ঢাকা , বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
Logo সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে শক্ত অবস্থানে থাকার আহ্বান মঈন খানের Logo সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে ফুটবল বিশ্বকাপে দেড় লাখ জনসংখ্যার কুরাসাও Logo ফের কমল স্বর্ণের দাম, আজ থেকে কার্যকর Logo শেখ মুজিব দেশকে পাকিস্তানের বদলে ভারত বানিয়েছিল: রাশেদ প্রধান Logo আদানি গ্রুপের সিঙ্গাপুরে সালিশি কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা Logo সংস্কারের একক দাবি সংকীর্ণ মানসিকতা, ৩১ দফায় তা চূড়ান্ত হয়েছে: মির্জা ফখরুল Logo চানখারপুলে ছয় হত্যায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য শেষ, জেরা ২৩ নভেম্বর Logo টাকা খরচ না করেও কি নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া যায় প্রশ্ন মির্জা গালিবের Logo কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ Logo সিঙ্গাপুর ম্যাচের বাংলাদেশ দলে নেই রাকিব-তপু

অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে নেই চক্ষু বিশেষজ্ঞ, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম

দেশের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে চক্ষু রোগীদের জন্য নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। ফলে চোখ ভালোবেসে, অন্ধত্ব প্রতিরোধে ঢাকামুখী হতে হচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসচ্ছল রোগীদের। তবে বেশিরভাগ চক্ষু রোগীর এই সেবা থেকে বঞ্চিত হবার অভিযোগ রয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ‘বিশ্ব দৃষ্টিশক্তি দিবস’। ‘আপনার চোখকে ভালোবাসুন’ এই স্লোগানে বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি। তবে শুধু দিবস পালন নয়, সারা দেশেই চোখের চিকিৎসার জন্য আধুনিক হাসপাতালের দাবি জানিয়েছেন রোগীরা।

চোখের চিকিৎসা নিতে বিশ্ব দৃষ্টিশক্তি দিবসের ঠিক সাত দিন আগে খুলনা থেকে ঢাকায় আসা অসচ্ছল নারী আজমিরা আক্তারের সঙ্গে কথা হয় সময় সংবাদের। টানা তিন দিন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তার চোখের ত্রুটি শনাক্ত করেন।

আজমিরা বলেন, ‘ডাক্তার বলেছেন চোখের পুর্ণাঙ্গ চিকিৎসা শেষ করতে আরও কিছুদিন থাকা লাগবে। কিন্তু ঢাকায় কোনো আত্মীয়-স্বজন নেই। তাই হাসপাতালের বারান্দায় থাকছি। জেলায় চোখের চিকিৎসার জন্য আধুনিক হাসপাতাল থাকলে আমাদের জন্য ভালো হতো।

শুধু আজমিরা নন, সারা দেশ থেকে প্রতিদিন শত-শত রোগী চিকিৎসার জন্য ছুটে আসেন রাজধানীতে। রোগীরা বলছেন, বিভাগীয় পর্যায়ে বিশেষায়িত হাসপাতালের সেবা সম্প্রসারণ করা না গেলে এই ভোগান্তি কমবে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামান্য অবহেলায় দৃষ্টিশক্তিজনিত রোগ বড় আকার ধারণ করে। যার শেষ পরিণতি অন্ধত্ব।

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক জান-ই-আলম মৃধা বলেন, ‘বিভাগীয়, জেলা কিংবা উপজেলায় সরকারি পর্যায়ে চোখের চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, আধুনিক যন্ত্রপাতির আভাব এবং লোকবল সংকট রয়েছে।’

পরিসংখ্যান তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক খায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘দেশে প্রতি পাঁচজনে একজন দৃষ্টি শক্তির ত্রুটি নিয়ে বসবাস করছেন। প্রতি ১০০ জনের মধ্যে একজনের দুই চোখই অন্ধ। আবার প্রতি ১০০ জনের মধ্যে তিনজনের এক চোখ অন্ধ।’

চিকিৎসা সেবার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সব জেলায় সরকারি হাসপাতালে চক্ষু চিকৎসার ব্যবস্থা নেই। তবে ৩০টিরও বেশি জেলায় চোখের চিকিৎসকরা সেবা দিচ্ছেন। আমাদের লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আরও ২৫০ উপজেলায় চোখের চিকিৎসা পৌঁছে দেয়া।’

বাংলাদেশে গত ২০ বছরে অন্ধত্বের হার ১.৫৩ শতাংশ থেকে কমে ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরও কমে আসবে বলেও জানান তিনি।

এএস/

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে শক্ত অবস্থানে থাকার আহ্বান মঈন খানের

অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে নেই চক্ষু বিশেষজ্ঞ, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম

আপডেট সময় ০১:৫৬:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

দেশের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে চক্ষু রোগীদের জন্য নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। ফলে চোখ ভালোবেসে, অন্ধত্ব প্রতিরোধে ঢাকামুখী হতে হচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসচ্ছল রোগীদের। তবে বেশিরভাগ চক্ষু রোগীর এই সেবা থেকে বঞ্চিত হবার অভিযোগ রয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ‘বিশ্ব দৃষ্টিশক্তি দিবস’। ‘আপনার চোখকে ভালোবাসুন’ এই স্লোগানে বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি। তবে শুধু দিবস পালন নয়, সারা দেশেই চোখের চিকিৎসার জন্য আধুনিক হাসপাতালের দাবি জানিয়েছেন রোগীরা।

চোখের চিকিৎসা নিতে বিশ্ব দৃষ্টিশক্তি দিবসের ঠিক সাত দিন আগে খুলনা থেকে ঢাকায় আসা অসচ্ছল নারী আজমিরা আক্তারের সঙ্গে কথা হয় সময় সংবাদের। টানা তিন দিন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তার চোখের ত্রুটি শনাক্ত করেন।

আজমিরা বলেন, ‘ডাক্তার বলেছেন চোখের পুর্ণাঙ্গ চিকিৎসা শেষ করতে আরও কিছুদিন থাকা লাগবে। কিন্তু ঢাকায় কোনো আত্মীয়-স্বজন নেই। তাই হাসপাতালের বারান্দায় থাকছি। জেলায় চোখের চিকিৎসার জন্য আধুনিক হাসপাতাল থাকলে আমাদের জন্য ভালো হতো।

শুধু আজমিরা নন, সারা দেশ থেকে প্রতিদিন শত-শত রোগী চিকিৎসার জন্য ছুটে আসেন রাজধানীতে। রোগীরা বলছেন, বিভাগীয় পর্যায়ে বিশেষায়িত হাসপাতালের সেবা সম্প্রসারণ করা না গেলে এই ভোগান্তি কমবে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামান্য অবহেলায় দৃষ্টিশক্তিজনিত রোগ বড় আকার ধারণ করে। যার শেষ পরিণতি অন্ধত্ব।

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক জান-ই-আলম মৃধা বলেন, ‘বিভাগীয়, জেলা কিংবা উপজেলায় সরকারি পর্যায়ে চোখের চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, আধুনিক যন্ত্রপাতির আভাব এবং লোকবল সংকট রয়েছে।’

পরিসংখ্যান তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক খায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘দেশে প্রতি পাঁচজনে একজন দৃষ্টি শক্তির ত্রুটি নিয়ে বসবাস করছেন। প্রতি ১০০ জনের মধ্যে একজনের দুই চোখই অন্ধ। আবার প্রতি ১০০ জনের মধ্যে তিনজনের এক চোখ অন্ধ।’

চিকিৎসা সেবার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সব জেলায় সরকারি হাসপাতালে চক্ষু চিকৎসার ব্যবস্থা নেই। তবে ৩০টিরও বেশি জেলায় চোখের চিকিৎসকরা সেবা দিচ্ছেন। আমাদের লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আরও ২৫০ উপজেলায় চোখের চিকিৎসা পৌঁছে দেয়া।’

বাংলাদেশে গত ২০ বছরে অন্ধত্বের হার ১.৫৩ শতাংশ থেকে কমে ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরও কমে আসবে বলেও জানান তিনি।

এএস/