শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার যোগানিয়া ইউনিয়নের গেরামারা সাপনই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন। ২০০১ সালে ৯০টি পরিবারের জন্য নির্মিত এই টিনশেড ঘরগুলো এখন জরাজীর্ণ, চাল ফুটা এবং বেড়া ভেঙে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরে পানি জমে যায়।
বাসিন্দা শরিফা বেগম ও রোমেছা বেগমের মতো উপকারভোগীরা অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে জানান, “আমরা সরকারি ঘর পাইছি ঠিকই, কিন্তু এখন আর থাকার মতো কোনো পরিবেশ নাই।” ঘরের পাশাপাশি চলাচলের রাস্তাটিও কাদামাটিতে একাকার হয়ে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এখানে স্থায়ী রাস্তা ও পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই, ফলে স্কুলগামী শিশুসহ কর্মজীবী মানুষজনকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
পুকুর দখল ও কমিটি নিয়ে অসন্তোষ:
আশ্রয়ণ প্রকল্পের আরেকটি বড় অভিযোগ হলো, মাছ চাষের জন্য বরাদ্দকৃত প্রায় ৪১ একর বিশাল পুকুরটি স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে চলে গেছে। দখলদাররা প্রতিবছর ৫-৬ লক্ষ টাকা আয় করলেও উপকারভোগী পরিবারগুলোকে সর্বোচ্চ ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা দিয়ে থাকে। বাকি টাকার কোনো হিসাব তারা দেন না।

বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, প্রকল্পের কমিটিটিও স্থানীয় প্রভাবশালীদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন এবং ঘর ও রাস্তা মেরামতের দাবি জানিয়েছেন।
নালিতাবাড়ী উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মুহাম্মদ আমির হোসেন জানিয়েছেন, প্রকল্পটি সমবায় অফিস থেকে নিবন্ধিত এবং নির্বাচনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য জেলা অফিস থেকে এডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি আশ্বাস দিয়েছেন, রাস্তাঘাট সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে প্রকল্পটি সমবায় সমিতির মাধ্যমে নিবন্ধিত হওয়ায় সরাসরি ঘর মেরামতের বিষয়ে তার হস্তক্ষেপের সুযোগ সীমিত বলে তিনি জানান।
এএস/

সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে ফুটবল বিশ্বকাপে দেড় লাখ জনসংখ্যার কুরাসাও
নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিবেদক 























