দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, “আমি নিজে একজন মুক্তিযোদ্ধা সুতরাং সেইফ এক্সিট আমার জন্য নয়, আমি এ দেশেই থাকব।” আজ রোববার বরিশালে দেশব্যাপী টাইফয়েড টিকা আর্যকর্মের উদ্বোধন করতে এসে তিনি এই মন্তব্য করেন।
দেশের শিশুদের টাইফয়েড থেকে সুরক্ষা দিতে প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী টাইফয়েডের টিকা দেওয়া শুরু হচ্ছে। এক মাসব্যাপী এই কর্মসূচিতে সরকার ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি শিশু-কিশোর-কিশোরীকে বিনা মূল্যে এই টিকা দেবে। জন্মসনদ না থাকা শিশুরাও এই সুবিধা পাবে।
বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। তিনি বলেন, রোগ হওয়ার আগেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য টাইফয়েড জ্বরে বহু মানুষের প্রাণ হারানোর বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিষেধক হিসেবে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
টিকাদান কর্মসূচির বিস্তারিত:
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই টিকাটি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে, যা আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন সহায়তা সংস্থা গ্যাভির সহযোগিতায় সরকার পেয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনপ্রাপ্ত এই টিকাটি সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং নেপাল, পাকিস্তানসহ আটটি দেশে সফলভাবে ব্যবহার হয়েছে। কোনো দেশেই বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
বরিশাল বিভাগে মোট ২৬ লাখ ১৪ হাজার জনকে এই টিকার আওতায় আনা হবে। দেশব্যাপী এই ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য হলো ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়া। এর মধ্যে ১ কোটি ৬৮ লাখ শিশু ইতিমধ্যে নিবন্ধন করেছে।
টিকাদানের সময়সূচি:
আজ ১২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর: প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা স্কুল ও মাদ্রাসায় টিকা পাবে। ১লা নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর: সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে টিকা দেওয়া হবে।
* শহরের পথশিশুদের টিকাদানের দায়িত্বে থাকবে বিভিন্ন এনজিও।
* জন্মসনদ না থাকলেও নিকটস্থ টিকাকেন্দ্রে স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় নিবন্ধন করা যাবে।
এএস/

ডিসি-এসপিদের লটারির মাধ্যমে বদলির দাবি জামায়াতের
বরিশাল ব্যুরো, আরিফুল ইসলাম 























