শেরপুর সদর ও নালিতাবাড়ী উপজেলার আশপাশের চারটি গ্রামে এক শিয়ালের কামড়ে ২২ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে সকাল ৭টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
শিয়ালটি প্রথমে সদরের গাজীরখামারের দিকপাড়া গ্রামে ৪ জনকে, এরপর গির্দ্দাপাড়া গ্রামে ১০ জনকে, তারপর নালিতাবাড়ীর কলসপাড়ের নাকশি গ্রামে ৪ জনকে এবং সর্বশেষ সদরের ধলা ইউনিয়নের পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামে ৪ জনকে কামড় দিয়ে আহত করে।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে শিয়ালটিকে তাড়া করে ধরে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
স্থানীয়দের ধারণা, শিয়ালটি জলাতঙ্ক (র্যাবিস) রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এজন্য কামড়ে আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. উম্মে সালমা আখি জানান, কিছুদিন যাবত হাসপাতালে কুকুর ও শিয়ালের কামড়ের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ১৪ জন শেয়ালে কামড়ানোর রোগী পেয়েছি। শিয়ালের কামড়ে আহত সবাইকে অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে।
গাজীরখামার ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার আমিনুল ইসলাম বলেন, শিয়ালটি আশপাশের কয়েকটি গ্রামজুড়ে সাধারণ মানুষকে কামড়িয়ে আহত করেছে। গ্রামবাসীর মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে লোকজন সতর্কতার সাথে চলাফেরা করেন এবং অভিভাবকরা শিশুদের ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করেন।
এ বিষয়ে এলাকার মসজিদে মসজিদে সতর্কতামুলক মাইকিং করা হয়। পরে গ্রামবাসীরা মিলে শিয়ালটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।
গাজীরখামা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মো. আব্দুল হান্নান বলেন, কয়েকজনকে শেয়ালে কামড়িয়েছে। তাদেরকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ইউ

আসুন সবাই মিলে মিশে কাজ করি: জয়নুল আবদিন
শেরপুর প্রতিবেদক 




























