জুলাই-আগস্টের বিপ্লববিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বহিষ্কৃত শিক্ষকদের পক্ষে ফের মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম ও মার্কেটিং বিভাগের মাজেদুল হকের বহিষ্কারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ওই দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে উভয় বিভাগের শিক্ষার্থীরা বহিষ্কৃত শিক্ষকদের জুলাইবিরোধী ভূমিকা অস্বীকার করে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান। এরআগে শনিবার একই দাবিতে আইন বিভাগের দুই শিক্ষক অধ্যাপক ড. শাহজাহান মন্ডল ও রেবা মন্ডলের পক্ষে মানববন্ধন করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রোববার মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা ফ্যাসিস্টদের সমর্থন করি না। যদি সুনির্দিষ্ট অপরাধ প্রমাণ হয় তাহলে শাস্তি হবে। ৪ আগস্ট আন্দোলনের বিরুদ্ধে স্যাররা সমাবেশ করেছে। তারা যদি আমাদের বিরোধিতা করতো তাহলে আমাদের প্রোগ্রামে বাধা দিতো, ক্লাসে প্রেশার দিতো। এখন ৫ তারিখের আগে কি আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিলো? রাজনৈতিক ভিন্নমত তো থাকবেই। তাদের বহিষ্কারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষার্থীরা। তাদের বহিষ্কারাদেশ পুনর্বিবেচনা করা হোক।
জানা গেছে, জুলাই বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত এবং ৩৩ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও সনদ বাতিল করেছে প্রশাসন। বহিষ্কৃত শিক্ষকদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে শাস্তি নির্ধারণ কমিটি করবেন উপাচার্য। তবে এর পরপরই বহিষ্কৃত শিক্ষকদের পক্ষে সরব হয়েছেন তাদের মদদপুষ্ট কিছু শিক্ষার্থী। অভিযোগ রয়েছেÑ বহিষ্কৃত শিক্ষকরা নিজেদের রক্ষায় শিক্ষার্থীদের সুকৌশলে ব্যবহার করছেন। একই সঙ্গে বিভাগগুলোর কিছু সিনিয়র শিক্ষার্থী নবীনদের ভয়-ভীতি ও বিভ্রান্তির মাধ্যমে বিভাগীয় ব্যানারে আন্দোলনে নামাচ্ছেন। এ নিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে সমালোচনা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এদিকে ক্যাম্পাসে জুলাইবিরোধী শক্তির আস্ফালনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। দুপুর দেড়টায় ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রশাসন ভবন চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করে তারা। এতে শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতারা অংশ নেয়। এক সপ্তাহের মধ্যে জুলাইবিরোধী সকলকে শাস্তির আওতায় আনার হুশিয়ারী দিয়ে সমাবেশে বক্তারা বলেন, গনহত্যার বৈধতা দেওয়া শিক্ষকদের শাস্তি দিতে প্রশাসনের করা তালিকায় অনেক রাঘববোয়ালদের নাম আসেনি। অভ্যুত্থানবিরোধী শক্তি শিক্ষার্থীদেরকে ম্যানিপুলেট করে জুলাইবিরোধী কাজগুলো করানোর চেষ্টা করছে। আগামী এক সপ্তাহে মধ্যে জুলাইবিরোধী সকলকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
এএস/

যুবরাজকে বিব্রত করতে এ প্রশ্ন করেছেন— সাংবাদিককে শাসালেন ট্রাম্প
ইবি প্রতিনিধি 























