে কঠোর। সিএনএনের সাংবাদিক উইল রিপলি ১০ বছর আগে একই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে লিখেছিলেন, ‘কেউ জানত না ঠিক কখন অনুষ্ঠান শুরু হবে। বিদেশিদের রাখা হয়েছিল একটি দ্বীপে অবস্থিত হোটেলে, যেখান থেকে শহরে অবাধে যাওয়া যেত না।’

তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকদের অনুষ্ঠানে যেতে হয় বহু ধাপের নিরাপত্তা তল্লাশি পেরিয়ে। মোবাইল ও ল্যাপটপ রাখতে হয় বাইরে। এরপর শুরু হয় বিশাল কুচকাওয়াজ—হাজার হাজার সেনা একসঙ্গে মার্চ করে, আর তাদের ছন্দময় পদক্ষেপে ভরে যায় পুরো মাঠ।

সাম্প্রতিক সময়ে কিম জং উন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি নতুন করে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রধান উদ্বেগের জায়গাগুলোতে বিশেষ সামরিক সম্পদ মোতায়েন করেছি।’

দক্ষিণ কোরিয়ার কিয়ংনাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লিম ইউল-চুল মনে করেন, কিমের ‘বিশেষ সম্পদ’ বলতে বোঝানো হচ্ছে পারমাণবিক অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্র, হাইপারসনিক মিসাইল, এআই-চালিত ড্রোন ও সাইবার সক্ষমতা।

তার মতে, কিমের এই বক্তব্য সরাসরি ইঙ্গিত দেয় যে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলো উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।

তবে সাম্প্রতিক এক মন্তব্যে কিম জানান, তাঁর এখনো ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের স্মৃতি’ আছে এবং যুক্তরাষ্ট্র যদি পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে জোর না দেয়, তাহলে তিনি সংলাপে রাজি আছেন।

ভাই হিসেবে সবসময় রাশিয়ার পাশে থাকব: কিমভাই হিসেবে সবসময় রাশিয়ার পাশে থাকব: কিম
এ মাসের শেষে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলন। এতে যোগ দেওয়ার কথা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। এতে ট্রাম্প ও কিমের সম্ভাব্য পুনরায় সাক্ষাতের জল্পনা শুরু হয়েছে—যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক কিছু জানানো হয়নি।

ট্রাম্প গত মাসে বলেছিলেন, ‘আমি কিমের সঙ্গে দেখা করতে রাজি। আমরা কথা বলব, এবং সম্পর্ক আরও ভালো করব।’

সব মিলিয়ে, ওয়ার্কার্স পার্টির ৮০ বছরপূর্তি শুধু একটি উৎসব নয়- এটি কিম জং উনের জন্য তাঁর সামরিক শক্তি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও নেতৃত্বের প্রভাব প্রদর্শনের এক গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হয়ে উঠছে।

আর

আজ কবি অনিতা আন্দন কবিতার জন্মদিন

কিমের সামরিক শো, নজরে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র

আপডেট সময় ১০:১৬:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

উত্তর কোরিয়ার শাসক দল ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়া (ডব্লিউপিকে) এবার ৮০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন করছে। এই উপলক্ষে রাজধানী পিয়ংইয়ং সাজছে উৎসবের সাজে। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন আয়োজন করছেন এক বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজ ও বিদেশি অতিথিদের জন্য জাঁকজমকপূর্ণ সংবর্ধনা।

দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, কিম মাসের পর মাস ধরে এই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে অনুষ্ঠিত হবে কুচকাওয়াজটি, যেখানে অংশ নেবে কয়েক হাজার সেনা ও নাগরিক। বড় জাতীয় দিবসগুলোতে এমন বিশাল জনসমাগম ও সামরিক প্রদর্শনী উত্তর কোরিয়ায় সাধারণ ঘটনা।

ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়া উত্তর কোরিয়ার একমাত্র রাজনৈতিক দল। দলটি সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারার সঙ্গে কিম পরিবারের তিন প্রজন্মের আদর্শকে মিশিয়ে দেশ পরিচালনা করছে।

বিশ্লেষকদের ধারণা, এবারের প্যারেডে কিম জং উন দেখাবেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধুনিক অস্ত্র। এর মধ্যে থাকতে পারে নতুন প্রজন্মের আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ‘হোয়াসং-২০’, হাইপারসনিক গ্লাইড যান ‘হোয়াসং-১১ মা’, এবং অন্যান্য উন্নত অস্ত্র।

গত মাসে কিম উপস্থিত ছিলেন সলিড ফুয়েলচালিত রকেট ইঞ্জিন পরীক্ষায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই প্রযুক্তি আগের তরল জ্বালানিচালিত ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে অনেক স্থিতিশীল ও দ্রুত প্রস্তুতযোগ্য। কয়েক মিনিটের মধ্যে এটি উৎক্ষেপণ করা সম্ভব।

সপ্তাহখানেক আগে কিম উপস্থিত ছিলেন এক অস্ত্র প্রদর্শনীতে, যেখানে দেখানো হয় হাইপারসনিক ওয়ারহেডযুক্ত স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ‘হোয়াসং-১১ মা’। উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানায়, এই ক্ষেপণাস্ত্রের সর্বোচ্চ পাল্লা প্রায় ৮০০ কিলোমিটার।

ইউনিফিকেশনের বিশ্লেষক হং মিন বলেন, এবারের প্যারেডে কিম নতুন ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত অস্ত্র, ড্রোন ও মানববিহীন যুদ্ধযানও প্রদর্শন করতে পারেন। তাঁর মতে, ‘এবার শুধু সংখ্যায় নয়, প্রযুক্তিগত দিক থেকেও নজরকাড়া অস্ত্র দেখা যাবে।’

এই অনুষ্ঠান হচ্ছে এমন এক সময়, যখন কিম সম্প্রতি চীন সফর করে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করেছেন। এই সফরে তিন দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হয়।

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফ্রান্সে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবেন ম্যাক্রোঁ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফ্রান্সে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবেন ম্যাক্রোঁ
চীন ও রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে উত্তর কোরিয়ার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মিত্র। গত বছর এই দুই দেশ পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করে। এরপর থেকে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। পশ্চিমা সূত্র অনুযায়ী, কিম রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তা হিসেবে হাজারো সৈন্য, ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠিয়েছেন।

এ সম্পর্কের প্রতীক হিসেবেই পিয়ংইয়ংয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং ও রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, প্যারেডে থাকবে বিশাল গণজিমন্যাস্টিকস প্রদর্শনীও।

এ ছাড়া ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা তো ল্যাম ও লাওসের প্রেসিডেন্ট থংলুন সিসৌলিথও উপস্থিত থাকবেন। লাওস প্রেসিডেন্টের জন্য ইতোমধ্যে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ ভোজসভা ও ২১ বার বন্দুক স্যালুট।

উত্তর কোরিয়ার সব বড় অনুষ্ঠানেই গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা থাকে কঠোর। সিএনএনের সাংবাদিক উইল রিপলি ১০ বছর আগে একই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে লিখেছিলেন, ‘কেউ জানত না ঠিক কখন অনুষ্ঠান শুরু হবে। বিদেশিদের রাখা হয়েছিল একটি দ্বীপে অবস্থিত হোটেলে, যেখান থেকে শহরে অবাধে যাওয়া যেত না।’

তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকদের অনুষ্ঠানে যেতে হয় বহু ধাপের নিরাপত্তা তল্লাশি পেরিয়ে। মোবাইল ও ল্যাপটপ রাখতে হয় বাইরে। এরপর শুরু হয় বিশাল কুচকাওয়াজ—হাজার হাজার সেনা একসঙ্গে মার্চ করে, আর তাদের ছন্দময় পদক্ষেপে ভরে যায় পুরো মাঠ।

সাম্প্রতিক সময়ে কিম জং উন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি নতুন করে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রধান উদ্বেগের জায়গাগুলোতে বিশেষ সামরিক সম্পদ মোতায়েন করেছি।’

দক্ষিণ কোরিয়ার কিয়ংনাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লিম ইউল-চুল মনে করেন, কিমের ‘বিশেষ সম্পদ’ বলতে বোঝানো হচ্ছে পারমাণবিক অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্র, হাইপারসনিক মিসাইল, এআই-চালিত ড্রোন ও সাইবার সক্ষমতা।

তার মতে, কিমের এই বক্তব্য সরাসরি ইঙ্গিত দেয় যে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলো উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।

তবে সাম্প্রতিক এক মন্তব্যে কিম জানান, তাঁর এখনো ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের স্মৃতি’ আছে এবং যুক্তরাষ্ট্র যদি পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে জোর না দেয়, তাহলে তিনি সংলাপে রাজি আছেন।

ভাই হিসেবে সবসময় রাশিয়ার পাশে থাকব: কিমভাই হিসেবে সবসময় রাশিয়ার পাশে থাকব: কিম
এ মাসের শেষে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলন। এতে যোগ দেওয়ার কথা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। এতে ট্রাম্প ও কিমের সম্ভাব্য পুনরায় সাক্ষাতের জল্পনা শুরু হয়েছে—যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক কিছু জানানো হয়নি।

ট্রাম্প গত মাসে বলেছিলেন, ‘আমি কিমের সঙ্গে দেখা করতে রাজি। আমরা কথা বলব, এবং সম্পর্ক আরও ভালো করব।’

সব মিলিয়ে, ওয়ার্কার্স পার্টির ৮০ বছরপূর্তি শুধু একটি উৎসব নয়- এটি কিম জং উনের জন্য তাঁর সামরিক শক্তি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও নেতৃত্বের প্রভাব প্রদর্শনের এক গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হয়ে উঠছে।

আর