ঢাকা , বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

ট্রলারে ১৪০ মণ ইলিশ, সাড়ে ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় ১০:১৩:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫২ বার পড়া হয়েছে

নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে মাছ শিকার করতে গিয়ে বরগুনার একটি ট্রলারে ধরা পড়েছে প্রায় ১৭০ মণ ইলিশ। তবে ওই ট্রলারটিতে এত মাছ এক সঙ্গে বোঝাই করতে না পেরে ১৪০ মণ মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরছেন জেলেরা। পরে সাইজ অনুযায়ী ২২-২৭ হাজার টাকা মণ দরে প্রায় ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় মাছগুলো বিক্রি করেন জেলেরা।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) এফবি সাফওয়ান ৩ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলারের জেলেরা পাথরঘাটা উপজেলার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বিএফডিসি ঘাটে বিপুল পরিমাণ এ ইলিশ নিয়ে আসেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৯ অক্টোবর পাথরঘাটা থেকে এফবি সাফওয়ান ৩ নামের একটি ট্রলার নিয়ে ১৯ জন জেলে সাগরে মাছ শিকার করতে যায়। পরে কুয়াকাটা থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার গভীরে গিয়ে সাগরে জাল ফেলেন তারা। পরে জাল টেনে তুললে তাতে ধরা পড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। এ সময় ধরা পড়া ১৪০ মণ ইলিশে ট্রলারটি বোঝাই হয়ে গেলে, বাকি আরও প্রায় ২৫-৩০ মণ ইলিশ অন্য আরেকটি ট্রলারে তুলে দেন জেলেরা। পরে ট্রলার ভর্তি ইলিশ নিয়ে জেলেরা পাথরঘাটার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বিএফডিসি ঘাটে এসে সাইফ ফিশ নামের একটি আড়তে তুলে ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় মাছগুলো বিক্রি করেন।

ট্রলারের মাঝি রুবেল বলেন, সাগরে গিয়ে বিকেলে জাল ফেলার পর টেনে তুলতে গিয়ে দেখি জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছে। আমাদের ট্রলারের মাছ রাখার তিনটি কল সম্পূর্ণ ভরে গেছে। তবে মাছ বেশি থাকায় কিছু জাল কেটে মাছসহ ফেলেও দিতে হয়েছে।

এফবি সাফওয়ান ৩ নামের ওই ট্রলারের মালিক মানিক মিয়া বলেন, সাগরে অনেক দিন ধরেই তেমন মাছ পাওয়া যায়নি। এ কারণে একদিকে আমরা লোকসানে ছিলাম। তবে নিষেধাজ্ঞার পর সাগরে গিয়ে একবারে এত মাছ পাওয়ায় আমাদের পূর্বে যা লোকসান হয়েছে তা কিছুটা হলেও এখন পুষিয়ে নিতে পারব।

পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাটের মৎস্য গবেষক বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ডিম ছাড়তে মা ইলিশ সাগর থেকে মিঠা পানির নদীতে চলে আসে। পরে ডিম ছাড়া শেষে আবারও সাগরের লোনা পানিতে যেতে শুরু করে। এছাড়া ইলিশ সাধারণত ঝাঁকে থাকে। নিষেধাজ্ঞার পর অনেক জেলেরা ভালো মাছ না পেলেও ওই ট্রলারের জেলেরা হয়তো ইলিশের একটি ঝাঁকে জাল ফেলতে পেরেছেন। আর এ কারণেই তাদের জালে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ছে।

 

জেএস

 

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘিরে দেশে অস্থিরতা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ট্রলারে ১৪০ মণ ইলিশ, সাড়ে ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি

আপডেট সময় ১০:১৩:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫

নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে মাছ শিকার করতে গিয়ে বরগুনার একটি ট্রলারে ধরা পড়েছে প্রায় ১৭০ মণ ইলিশ। তবে ওই ট্রলারটিতে এত মাছ এক সঙ্গে বোঝাই করতে না পেরে ১৪০ মণ মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরছেন জেলেরা। পরে সাইজ অনুযায়ী ২২-২৭ হাজার টাকা মণ দরে প্রায় ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় মাছগুলো বিক্রি করেন জেলেরা।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) এফবি সাফওয়ান ৩ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলারের জেলেরা পাথরঘাটা উপজেলার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বিএফডিসি ঘাটে বিপুল পরিমাণ এ ইলিশ নিয়ে আসেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৯ অক্টোবর পাথরঘাটা থেকে এফবি সাফওয়ান ৩ নামের একটি ট্রলার নিয়ে ১৯ জন জেলে সাগরে মাছ শিকার করতে যায়। পরে কুয়াকাটা থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার গভীরে গিয়ে সাগরে জাল ফেলেন তারা। পরে জাল টেনে তুললে তাতে ধরা পড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। এ সময় ধরা পড়া ১৪০ মণ ইলিশে ট্রলারটি বোঝাই হয়ে গেলে, বাকি আরও প্রায় ২৫-৩০ মণ ইলিশ অন্য আরেকটি ট্রলারে তুলে দেন জেলেরা। পরে ট্রলার ভর্তি ইলিশ নিয়ে জেলেরা পাথরঘাটার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বিএফডিসি ঘাটে এসে সাইফ ফিশ নামের একটি আড়তে তুলে ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় মাছগুলো বিক্রি করেন।

ট্রলারের মাঝি রুবেল বলেন, সাগরে গিয়ে বিকেলে জাল ফেলার পর টেনে তুলতে গিয়ে দেখি জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছে। আমাদের ট্রলারের মাছ রাখার তিনটি কল সম্পূর্ণ ভরে গেছে। তবে মাছ বেশি থাকায় কিছু জাল কেটে মাছসহ ফেলেও দিতে হয়েছে।

এফবি সাফওয়ান ৩ নামের ওই ট্রলারের মালিক মানিক মিয়া বলেন, সাগরে অনেক দিন ধরেই তেমন মাছ পাওয়া যায়নি। এ কারণে একদিকে আমরা লোকসানে ছিলাম। তবে নিষেধাজ্ঞার পর সাগরে গিয়ে একবারে এত মাছ পাওয়ায় আমাদের পূর্বে যা লোকসান হয়েছে তা কিছুটা হলেও এখন পুষিয়ে নিতে পারব।

পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাটের মৎস্য গবেষক বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ডিম ছাড়তে মা ইলিশ সাগর থেকে মিঠা পানির নদীতে চলে আসে। পরে ডিম ছাড়া শেষে আবারও সাগরের লোনা পানিতে যেতে শুরু করে। এছাড়া ইলিশ সাধারণত ঝাঁকে থাকে। নিষেধাজ্ঞার পর অনেক জেলেরা ভালো মাছ না পেলেও ওই ট্রলারের জেলেরা হয়তো ইলিশের একটি ঝাঁকে জাল ফেলতে পেরেছেন। আর এ কারণেই তাদের জালে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ছে।

 

জেএস