ঢাকা , বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪২ বিসিকের দুর্দশা: আগাছায় ঢাকা শিল্পনগরী, সচল মাত্র ৩ কারখানা

চার বছর আগে ৪১ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় ২৫.২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বিসিক শিল্পনগরীটি বর্তমানে আগাছায় ঢাকা ও কার্যত অকার্যকর। সরকারের বিপুল অর্থ খরচ হলেও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবে এবং কর্তৃপক্ষের ধীরগতির কারণে পুরো কার্যক্রম এখনো চালু হয়নি। ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না এবং সরকারি অবকাঠামো নষ্ট হচ্ছে। 

৭৮টি প্লটের মধ্যে ৩১টি বিক্রি হলেও নানা জটিলতায় ৬টি বাতিল হয়েছে। ২৫ জন উদ্যোক্তার মধ্যে ২২ জনই প্লট খালি ফেলে রেখেছেন। কেবল ৭টি ভবনের কাজ শুরু হলেও চালু আছে মাত্র ৩টি কারখানা।

উদ্যোক্তারা গ্যাস সংযোগ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, স্থায়ী বিদ্যুৎ এবং নিরাপত্তাহীনতা ও ভাঙাচোরা অবকাঠামোর অভাবে বিনিয়োগে অনাগ্রহী। স্থানীয়দের মতে, বিসিক এখন ‘জঙ্গলে’ পরিণত হয়েছে।

বিসিক কর্তৃপক্ষ জানায়, অন্তত ২০টি শিল্পকারখানা গড়ে উঠলেই এলপিজি গ্যাস স্টেশন ও অন্যান্য সুবিধা নির্মাণ করা হবে। চুয়াডাঙ্গা বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক এ বি এম আনিসুজ্জামান জানান, ৪০ শতাংশ প্লট বরাদ্দ হয়েছে এবং বাকিগুলোও দ্রুত হবে। বরাদ্দপ্রাপ্তদের দ্রুত কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে, অন্যথায় প্লট বাতিলের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিসিকের বড় সুবিধা হলো, উদ্যোক্তারা মাত্র ১৫-২০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে কারখানা নির্মাণ করে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করতে পারেন এবং ৫ শতাংশ সুদে ৬-৭ বছরে কিস্তিতে বাকি টাকা পরিশোধের সুযোগ পান।

প্রকল্পটি চালু হলে শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হতো বলে স্থানীয়রা মনে করেন। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমেই সরকারি অর্থায়নে গড়ে ওঠা এই শিল্পনগরীটিকে কাজে লাগানো সম্ভব।

 

এএস/

 

৪২ বিসিকের দুর্দশা: আগাছায় ঢাকা শিল্পনগরী, সচল মাত্র ৩ কারখানা

আপডেট সময় ০৮:৩৯:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫

চার বছর আগে ৪১ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় ২৫.২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বিসিক শিল্পনগরীটি বর্তমানে আগাছায় ঢাকা ও কার্যত অকার্যকর। সরকারের বিপুল অর্থ খরচ হলেও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবে এবং কর্তৃপক্ষের ধীরগতির কারণে পুরো কার্যক্রম এখনো চালু হয়নি। ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না এবং সরকারি অবকাঠামো নষ্ট হচ্ছে। 

৭৮টি প্লটের মধ্যে ৩১টি বিক্রি হলেও নানা জটিলতায় ৬টি বাতিল হয়েছে। ২৫ জন উদ্যোক্তার মধ্যে ২২ জনই প্লট খালি ফেলে রেখেছেন। কেবল ৭টি ভবনের কাজ শুরু হলেও চালু আছে মাত্র ৩টি কারখানা।

উদ্যোক্তারা গ্যাস সংযোগ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, স্থায়ী বিদ্যুৎ এবং নিরাপত্তাহীনতা ও ভাঙাচোরা অবকাঠামোর অভাবে বিনিয়োগে অনাগ্রহী। স্থানীয়দের মতে, বিসিক এখন ‘জঙ্গলে’ পরিণত হয়েছে।

বিসিক কর্তৃপক্ষ জানায়, অন্তত ২০টি শিল্পকারখানা গড়ে উঠলেই এলপিজি গ্যাস স্টেশন ও অন্যান্য সুবিধা নির্মাণ করা হবে। চুয়াডাঙ্গা বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক এ বি এম আনিসুজ্জামান জানান, ৪০ শতাংশ প্লট বরাদ্দ হয়েছে এবং বাকিগুলোও দ্রুত হবে। বরাদ্দপ্রাপ্তদের দ্রুত কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে, অন্যথায় প্লট বাতিলের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিসিকের বড় সুবিধা হলো, উদ্যোক্তারা মাত্র ১৫-২০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে কারখানা নির্মাণ করে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করতে পারেন এবং ৫ শতাংশ সুদে ৬-৭ বছরে কিস্তিতে বাকি টাকা পরিশোধের সুযোগ পান।

প্রকল্পটি চালু হলে শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হতো বলে স্থানীয়রা মনে করেন। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমেই সরকারি অর্থায়নে গড়ে ওঠা এই শিল্পনগরীটিকে কাজে লাগানো সম্ভব।

 

এএস/