ঢাকা , বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
Logo আজ কবি অনিতা আন্দন কবিতার জন্মদিন Logo মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ তরুণের মৃত্যু Logo ময়মনসিংহে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আগামীকাল সাক্ষাৎ চান ৮ দলের নেতারা Logo ভারতের বিপক্ষে জয় দিয়ে বছরটা শেষ করতে চাই: রাকিব Logo সোনারগাঁয়ের পলিথিন বর্জের কারণে জনস্বাস্থ্য পরিবেশ হুমকিতে  Logo মীর স্নিগ্ধর স্ক্রিপ্ট কে লিখে দেন, জানতে চাইলেন শাওন Logo ইসলামী আন্দোলনের সাবেক মহাসচিব মাওলানা নুরুল হুদা মারা গেছেন Logo নড়াইল-২ আসনে মনিরুল ইসলামকে মনোনয়ন দাবিতে সমাবেশ: বহিরাগত প্রার্থী বর্জনের হুঁশিয়ারি
ইপিজেডে অগ্নিকাণ্ড

অবশেষে নামল বৃষ্টি, স্বস্তির নিশ্বাস ফায়ার সার্ভিসের

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকার কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর টানা সাত ঘণ্টার চেষ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।

একপর্যায়ে অসহায় হয়ে পড়েছিল ফায়ার সার্ভিস। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা ভবনের দিকে তাকিয়ে শুধু একটাই আশা ছিল যদি একটু বৃষ্টি নামে।

অবশেষে রাত ১০টার দিকে সেই আশার বৃষ্টি নেমেছে। টানা অগ্নিনির্বাপণ ব্যর্থতার পর স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে আগুন লাগার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা ধরে জ্বলতে থাকে সাততলা ভবনটি। আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে। সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে তীব্র তাপ আর ধোঁয়ার কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পিছু হটতে বাধ্য হন।

রাত ৯টার পর থেকে আকাশ মেঘলা হতে শুরু করে, আর রাত ১০টার দিকে শুরু হয় বৃষ্টি। সঙ্গে সঙ্গেই কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে আগুনের তীব্রতা।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, ভবনের পাঁচ, ছয় ও সাত তলায় প্রথমে আগুন লাগে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে নিচের তলাগুলোতেও। সব ইউনিট একযোগে কাজ করলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বন্দর জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. জাহাঙ্গীর বলেন, আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি যে ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ভেতরে কেউ আটকা পড়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।

রফিকুল বলেন, সাত তলা বিশিষ্ট ভবনটিতে প্রথম দোতলায় ছিল তোয়ালে কারখানা। তিন থেকে সাত তলা পর্যন্ত ছিল মেডিকেল ইকুইপমেন্ট তৈরির একটি কারখানা। যেটির নাম জি ওয়ান মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ। চীনা মালিকানাধীন কারখানাটিতে প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার কর্মী কাজ করেন।

ইউ

আজ কবি অনিতা আন্দন কবিতার জন্মদিন

ইপিজেডে অগ্নিকাণ্ড

অবশেষে নামল বৃষ্টি, স্বস্তির নিশ্বাস ফায়ার সার্ভিসের

আপডেট সময় ০৩:২৯:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকার কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর টানা সাত ঘণ্টার চেষ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।

একপর্যায়ে অসহায় হয়ে পড়েছিল ফায়ার সার্ভিস। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা ভবনের দিকে তাকিয়ে শুধু একটাই আশা ছিল যদি একটু বৃষ্টি নামে।

অবশেষে রাত ১০টার দিকে সেই আশার বৃষ্টি নেমেছে। টানা অগ্নিনির্বাপণ ব্যর্থতার পর স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে আগুন লাগার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা ধরে জ্বলতে থাকে সাততলা ভবনটি। আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে। সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে তীব্র তাপ আর ধোঁয়ার কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পিছু হটতে বাধ্য হন।

রাত ৯টার পর থেকে আকাশ মেঘলা হতে শুরু করে, আর রাত ১০টার দিকে শুরু হয় বৃষ্টি। সঙ্গে সঙ্গেই কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে আগুনের তীব্রতা।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, ভবনের পাঁচ, ছয় ও সাত তলায় প্রথমে আগুন লাগে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে নিচের তলাগুলোতেও। সব ইউনিট একযোগে কাজ করলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বন্দর জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. জাহাঙ্গীর বলেন, আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি যে ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ভেতরে কেউ আটকা পড়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।

রফিকুল বলেন, সাত তলা বিশিষ্ট ভবনটিতে প্রথম দোতলায় ছিল তোয়ালে কারখানা। তিন থেকে সাত তলা পর্যন্ত ছিল মেডিকেল ইকুইপমেন্ট তৈরির একটি কারখানা। যেটির নাম জি ওয়ান মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ। চীনা মালিকানাধীন কারখানাটিতে প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার কর্মী কাজ করেন।

ইউ