ঢাকা , বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রায়গঞ্জে রোপা আমন ধান নষ্ট:

অতিবৃষ্টি-ঘূর্ণিঝড়ে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি এবং ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় রোপা আমন ধান ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। মাঠের পর মাঠ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় হাজারো কৃষক এখন চরম দুশ্চিন্তায়।

টানা কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণে উপজেলার ধামাইনগর, সোনাখাড়া, চান্দাইকোনা, পাঙ্গাসী, নলকাসহ নয়টি ইউনিয়নের কৃষিজমি জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় ধানের শীষসহ গাছ পুরোপুরি পানির নিচে। কৃষকদের আশঙ্কা, এভাবে আর কিছুদিন থাকলে ধান গাছের গোড়ায় পচন ধরবে এবং সম্পূর্ণ ফসল নষ্ট হয়ে যাবে।

হতাশায় কৃষক:
ধান কাটার প্রস্তুতি চলছিল, এমন সময় হঠাৎ বৃষ্টিতে সব মাঠ ডুব যাওয়ায় কৃষকরা সময়মতো ফসল ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কিত। পাঙ্গাসী গ্রামের কৃষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ধান পেকে গেছে, এখন কাটার সময়। কিন্তু মাঠে পানি জমে যাওয়ায় নামাই যাচ্ছে না। আরেক কৃষক আব্দুল করিম জানান, “বৃষ্টি আর জোয়ারে ফসল ডুবে গেছে। কয়েকদিনের মধ্যে পানি না নামলে পুরো বছরের পরিশ্রম শেষ হয়ে যাবে।

যোগাযোগ এবং পরিবহন ব্যাহত:
টানা বৃষ্টিতে গ্রামীণ সড়ক ও হাটবাজারও জলাবদ্ধ হওয়ায় ফসল পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। বাধ্য হয়ে অনেক কৃষক কাটার আগেই ক্ষেতে দাঁড়ানো ধান কম দামে বিক্রির চিন্তা করছেন।

কৃষি বিভাগের উদ্বেগ:
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলমান মৌসুমি বৃষ্টিতে সবকটি ইউনিয়নে রোপা আমন ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম বলেন, “এই সময়ে বৃষ্টি আমনের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। পানির নিচে থাকা ধানগাছ বেশিদিন টিকবে না।” তিনি আরও জানান, তারা মাঠ পর্যায়ে নজর রাখছেন এবং পানি দ্রুত সরে গেলে ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কমানো যেতে পারে। ক্ষতির সঠিক পরিমাণ পানি নামলে জানা যাবে।

এএস/

রায়গঞ্জে রোপা আমন ধান নষ্ট:

অতিবৃষ্টি-ঘূর্ণিঝড়ে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

আপডেট সময় ০৩:০৯:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫

সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি এবং ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় রোপা আমন ধান ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। মাঠের পর মাঠ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় হাজারো কৃষক এখন চরম দুশ্চিন্তায়।

টানা কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণে উপজেলার ধামাইনগর, সোনাখাড়া, চান্দাইকোনা, পাঙ্গাসী, নলকাসহ নয়টি ইউনিয়নের কৃষিজমি জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় ধানের শীষসহ গাছ পুরোপুরি পানির নিচে। কৃষকদের আশঙ্কা, এভাবে আর কিছুদিন থাকলে ধান গাছের গোড়ায় পচন ধরবে এবং সম্পূর্ণ ফসল নষ্ট হয়ে যাবে।

হতাশায় কৃষক:
ধান কাটার প্রস্তুতি চলছিল, এমন সময় হঠাৎ বৃষ্টিতে সব মাঠ ডুব যাওয়ায় কৃষকরা সময়মতো ফসল ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কিত। পাঙ্গাসী গ্রামের কৃষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ধান পেকে গেছে, এখন কাটার সময়। কিন্তু মাঠে পানি জমে যাওয়ায় নামাই যাচ্ছে না। আরেক কৃষক আব্দুল করিম জানান, “বৃষ্টি আর জোয়ারে ফসল ডুবে গেছে। কয়েকদিনের মধ্যে পানি না নামলে পুরো বছরের পরিশ্রম শেষ হয়ে যাবে।

যোগাযোগ এবং পরিবহন ব্যাহত:
টানা বৃষ্টিতে গ্রামীণ সড়ক ও হাটবাজারও জলাবদ্ধ হওয়ায় ফসল পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। বাধ্য হয়ে অনেক কৃষক কাটার আগেই ক্ষেতে দাঁড়ানো ধান কম দামে বিক্রির চিন্তা করছেন।

কৃষি বিভাগের উদ্বেগ:
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলমান মৌসুমি বৃষ্টিতে সবকটি ইউনিয়নে রোপা আমন ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম বলেন, “এই সময়ে বৃষ্টি আমনের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। পানির নিচে থাকা ধানগাছ বেশিদিন টিকবে না।” তিনি আরও জানান, তারা মাঠ পর্যায়ে নজর রাখছেন এবং পানি দ্রুত সরে গেলে ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কমানো যেতে পারে। ক্ষতির সঠিক পরিমাণ পানি নামলে জানা যাবে।

এএস/