কুড়িগ্রামে ৯টি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন ৫৪ জন। তবে তাদের কেউ-ই কৃতকার্য হননি।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হলে এ তথ্য জানা যায়।
কলেজগুলো হলো নাগেশ্বরী উপজেলার কুটি পয়রাডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সমাজকল্যাণ মহিলা কলেজ, ছিলাখানা মডেল কলেজ, ফুলবাড়ি উপজেলার রাশেদ খান মেনন কলেজ, ভূরুঙ্গামারী উপজেলা ধলডাঙ্গা স্কুল ও কলেজ, রাজারহাট উপজেলার শিংগের ডাবড়ীহাট কলেজ, রৈামারী উপজেলা টাপুর চর স্কুল ও কলেজ, চর শৈলমারী আদর্শ মহিলা কলেজ এবং উলিপুর উপজেলার বাগুয়া অনন্তপুর স্কুল ও কলেজ।
এ ৯ কলেজের মোট ৭৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেন। পরীক্ষায় অংশ নেন ৫৪ জন। তবে তাদের কেউ-ই কৃতকার্য হননি।
কুটি পয়রাডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামসুল হক বলেন, নতুন প্রতিষ্ঠান তাই এমনটা হয়েছে।
ছিলাখানা মডেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ বলেন, ‘গত বছরেও এ প্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট ভালো ছিল। ১৩ জন পরীক্ষা দিয়ে সাতজন পাস করে।
এবার যে ছয়জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়, তারা ফরম পূরণ করতেই চায়নি। বাড়ি থেকে ডেকে এনে তাদের ফরম পূরণ করানো হয়েছিল।’
সমাজ কল্যাণ মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আশরাফুল আলম বলেন, ‘দীর্ঘদিনেও প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় অনেক শিক্ষক প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে গেছেন। তাই এমনটা হয়েছে।’
রাশেদ খান মেনন কলেজের অধ্যক্ষ ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কলেজে মোটামুটি পাঠদান হয়। আসলে বুঝতে পারছি না কেন সবাই ফেল করলো। তবে পুনরায় খাতা মূল্যায়নের জন্য আমরা আবেদন করবো।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রংপুর অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মো. আমীর আলী জানান, শতভাগ অকৃতকার্য হওয়া কলেজগুলোর বিষয়ে মন্ত্রণালয় যে ধরণের নির্দেশনা দেবে, সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইউ

আজ কবি অনিতা আন্দন কবিতার জন্মদিন
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি 
























