ঢাকা , বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
Logo সিঙ্গাপুর থেকে এক কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার Logo সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে শক্ত অবস্থানে থাকার আহ্বান মঈন খানের Logo সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে ফুটবল বিশ্বকাপে দেড় লাখ জনসংখ্যার কুরাসাও Logo ফের কমল স্বর্ণের দাম, আজ থেকে কার্যকর Logo শেখ মুজিব দেশকে পাকিস্তানের বদলে ভারত বানিয়েছিল: রাশেদ প্রধান Logo আদানি গ্রুপের সিঙ্গাপুরে সালিশি কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা Logo সংস্কারের একক দাবি সংকীর্ণ মানসিকতা, ৩১ দফায় তা চূড়ান্ত হয়েছে: মির্জা ফখরুল Logo চানখারপুলে ছয় হত্যায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য শেষ, জেরা ২৩ নভেম্বর Logo টাকা খরচ না করেও কি নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া যায় প্রশ্ন মির্জা গালিবের Logo কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

পহরচাঁদা মরা খাল-এ আবারও পানি,দুই হাজার কৃষকের মুখে হাসি

দীর্ঘদিন ধরে পানিশূন্যতায় ধুঁকতে থাকা পহরচাঁদা মরা খাল-এ আবারও পানির যৌবন ফিরে আসার স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় কৃষক সমাজ। খালটি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য গৃহীত উদ্যোগের ফলে এই অঞ্চলের প্রায় দুই হাজার কৃষক তাদের চাষাবাদ ও জীবনযাত্রায় নতুন আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন।

এক সময় খালটিই ছিল পহরচাঁদা এবং পার্শ্ববর্তী কয়েকটি এলাকার কৃষিজমির প্রধান জলের উৎস। কিন্তু বছরের পর বছর খালটির সংস্কার না হওয়ায় ও দখল-ভরাটের কারণে এটি ধীরে ধীরে মরা খালে পরিণত হয়। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে পানি না থাকায় বিস্তীর্ণ কৃষি জমিতে ফসল ফলানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। কৃষকদের নির্ভর করতে হতো বৃষ্টি অথবা অত্যন্ত ব্যয়বহুল পাম্পের ওপর।

সম্প্রতি, স্থানীয় প্রশাসন বা একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে খালটি সংস্কার এবং খনন বা ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে নতুন করে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো, মরা খালটিতে সারা বছর পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা এবং এর মাধ্যমে প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা পুনরুদ্ধার করা।

এলাকার প্রবীণ কৃষক আব্দুল করিম আনন্দের সাথে বলেন, “এই খাল মরে যাওয়ায় আমরা প্রায় পথে বসে গিয়েছিলাম। সেচের অভাবে জমি ফেটে যেত, ফসল নষ্ট হতো। এখন খালটা আবার তার আগের রূপে ফিরে এলে আমাদের আর চিন্তা থাকবে না।

আরেকজন কৃষক রমিজ উদ্দিন জানান, খাল সচল হলে বোরো ধানের পাশাপাশি অন্যান্য সবজি চাষেও সুবিধা হবে। এতে আমাদের ফসল উৎপাদন বাড়বে এবং আর্থিক সচ্ছলতাও ফিরে আসবে। এই উদ্যোগ আমাদের প্রায় দুই হাজার কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে, খালের পুনঃখনন কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। তারা আশা করছেন, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই খালটিতে পর্যাপ্ত জলধারণ ক্ষমতা তৈরি হবে। এর মাধ্যমে কেবল সেচ সুবিধার উন্নয়ন নয়, এই অঞ্চলের পরিবেশের ভারসাম্যও ফিরে আসবে এবং বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার সমস্যা অনেকাংশে কমবে।

এএস/

সিঙ্গাপুর থেকে এক কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার

পহরচাঁদা মরা খাল-এ আবারও পানি,দুই হাজার কৃষকের মুখে হাসি

আপডেট সময় ০৬:৪৬:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

দীর্ঘদিন ধরে পানিশূন্যতায় ধুঁকতে থাকা পহরচাঁদা মরা খাল-এ আবারও পানির যৌবন ফিরে আসার স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় কৃষক সমাজ। খালটি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য গৃহীত উদ্যোগের ফলে এই অঞ্চলের প্রায় দুই হাজার কৃষক তাদের চাষাবাদ ও জীবনযাত্রায় নতুন আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন।

এক সময় খালটিই ছিল পহরচাঁদা এবং পার্শ্ববর্তী কয়েকটি এলাকার কৃষিজমির প্রধান জলের উৎস। কিন্তু বছরের পর বছর খালটির সংস্কার না হওয়ায় ও দখল-ভরাটের কারণে এটি ধীরে ধীরে মরা খালে পরিণত হয়। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে পানি না থাকায় বিস্তীর্ণ কৃষি জমিতে ফসল ফলানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। কৃষকদের নির্ভর করতে হতো বৃষ্টি অথবা অত্যন্ত ব্যয়বহুল পাম্পের ওপর।

সম্প্রতি, স্থানীয় প্রশাসন বা একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে খালটি সংস্কার এবং খনন বা ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে নতুন করে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো, মরা খালটিতে সারা বছর পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা এবং এর মাধ্যমে প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা পুনরুদ্ধার করা।

এলাকার প্রবীণ কৃষক আব্দুল করিম আনন্দের সাথে বলেন, “এই খাল মরে যাওয়ায় আমরা প্রায় পথে বসে গিয়েছিলাম। সেচের অভাবে জমি ফেটে যেত, ফসল নষ্ট হতো। এখন খালটা আবার তার আগের রূপে ফিরে এলে আমাদের আর চিন্তা থাকবে না।

আরেকজন কৃষক রমিজ উদ্দিন জানান, খাল সচল হলে বোরো ধানের পাশাপাশি অন্যান্য সবজি চাষেও সুবিধা হবে। এতে আমাদের ফসল উৎপাদন বাড়বে এবং আর্থিক সচ্ছলতাও ফিরে আসবে। এই উদ্যোগ আমাদের প্রায় দুই হাজার কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে, খালের পুনঃখনন কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। তারা আশা করছেন, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই খালটিতে পর্যাপ্ত জলধারণ ক্ষমতা তৈরি হবে। এর মাধ্যমে কেবল সেচ সুবিধার উন্নয়ন নয়, এই অঞ্চলের পরিবেশের ভারসাম্যও ফিরে আসবে এবং বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার সমস্যা অনেকাংশে কমবে।

এএস/