ঢাকা , বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুঘল আমলের ঐতিহ্যবাহী মিঞা বাড়ি শাহী জামে মসজিদ অযত্নে ক্ষয়িষ্ণু

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব দেউলী গ্রামে অবস্থিত মুঘল আমলের ঐতিহাসিক নিদর্শন মিঞা বাড়ি শাহী জামে মসজিদ। স্থানীয়ভাবে এটি ‘মিঞা বাড়ির মসজিদ’ নামে পরিচিত। জমিদার আরমান আলী কর্তৃক নির্মিত এই স্থাপত্যটি সঠিক তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বর্তমানে তার সৌন্দর্য ও জৌলুস হারাতে বসেছে।

ঐতিহাসিক বিবরণ:
* মসজিদটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট এবং সম্পূর্ণ চুন-সুরকি দিয়ে নির্মিত।
* এর মূল ভবনের পরিমাপ প্রায় ২০০ বর্গফুট এবং উচ্চতা প্রায় ৫০ ফুট।
* মসজিদের চার কোণায় চারটি বড় মিনার, মাঝখানে একটি বড় মিনার এবং ৮টি ছোট মিনার রয়েছে।

একতলা এই মসজিদের গায়ে মুসলিম স্থাপত্যের নিখুঁত কারুকার্য খচিত (সাদা রঙের ফুল আঁকা) রয়েছে। মসজিদের ভেতরে একসঙ্গে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের পূর্বপাশে প্রায় এক একর জায়গাজুড়ে একটি ঘাট বাঁধানো বড় দীঘি রয়েছে।

বর্তমান দুর্দশা:
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে মসজিদের ভেতর ও বাইরের পলেস্তারা খসে পড়ছে এবং ভেতরের চুন-সুরকি বেরিয়ে গেছে। ইমাম মাওলানা মো. ইউসুফ জানান, দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এই ঐতিহ্যের সাক্ষী দেখতে এলেও এখন শুধুই অযত্ন আর অবহেলার ছাপ চোখে পড়ে।

কর্তৃপক্ষের আশ্বাস ও স্থানীয়দের দাবি:
স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত মসজিদটির প্রাচীন নকশা অক্ষুণ্ন রেখে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন, যাতে এটি আবার দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম গুরুত্ব স্বীকার করে বলেন, “প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ হিসেবে মসজিদটি গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত মসজিদটি সংস্কারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

ঐতিহ্যের এই নিদর্শনটিকে রক্ষা করতে দ্রুততম সময়ে সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা।

এএস/

মুঘল আমলের ঐতিহ্যবাহী মিঞা বাড়ি শাহী জামে মসজিদ অযত্নে ক্ষয়িষ্ণু

আপডেট সময় ০৭:০৬:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব দেউলী গ্রামে অবস্থিত মুঘল আমলের ঐতিহাসিক নিদর্শন মিঞা বাড়ি শাহী জামে মসজিদ। স্থানীয়ভাবে এটি ‘মিঞা বাড়ির মসজিদ’ নামে পরিচিত। জমিদার আরমান আলী কর্তৃক নির্মিত এই স্থাপত্যটি সঠিক তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বর্তমানে তার সৌন্দর্য ও জৌলুস হারাতে বসেছে।

ঐতিহাসিক বিবরণ:
* মসজিদটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট এবং সম্পূর্ণ চুন-সুরকি দিয়ে নির্মিত।
* এর মূল ভবনের পরিমাপ প্রায় ২০০ বর্গফুট এবং উচ্চতা প্রায় ৫০ ফুট।
* মসজিদের চার কোণায় চারটি বড় মিনার, মাঝখানে একটি বড় মিনার এবং ৮টি ছোট মিনার রয়েছে।

একতলা এই মসজিদের গায়ে মুসলিম স্থাপত্যের নিখুঁত কারুকার্য খচিত (সাদা রঙের ফুল আঁকা) রয়েছে। মসজিদের ভেতরে একসঙ্গে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের পূর্বপাশে প্রায় এক একর জায়গাজুড়ে একটি ঘাট বাঁধানো বড় দীঘি রয়েছে।

বর্তমান দুর্দশা:
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে মসজিদের ভেতর ও বাইরের পলেস্তারা খসে পড়ছে এবং ভেতরের চুন-সুরকি বেরিয়ে গেছে। ইমাম মাওলানা মো. ইউসুফ জানান, দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এই ঐতিহ্যের সাক্ষী দেখতে এলেও এখন শুধুই অযত্ন আর অবহেলার ছাপ চোখে পড়ে।

কর্তৃপক্ষের আশ্বাস ও স্থানীয়দের দাবি:
স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত মসজিদটির প্রাচীন নকশা অক্ষুণ্ন রেখে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন, যাতে এটি আবার দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম গুরুত্ব স্বীকার করে বলেন, “প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ হিসেবে মসজিদটি গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত মসজিদটি সংস্কারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

ঐতিহ্যের এই নিদর্শনটিকে রক্ষা করতে দ্রুততম সময়ে সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা।

এএস/