ঢাকা , বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
Logo আজ কবি অনিতা আন্দন কবিতার জন্মদিন Logo মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ তরুণের মৃত্যু Logo ময়মনসিংহে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আগামীকাল সাক্ষাৎ চান ৮ দলের নেতারা Logo ভারতের বিপক্ষে জয় দিয়ে বছরটা শেষ করতে চাই: রাকিব Logo সোনারগাঁয়ের পলিথিন বর্জের কারণে জনস্বাস্থ্য পরিবেশ হুমকিতে  Logo মীর স্নিগ্ধর স্ক্রিপ্ট কে লিখে দেন, জানতে চাইলেন শাওন Logo ইসলামী আন্দোলনের সাবেক মহাসচিব মাওলানা নুরুল হুদা মারা গেছেন Logo নড়াইল-২ আসনে মনিরুল ইসলামকে মনোনয়ন দাবিতে সমাবেশ: বহিরাগত প্রার্থী বর্জনের হুঁশিয়ারি

সিরিজে সমতায় ফিরতে আফগানিস্তানকে ১৯০ রানে থামালো বাংলাদেশ

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫৩:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৪৪ বার পড়া হয়েছে

সিরিজে টিকে থাকতে হলে জিততেই হবে। এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে দারুণ বোলিং করলেন বাংলাদেশি বোলাররা। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৪৪.৫ ওভারে আফগানিস্তানকে তারা অলআউট করে দিয়েছেন ১৯০ রানেই। অর্থাৎ সিরিজে সমতায় ফিরতে বাংলাদেশকে করতে হবে ১৯১।

আবুধাবিতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় আফগানিস্তান। বেশ দেখেশুনেই শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার গুরবাজ আর সেদিকুল্লাহ অতল।

পঞ্চম ওভারে এসে আঘাত হানেন তানজিম হাসান সাকিব। তাকে পুল করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে জাকের আলীর ক্যাচ হন গুরবাজ (১১)। ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় আফগানরা।

নবম ওভারে বল হাতে নিয়েই উইকেট তুলে নেন তানভীর ইসলাম। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে লংঅনে তানজিম সাকিবকে ক্যাচ দেন সেদিকুল্লাহ অতল (৮)। ৩৮ রানে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় উইকেটের পতন।

এরপর অনেকটা সময় একা দলকে এগিয়ে নিয়েছেন ইব্রাহিম জাদরান। তবে হাসমতউল্লাহ শহিদি আর আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে দাঁড়াতে দেয়নি বাংলাদেশ। ইনিংসের ১৮তম ওভারে শহিদিকে (৪) বোল্ড করেন মিরাজ। পরের ওভারে রিশাদ হোসেন স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান ওমরজাইকে (০)। ৭৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে আফগানরা।

মোহাম্মদ নবি সেট হয়ে গিয়েছিলেন। তার ইনিংসটি থামে তানজিম সাকিবের বলে কভারে মিরাজের দুর্দান্ত এক ক্যাচে। ২২ রান আসে নবির ব্যাট থেকে। ১১৮ রানে পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে আফগানিস্তানের।

ইব্রাহিম জাদরান তবু লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। লোয়ার অর্ডারের নানগায়েলিয়া খারোতেকে নিয়েও জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। দুজন যোগ করেন ৩৬ রান। খারোতের (১৩) বিদায় হয় বাউন্ডারি থেকে তানজিদ তামিমের দুর্দান্ত এক থ্রোতে সরাসরি স্টাম্প ভাঙায়। মিরাজের বলে রশিদ খান আউট হন ১ রান করেই।

১৫৭ রানে ৭ উইকেট হারালেও হাল ছাড়েনি আফগানিস্তান। পথের কাঁটা জাদরানকে সরানো যাচ্ছিল না কিছুতেই। অবশেষে জাদরান নিজের ভুলেই উইকেট দেন মিরাজকে।

সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৫ রান দূরে থাকতে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেট বাউন্ডারিতে রিশাদ হোসেনের হাতে ধরা পড়েন জাদরান। ১৪০ বলে ৯৫ রানের ধৈর্যশীল ইনিংসে মাত্র তিনটি চার আর একটি ছক্কা মারেন আফগান ওপেনার। পরের ওভারেই গাজানফর ২২ করে রিশাদের বলে ক্যাচ দেন।

আফগানিস্তানের ৯ উইকেট পতনের পর এর আগে রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া রহমত শাহ (৯) মাঠে নেমেছিলেন দলের জন্য। কিন্তু রিশাদ হোসেনের বলে ব্যাট করতে গিয়ে আবারও ক্রিজে পড়ে যান। ফলে আর ব্যাটিং করতে পারেননি। ৪৪.৫ ওভারে ১৯০ রানেই থামে আফগানরা।

মেহেদী হাসান মিরাজ নেন ৩টি উইকেট। দুটি করে উইকেট তানজিম সাকিব আর রিশাদ হোসেনের।

ইউ

আজ কবি অনিতা আন্দন কবিতার জন্মদিন

সিরিজে সমতায় ফিরতে আফগানিস্তানকে ১৯০ রানে থামালো বাংলাদেশ

আপডেট সময় ১১:৫৩:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

সিরিজে টিকে থাকতে হলে জিততেই হবে। এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে দারুণ বোলিং করলেন বাংলাদেশি বোলাররা। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৪৪.৫ ওভারে আফগানিস্তানকে তারা অলআউট করে দিয়েছেন ১৯০ রানেই। অর্থাৎ সিরিজে সমতায় ফিরতে বাংলাদেশকে করতে হবে ১৯১।

আবুধাবিতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় আফগানিস্তান। বেশ দেখেশুনেই শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার গুরবাজ আর সেদিকুল্লাহ অতল।

পঞ্চম ওভারে এসে আঘাত হানেন তানজিম হাসান সাকিব। তাকে পুল করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে জাকের আলীর ক্যাচ হন গুরবাজ (১১)। ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় আফগানরা।

নবম ওভারে বল হাতে নিয়েই উইকেট তুলে নেন তানভীর ইসলাম। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে লংঅনে তানজিম সাকিবকে ক্যাচ দেন সেদিকুল্লাহ অতল (৮)। ৩৮ রানে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় উইকেটের পতন।

এরপর অনেকটা সময় একা দলকে এগিয়ে নিয়েছেন ইব্রাহিম জাদরান। তবে হাসমতউল্লাহ শহিদি আর আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে দাঁড়াতে দেয়নি বাংলাদেশ। ইনিংসের ১৮তম ওভারে শহিদিকে (৪) বোল্ড করেন মিরাজ। পরের ওভারে রিশাদ হোসেন স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান ওমরজাইকে (০)। ৭৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে আফগানরা।

মোহাম্মদ নবি সেট হয়ে গিয়েছিলেন। তার ইনিংসটি থামে তানজিম সাকিবের বলে কভারে মিরাজের দুর্দান্ত এক ক্যাচে। ২২ রান আসে নবির ব্যাট থেকে। ১১৮ রানে পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে আফগানিস্তানের।

ইব্রাহিম জাদরান তবু লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। লোয়ার অর্ডারের নানগায়েলিয়া খারোতেকে নিয়েও জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। দুজন যোগ করেন ৩৬ রান। খারোতের (১৩) বিদায় হয় বাউন্ডারি থেকে তানজিদ তামিমের দুর্দান্ত এক থ্রোতে সরাসরি স্টাম্প ভাঙায়। মিরাজের বলে রশিদ খান আউট হন ১ রান করেই।

১৫৭ রানে ৭ উইকেট হারালেও হাল ছাড়েনি আফগানিস্তান। পথের কাঁটা জাদরানকে সরানো যাচ্ছিল না কিছুতেই। অবশেষে জাদরান নিজের ভুলেই উইকেট দেন মিরাজকে।

সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৫ রান দূরে থাকতে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেট বাউন্ডারিতে রিশাদ হোসেনের হাতে ধরা পড়েন জাদরান। ১৪০ বলে ৯৫ রানের ধৈর্যশীল ইনিংসে মাত্র তিনটি চার আর একটি ছক্কা মারেন আফগান ওপেনার। পরের ওভারেই গাজানফর ২২ করে রিশাদের বলে ক্যাচ দেন।

আফগানিস্তানের ৯ উইকেট পতনের পর এর আগে রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া রহমত শাহ (৯) মাঠে নেমেছিলেন দলের জন্য। কিন্তু রিশাদ হোসেনের বলে ব্যাট করতে গিয়ে আবারও ক্রিজে পড়ে যান। ফলে আর ব্যাটিং করতে পারেননি। ৪৪.৫ ওভারে ১৯০ রানেই থামে আফগানরা।

মেহেদী হাসান মিরাজ নেন ৩টি উইকেট। দুটি করে উইকেট তানজিম সাকিব আর রিশাদ হোসেনের।

ইউ