ঢাকা , বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোপালগঞ্জ মহাসড়ক প্রকল্পে অচলাবস্থা: জমি জটিলতায় দু’বার মেয়াদ ফুরোলো, বাকি শুধু ২৮০ মিটার

২০২০ সালে শুরু হওয়া টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ দীর্ঘ পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি। দু’বার প্রকল্পের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও ৪৪.৮৩ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে এখনও বাকি রয়েছে মাত্র ২৮০ মিটার অংশের কাজ। মূলত জমি অধিগ্রহণ জটিলতা এবং শহরের ফিনিশিং কাজের কারণেই এই অচলাবস্থা।

এই আঞ্চলিক মহাসড়কটি ঢাকা, খুলনা, বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলগামী যানবাহনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ব্যবহার করলে ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার কমে আসে। ২০১৯ সালে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়লে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) ২০২০ সালে ৫১২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে মেরামত ও সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়।

সময় ও ব্যয় বৃদ্ধি:

প্রথম দফায় প্রকল্পটি ২০২২ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে সময় মাত্র ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়। এরপর ব্যয় ৪০ কোটি টাকা বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। দ্বিতীয়বার মেয়াদ ফুরানোর পরও মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড়ে ২৮০ মিটার সড়কের বাঁক সহজীকরণের কাজ এবং গোপালগঞ্জ শহরের পাঁচ কিলোমিটার অংশে সারফেসিংসহ আনুষঙ্গিক ফিনিশিং কাজ অসমাপ্ত রয়ে গেছে।
গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগ এখন তৃতীয় দফায় ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব সওজ অধিদপ্তরে পাঠিয়েছে।

জটিলতার মূল কারণ:
গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগের এসডি অনুজ কুমার দে জানান, ছয়টি প্যাকেজের মধ্যে বাকি প্যাকেজগুলোর কাজ শেষ হলেও ১ নম্বর প্যাকেজের জলিরপাড়ের ২৮০ মিটার এবং ৫ নম্বর প্যাকেজের শহর অংশের ফিনিশিং কাজ বাকি।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মীর হাবিবুর রহমান-এমএম বিল্ডার্স জেভির ম্যানেজার বিভূতি ভৌমিকের মতে, জমি অধিগ্রহণ, বিদ্যুতের খুঁটি সরানো এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাড়ির সীমানা প্রাচীর অপসারণ ও নির্মাণ সংক্রান্ত জটিলতাগুলো কাজ যথাসময়ে শেষ করার প্রধান বাধা ছিল।

গোপালগঞ্জ সড়ক জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলাম নিশ্চিত করেন, জলিরপাড় অংশের ২৮০ মিটার জমির অধিগ্রহণ জটিলতা (যা পূর্বে পানি উন্নয়ন বোর্ড অধিগ্রহণ করেছিল) এখন কেটে গেছে এবং জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি আশা করছেন, মেয়াদ বাড়লে বাকি কাজ দ্রুত শেষ করা সম্ভব হবে।

এএস/

গোপালগঞ্জ মহাসড়ক প্রকল্পে অচলাবস্থা: জমি জটিলতায় দু’বার মেয়াদ ফুরোলো, বাকি শুধু ২৮০ মিটার

আপডেট সময় ০৩:৩০:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

২০২০ সালে শুরু হওয়া টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ দীর্ঘ পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি। দু’বার প্রকল্পের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও ৪৪.৮৩ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে এখনও বাকি রয়েছে মাত্র ২৮০ মিটার অংশের কাজ। মূলত জমি অধিগ্রহণ জটিলতা এবং শহরের ফিনিশিং কাজের কারণেই এই অচলাবস্থা।

এই আঞ্চলিক মহাসড়কটি ঢাকা, খুলনা, বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলগামী যানবাহনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ব্যবহার করলে ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার কমে আসে। ২০১৯ সালে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়লে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) ২০২০ সালে ৫১২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে মেরামত ও সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়।

সময় ও ব্যয় বৃদ্ধি:

প্রথম দফায় প্রকল্পটি ২০২২ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে সময় মাত্র ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়। এরপর ব্যয় ৪০ কোটি টাকা বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। দ্বিতীয়বার মেয়াদ ফুরানোর পরও মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড়ে ২৮০ মিটার সড়কের বাঁক সহজীকরণের কাজ এবং গোপালগঞ্জ শহরের পাঁচ কিলোমিটার অংশে সারফেসিংসহ আনুষঙ্গিক ফিনিশিং কাজ অসমাপ্ত রয়ে গেছে।
গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগ এখন তৃতীয় দফায় ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব সওজ অধিদপ্তরে পাঠিয়েছে।

জটিলতার মূল কারণ:
গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগের এসডি অনুজ কুমার দে জানান, ছয়টি প্যাকেজের মধ্যে বাকি প্যাকেজগুলোর কাজ শেষ হলেও ১ নম্বর প্যাকেজের জলিরপাড়ের ২৮০ মিটার এবং ৫ নম্বর প্যাকেজের শহর অংশের ফিনিশিং কাজ বাকি।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মীর হাবিবুর রহমান-এমএম বিল্ডার্স জেভির ম্যানেজার বিভূতি ভৌমিকের মতে, জমি অধিগ্রহণ, বিদ্যুতের খুঁটি সরানো এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাড়ির সীমানা প্রাচীর অপসারণ ও নির্মাণ সংক্রান্ত জটিলতাগুলো কাজ যথাসময়ে শেষ করার প্রধান বাধা ছিল।

গোপালগঞ্জ সড়ক জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলাম নিশ্চিত করেন, জলিরপাড় অংশের ২৮০ মিটার জমির অধিগ্রহণ জটিলতা (যা পূর্বে পানি উন্নয়ন বোর্ড অধিগ্রহণ করেছিল) এখন কেটে গেছে এবং জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি আশা করছেন, মেয়াদ বাড়লে বাকি কাজ দ্রুত শেষ করা সম্ভব হবে।

এএস/