ঢাকা , বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংকটের অজুহাতে বেড়েছে সারের দাম চাষিদের ক্ষোভ

হবিগঞ্জে পুরোদমে চলছে আমন চাষাবাদ। ফলন ভালো হওয়ার আশায় নিয়মিত সার প্রয়োগ ও ধান ক্ষেতের পরিচর্যা করছেন কৃষকরা। কৃষকদের অভিযোগ, চাহিদা অনুযায়ী সার মিলছে না। সারের সংকট দেখিয়ে অতিরিক্ত দাম হাতিয়ে নিচ্ছেন ডিলার। পাশাপাশি দাম বেড়েছে কীটনাশকেরও। অতিরিক্ত দামে সার ও কীটনাশক কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষক।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় ৯০ হাজার ৩৬৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। এসব জমিতে কাঙ্ক্ষিত ফলন ঘরে তুলতে ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি সারের ব্যবহার জরুরি। ন্যায্যমূল্যে সার বিক্রিতে ডিলারদের দাম নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সরকার ইউরিয়া সারের ৫০ কেজির বস্তা এক হাজার ৩৫০, এমওপি এক হাজার, টিএসপি এক হাজার ৩৫০, পটাশিয়াম এক হাজার ও ডিএপি এক হাজার ৫০ টাকা নির্ধারণ করেছে।

কৃষকদের অভিযোগ, খুচরা বাজারে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছেন ডিলাররা। সার সংকটের অজুহাত দেখিয়ে প্রতি বস্তা ইউরিয়া এক হাজার ৬০০, টিএসপি এক হাজার ৮০০ টাকা ও পটাশিয়াম এক হাজার ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। বিক্রির মেমো দিতে অনীহা ডিলারদের। অতিরিক্ত দামে সার ক্রয় করতে হচ্ছে।

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুলতানশী গ্রামের কৃষক শাহ আলম বলেন, গত বছরের তুলনায় সারের দাম অনেক বেড়েছে। বাজার থেকে এক হাজার ৬০০ টাকা করে প্রতি বস্তা ইউরিয়া সার কিনে জমিতে দিয়েছেন। শরীফপুরের কৃষক বাচ্চু মিয়া বলেন, টিএসসি সারের সরকার নির্ধারিত মূল্য এক হাজার ৩৫০ টাকা হলেও খুচরা বাজার থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে। ডিলারের কাছে সার না থাকায় চাষিদের অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে।

আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশার কৃষক সেন্টু মিয়া বলেন, ‘ডিলাররা অনেক সময় সার থাকলেও বিক্রি করেন না। ফলে খুচরা বাজার থেকে ক্রয় করতে হয়। অনেক ডিলারের কাছ থেকে বেশি দামে সার নিলেও তারা মেমো দিতে রাজি না।

জেলা কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বলেন, জেলায় আমন চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলায় ৯০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে ৯০ হাজার ৩৬৫ হেক্টর জমিতে। ন্যায্যমূল্যে সার বিক্রিতে ডিলারদের দাম নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রি রোধে বাজারে মনিটরিং টিম কাজ করছে।

এএস/

সংকটের অজুহাতে বেড়েছে সারের দাম চাষিদের ক্ষোভ

আপডেট সময় ০৬:৫৬:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

হবিগঞ্জে পুরোদমে চলছে আমন চাষাবাদ। ফলন ভালো হওয়ার আশায় নিয়মিত সার প্রয়োগ ও ধান ক্ষেতের পরিচর্যা করছেন কৃষকরা। কৃষকদের অভিযোগ, চাহিদা অনুযায়ী সার মিলছে না। সারের সংকট দেখিয়ে অতিরিক্ত দাম হাতিয়ে নিচ্ছেন ডিলার। পাশাপাশি দাম বেড়েছে কীটনাশকেরও। অতিরিক্ত দামে সার ও কীটনাশক কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষক।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় ৯০ হাজার ৩৬৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। এসব জমিতে কাঙ্ক্ষিত ফলন ঘরে তুলতে ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি সারের ব্যবহার জরুরি। ন্যায্যমূল্যে সার বিক্রিতে ডিলারদের দাম নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সরকার ইউরিয়া সারের ৫০ কেজির বস্তা এক হাজার ৩৫০, এমওপি এক হাজার, টিএসপি এক হাজার ৩৫০, পটাশিয়াম এক হাজার ও ডিএপি এক হাজার ৫০ টাকা নির্ধারণ করেছে।

কৃষকদের অভিযোগ, খুচরা বাজারে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছেন ডিলাররা। সার সংকটের অজুহাত দেখিয়ে প্রতি বস্তা ইউরিয়া এক হাজার ৬০০, টিএসপি এক হাজার ৮০০ টাকা ও পটাশিয়াম এক হাজার ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। বিক্রির মেমো দিতে অনীহা ডিলারদের। অতিরিক্ত দামে সার ক্রয় করতে হচ্ছে।

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুলতানশী গ্রামের কৃষক শাহ আলম বলেন, গত বছরের তুলনায় সারের দাম অনেক বেড়েছে। বাজার থেকে এক হাজার ৬০০ টাকা করে প্রতি বস্তা ইউরিয়া সার কিনে জমিতে দিয়েছেন। শরীফপুরের কৃষক বাচ্চু মিয়া বলেন, টিএসসি সারের সরকার নির্ধারিত মূল্য এক হাজার ৩৫০ টাকা হলেও খুচরা বাজার থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে। ডিলারের কাছে সার না থাকায় চাষিদের অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে।

আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশার কৃষক সেন্টু মিয়া বলেন, ‘ডিলাররা অনেক সময় সার থাকলেও বিক্রি করেন না। ফলে খুচরা বাজার থেকে ক্রয় করতে হয়। অনেক ডিলারের কাছ থেকে বেশি দামে সার নিলেও তারা মেমো দিতে রাজি না।

জেলা কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বলেন, জেলায় আমন চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলায় ৯০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে ৯০ হাজার ৩৬৫ হেক্টর জমিতে। ন্যায্যমূল্যে সার বিক্রিতে ডিলারদের দাম নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রি রোধে বাজারে মনিটরিং টিম কাজ করছে।

এএস/