২০০০ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরুর পর ২০১২ইং সালের মে মাস পর্যন্ত ডেসটিনি-২০০০ লিঃ, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ (ডিএমসিএসএল) ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশনের (ডিটিপিএল) মোট আয় ৫,১২১ কোটি টাকা ( সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী )। এই তিনটি কোম্পানি বাদে বাকি কোম্পানিগুলো প্রচলিত ধারার ব্যবসা-বাণিজ্যে সম্পৃক্ত। সেখানে গ্রাহক বা পরিবেশকদের সরাসরি কোনো বিনিয়োগ নেই।
০১। আয়ের ৫,১২১ কোটি টাকা থেকে গ্রাহকদের কমিশন দিয়েছে ১৪৫৬ কোটি (যেইটি ডিস্ট্রিবিউটরদের ডিন আইডি চেক করলে দেখা যায়)।
০২। ট্যাক্স ও ভ্যাট পরিশোধ খাতে ৪১০ কোটি (যা এন,বি,আরে তথ্য আছে)।
০৩। পণ্য ক্রয়ে ৪২৫ কোটি ( এলসি এর মাধ্যেমে)।
০৪। লভ্যাংশ ও সুদ পরিশোধে ২৬৪ কোটি (যেইটি ডিস্ট্রিবিউটরদের ডিন আইডি চেক করলে দেখা যায়)।।
০৫। ২০০ অফিসের প্রশাসনিক ব্যয় ৪৩৭ কোটি (অফিস ভাড়া সহ অন্যান্য খরচ) ।
০৬। বৃক্ষরোপণে বিনিয়োগ ২২৩ কোটি ।
০৭। সম্পদ ক্রয় ও বিনিয়োগ খাতে ১৮৯০ কোটিসহ মোট ব্যয় হয়েছে ৫১০৫ কোটি টাকা।
মোট সংগ্রহ করে ৫১২১ কোটি টাকা । ব্যয় করেছে ৫১০৫ কোটি টাকা। তাহলে ৫০০০ কোটি টাকা পাচার করে কিভাবে ?
এই সকল হিসাব দুদকের কাছে আছে।
এছাড়া আছে ডেসটিনি গ্রুপের এই তিনটি কোম্পানির মোট জমির পরিমাণ ৯৬৮ একর, ঢাকা শহরে অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে ৭৪,০৫৮ বর্গফুট । এ ছাড়া বাণিজ্যিক অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে ২৪,৫৪৭ বর্গফুট। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডেসটিনি গ্রুপের মোট সম্পদের বর্তমান মূল্য ৯,৬৬৫ কোটি টাকা।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ (ডিএমসিএসএল) ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশনের (ডিটিপিএল) লিঃ-এ জনগণের বিনিয়োগ আছে ৩৪০০ কোটি টাকা।
আর ডেসটিনি গ্রুপের মোট সম্পদের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। তাহলে কিভাবে ডেসটিনি অর্থ পাচারের সাথে জড়িত? যেহেতু ডেসটিনি অর্থ পাচার বা কোন দুর্নীতির সাথে জড়িত নয় এবং গ্রাহকদের সাথে ডেসটিনি কোন প্রতারণা করেনি তাই ডেসটিনির ৪৫লক্ষ গ্রাহক ডেসটিনির শীর্ষ কর্মকর্তা এমডি ড, রফিকুল আমিনের দ্রুত মুক্তি চায় আর উনার মুক্তির মাধ্যমে বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরৎ এবং পুনরায় ডেসটিনিতে তাদের কর্মক্ষেত্র ফিরে পেতে চায়। ।