ঢাকা , বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পানামা পেপারস কেলেঙ্কারির অর্থ কেন ফেরাতে পারেনি বাংলাদেশ

বিগত ২০১৬ সালে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতকে অচল করার পেছনে প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে বলে উল্লেখ করে পানামা পেপার্স। তবে অজানা কারণে হিমাগারে চলে যায় ‘পানামাকাণ্ড’। অথচ, ৯ বছরে ২৩টি দেশ ১.৩ বিলিয়ন ডলার ফিরিয়েছে নিজেদের দেশে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলেছে, রাজনৈতিক টার্গেটে ব্যবহৃত হয়েছে অর্থ পাচার আইন, যার সঙ্গে জড়িয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে তদন্তকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

বিদেশে গোপন রাখা অবৈধ অর্থের তথ্য উন্মোচন করে পানামা পেপার্স। বিশ্বের বৃহত্তম আইন সংস্থা মোসাক ফনসেকারের ডেটাবেজ থেকে ১ কোটি ১৫ লাখ ফাইল ফাঁসের ঘটনায় ফেঁসে যান বাংলাদেশের প্রায় তিন ডজন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ। ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজমের (আইসিআইজ) তথ্যে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশিদের নাম, ঠিকানা, শেয়ার বাজার ও বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতকে অচল করে বিদেশে বিপুল সম্পদ অর্জনকারী কর ফাঁকি ও অর্থ পাচারকারীদের সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য নিশ্চিত করা হয় পানামা পেপার্সে।

প্রথম দিকে তোড়জোড় শুরু হলেও অদৃশ্য কারণে থেমে যায় সব পদক্ষেপ। তবে অন্যান্য দেশ থেমে যায়নি। বিগত নয় বছরে পানামা পেপার্সের অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ১.৩ বিলিয়ন ডলার উদ্ধার করেছে ২৩টি দেশ। সবচেয়ে বেশি পুনরুদ্ধার করেছে যুক্তরাজ্য, সুইডেন, ফ্রান্স ও স্পেন। সবচেয়ে কম উদ্ধার করেছে লিথুনিয়া।

পাশের দেশ ভারত ৮৪টি মামলা পরিচালনায় নিয়োগ দিয়েছেন ৪৬ জন আইনজীবী। তারা উদ্ধার করেছে ১৭.৪ মিলিয়ন ডলার। তবে তালিকায় নেই বাংলাদেশ। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ব্যাংকিং সেক্টরে অর্থপাচার ও জালিয়াতি রোধ করার দায়িত্ব ছিল বাংলাদেশ ফাইন্যানশিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের। তবে বিগত সময়ে তারা সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দায়িত্ব ছিল ব্যক্তি পরিচয়ের ঊর্ধ্বে থেকে তদন্ত করা। প্রাক্তন ভূমিমন্ত্রীর ২০০টির বেশি অ্যাপার্টমেন্টের তথ্য দুদকের হাতে দেয়া হয়েছিল, তবে সুনির্দিষ্ট দালিলিক প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বিগত সময়ে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় কাজে ব্যবহার করা হয়েছে; তাই এখানে বড় ধরনের সংস্কারের প্রয়োজন।

তবে আবারও তোড়জোড় শুরু হয়েছে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত ও উদ্ধারে। সেখানে গুরুত্বে থাকছে বিগত সরকারের আমলে শীর্ষ পাচারকারীরা। টিআইবি বলেছে, রাজনৈতিক কারণে বারবার আইন ব্যবহার হয়েছে। ফলে এক সরকারের সময় অন্য পক্ষ টার্গেটের শিকার হয়েছে। যার সঙ্গে জড়িয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে তদন্তকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ব্যক্তির পরিচয় কোনো বিষয় নয়, আইন সবার জন্য সমান-এই মানদণ্ডে কাজ হবে। তবে এ ধরনের মানদণ্ডে এখনো পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যতেও তা সহজে অর্জন হবে না, তবে সেই মানদণ্ডে পৌঁছানোর বিকল্প নেই।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে দুদক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সিআইডি এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে। ভবিষ্যতে সমস্যা এড়াতে একটি ডিসট্রেসড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট অর্ডিনেন্সও তৈরি করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, পাচার করা অর্থ ফেরানোর প্রথম ধাপ হলো বিদেশে থাকা সেই অর্থ বা সম্পদের উপর আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মালিকানার অধিকার খর্ব করে নেয়া। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক, দুদক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিশেষজ্ঞরা যৌথভাবে কাজ করছে।

শেষবার ২০২২ সালে পানামা পেপার্সে আসা অভিযুক্তদের বিষয়ে দুদক সিআইডি ও বিএফআইইউকে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। তবে সেসব রিপোর্ট আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।

তবে আবারও তোড়জোড় শুরু হয়েছে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত ও উদ্ধারে। সেখানে গুরুত্বে থাকছে বিগত সরকারের আমলে শীর্ষ পাচারকারীরা। টিআইবি বলেছে, রাজনৈতিক কারণে বারবার আইন ব্যবহার হয়েছে। ফলে এক সরকারের সময় অন্য পক্ষ টার্গেটের শিকার হয়েছে। যার সঙ্গে জড়িয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে তদন্তকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ব্যক্তির পরিচয় কোনো বিষয় নয়, আইন সবার জন্য সমান-এই মানদণ্ডে কাজ হবে। তবে এ ধরনের মানদণ্ডে এখনো পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যতেও তা সহজে অর্জন হবে না, তবে সেই মানদণ্ডে পৌঁছানোর বিকল্প নেই।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে দুদক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সিআইডি এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে। ভবিষ্যতে সমস্যা এড়াতে একটি ডিসট্রেসড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট অর্ডিনেন্সও তৈরি করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, পাচার করা অর্থ ফেরানোর প্রথম ধাপ হলো বিদেশে থাকা সেই অর্থ বা সম্পদের উপর আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মালিকানার অধিকার খর্ব করে নেয়া। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক, দুদক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিশেষজ্ঞরা যৌথভাবে কাজ করছে।

শেষবার ২০২২ সালে পানামা পেপার্সে আসা অভিযুক্তদের বিষয়ে দুদক সিআইডি ও বিএফআইইউকে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। তবে সেসব রিপোর্ট আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।

এএস/

 

পানামা পেপারস কেলেঙ্কারির অর্থ কেন ফেরাতে পারেনি বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০৩:২০:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

বিগত ২০১৬ সালে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতকে অচল করার পেছনে প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে বলে উল্লেখ করে পানামা পেপার্স। তবে অজানা কারণে হিমাগারে চলে যায় ‘পানামাকাণ্ড’। অথচ, ৯ বছরে ২৩টি দেশ ১.৩ বিলিয়ন ডলার ফিরিয়েছে নিজেদের দেশে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলেছে, রাজনৈতিক টার্গেটে ব্যবহৃত হয়েছে অর্থ পাচার আইন, যার সঙ্গে জড়িয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে তদন্তকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

বিদেশে গোপন রাখা অবৈধ অর্থের তথ্য উন্মোচন করে পানামা পেপার্স। বিশ্বের বৃহত্তম আইন সংস্থা মোসাক ফনসেকারের ডেটাবেজ থেকে ১ কোটি ১৫ লাখ ফাইল ফাঁসের ঘটনায় ফেঁসে যান বাংলাদেশের প্রায় তিন ডজন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ। ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজমের (আইসিআইজ) তথ্যে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশিদের নাম, ঠিকানা, শেয়ার বাজার ও বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতকে অচল করে বিদেশে বিপুল সম্পদ অর্জনকারী কর ফাঁকি ও অর্থ পাচারকারীদের সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য নিশ্চিত করা হয় পানামা পেপার্সে।

প্রথম দিকে তোড়জোড় শুরু হলেও অদৃশ্য কারণে থেমে যায় সব পদক্ষেপ। তবে অন্যান্য দেশ থেমে যায়নি। বিগত নয় বছরে পানামা পেপার্সের অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ১.৩ বিলিয়ন ডলার উদ্ধার করেছে ২৩টি দেশ। সবচেয়ে বেশি পুনরুদ্ধার করেছে যুক্তরাজ্য, সুইডেন, ফ্রান্স ও স্পেন। সবচেয়ে কম উদ্ধার করেছে লিথুনিয়া।

পাশের দেশ ভারত ৮৪টি মামলা পরিচালনায় নিয়োগ দিয়েছেন ৪৬ জন আইনজীবী। তারা উদ্ধার করেছে ১৭.৪ মিলিয়ন ডলার। তবে তালিকায় নেই বাংলাদেশ। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ব্যাংকিং সেক্টরে অর্থপাচার ও জালিয়াতি রোধ করার দায়িত্ব ছিল বাংলাদেশ ফাইন্যানশিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের। তবে বিগত সময়ে তারা সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দায়িত্ব ছিল ব্যক্তি পরিচয়ের ঊর্ধ্বে থেকে তদন্ত করা। প্রাক্তন ভূমিমন্ত্রীর ২০০টির বেশি অ্যাপার্টমেন্টের তথ্য দুদকের হাতে দেয়া হয়েছিল, তবে সুনির্দিষ্ট দালিলিক প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বিগত সময়ে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় কাজে ব্যবহার করা হয়েছে; তাই এখানে বড় ধরনের সংস্কারের প্রয়োজন।

তবে আবারও তোড়জোড় শুরু হয়েছে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত ও উদ্ধারে। সেখানে গুরুত্বে থাকছে বিগত সরকারের আমলে শীর্ষ পাচারকারীরা। টিআইবি বলেছে, রাজনৈতিক কারণে বারবার আইন ব্যবহার হয়েছে। ফলে এক সরকারের সময় অন্য পক্ষ টার্গেটের শিকার হয়েছে। যার সঙ্গে জড়িয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে তদন্তকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ব্যক্তির পরিচয় কোনো বিষয় নয়, আইন সবার জন্য সমান-এই মানদণ্ডে কাজ হবে। তবে এ ধরনের মানদণ্ডে এখনো পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যতেও তা সহজে অর্জন হবে না, তবে সেই মানদণ্ডে পৌঁছানোর বিকল্প নেই।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে দুদক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সিআইডি এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে। ভবিষ্যতে সমস্যা এড়াতে একটি ডিসট্রেসড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট অর্ডিনেন্সও তৈরি করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, পাচার করা অর্থ ফেরানোর প্রথম ধাপ হলো বিদেশে থাকা সেই অর্থ বা সম্পদের উপর আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মালিকানার অধিকার খর্ব করে নেয়া। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক, দুদক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিশেষজ্ঞরা যৌথভাবে কাজ করছে।

শেষবার ২০২২ সালে পানামা পেপার্সে আসা অভিযুক্তদের বিষয়ে দুদক সিআইডি ও বিএফআইইউকে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। তবে সেসব রিপোর্ট আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।

তবে আবারও তোড়জোড় শুরু হয়েছে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত ও উদ্ধারে। সেখানে গুরুত্বে থাকছে বিগত সরকারের আমলে শীর্ষ পাচারকারীরা। টিআইবি বলেছে, রাজনৈতিক কারণে বারবার আইন ব্যবহার হয়েছে। ফলে এক সরকারের সময় অন্য পক্ষ টার্গেটের শিকার হয়েছে। যার সঙ্গে জড়িয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে তদন্তকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ব্যক্তির পরিচয় কোনো বিষয় নয়, আইন সবার জন্য সমান-এই মানদণ্ডে কাজ হবে। তবে এ ধরনের মানদণ্ডে এখনো পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যতেও তা সহজে অর্জন হবে না, তবে সেই মানদণ্ডে পৌঁছানোর বিকল্প নেই।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে দুদক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সিআইডি এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে। ভবিষ্যতে সমস্যা এড়াতে একটি ডিসট্রেসড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট অর্ডিনেন্সও তৈরি করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, পাচার করা অর্থ ফেরানোর প্রথম ধাপ হলো বিদেশে থাকা সেই অর্থ বা সম্পদের উপর আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মালিকানার অধিকার খর্ব করে নেয়া। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক, দুদক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিশেষজ্ঞরা যৌথভাবে কাজ করছে।

শেষবার ২০২২ সালে পানামা পেপার্সে আসা অভিযুক্তদের বিষয়ে দুদক সিআইডি ও বিএফআইইউকে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। তবে সেসব রিপোর্ট আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।

এএস/