তাদের চোখে আলো নেই। স্বাভাবিক মানুষের মতো নয় তাদের চারপাশ। মনের আলোয় সব বাধাবিপত্তিকে হার মানিয়ে শিক্ষাজীবনে হয়েছেন সফল। এবার চাকসু নির্বাচনে জয়ী হয়ে শিক্ষার্থীবান্ধব নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ায় রাখতে চান অবদান। এমন প্রত্যাশা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী আট শিক্ষার্থীর। তারা বিভিন্ন পদে প্রার্থী হয়েছেন।
অন্য প্রার্থীদের মতোই প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। ভোটারদের দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। এক হল থেকে আরেক হল, ক্যাম্পাসের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাচ্ছেন। ভোটারদের নজর কাড়ছেন এই অদম্য প্রার্থীরা।
তাদের মধ্যে ছাত্রদলসমর্থিত প্যানেল থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী মিজান মিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কার্যনির্বাহী সদস্য পদে। ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট প্যানেল থেকে সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী আকাশ দাস লড়ছেন একই পদে। স্বতন্ত্র হিসেবে ইতিহাস বিভাগের মো. সুরত আলম প্রার্থী হয়েছেন স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক পদে।
ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) ও ছাত্রফ্রন্ট সমর্থিত দ্রোহ পর্ষদ প্যানেল থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সোহেল রানা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সমাজসেবা ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক পদে। একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেল থেকে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান। বিনির্মাণ শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেল থেকে আবিদুর রহমান প্রার্থী হয়েছেন কার্যনির্বাহী সদস্য পদে। এএফ রহমান হলে নির্বাহী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মো. নাদিম হোসেন। বিজয় ২৪ হলে ছাত্রী সংস্থা সমর্থিত প্যানেল থেকে প্রার্থী হয়েছেন আয়েশা খাতুন।
১৫ অক্টোবর হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। পুরো ক্যাম্পাসে এখন নির্বাচনী আমেজ। বিশ্ববিদ্যালয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী আছেন ৮৬ জন। তবে তাদের জন্য রাখা হয়নি ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা। অন্যের সহায়তায় ভোট দেওয়াকে ভোটাধিকারের লঙ্ঘন বলছেন অনেকেই।
প্রার্থী সুরত আলম বলেন, ‘আমরা হয়তো দৃষ্টিশক্তিতে সীমিত, কিন্তু স্বপ্নে নই। নির্বাচনে জয়ী হয়ে শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস নির্মাণের পাশাপাশি দাবি আদায়ে ভূমিকা রাখতে চাই।’ সোহেল রানা বলেন, ‘সত্যিকারের বিশ্ববিদ্যালয় মানে এমন এক পরিসর, যেখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মতপ্রকাশের সমান সুযোগ থাকবে। নির্বাচিত হয়ে সেই লক্ষ্যেই কাজ করতে চাই।’ আবিদুর আয়েশা খাতুন বলেন, ‘আমি দেখাতে চাই, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরাও পারে, সেজন্যই প্রার্থী হয়েছি।’
আবারও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোটের বিরুদ্ধে গতকাল শনিবার আচরণবিধি লঙ্ঘনের লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বাম ধারার বৈচিত্র্যের ঐক্য প্যানেল। তবে ব্যয়বহুল প্রচারণা ও ফেসবুক বুস্টিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছে শিবির সমর্থিত প্যানেল।
এএস/

এপস্টেইন ফাইলস প্রকাশের অনুমতি মার্কিন কংগ্রেসের
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি 























