বোরো ধানের বীজতলা তৈরির উপযুক্ত সময় অগ্রহায়ণ মাসে এসেই সারাদেশের কৃষকরা বীজের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির সম্মুখীন হয়েছেন। গত বছরের তুলনায় এবার বোরো ধানের হাইব্রিড বীজের দাম ৩০ শতাংশেরও বেশি বেড়ে যাওয়ায় কৃষকদের চাষাবাদ খরচ অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মৌসুমের শুরুতেই এমন পরিস্থিতি গ্রামীণ অর্থনীতিতে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ধান বীজে ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দাম হাঁকা হচ্ছে।
হাইব্রিড মোটা জাতের বীজের দাম ৩২০-৩৩০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২০-৪৪০ টাকায়, এবং হাইব্রিড চিকন জাতের বীজ ৩৪০-৩৪৫ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৪০-৪৬০ টাকায়।

কম জীবনকাল ও অধিক ফলনের আশায় কৃষকরা, উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড বীজের দিকে ঝুঁকলেও, এই আকাশছোঁয়া দামে তারা হতাশ।
এক কৃষক হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, গত বছর যে বীজ সাড়ে তিনশ’ টাকায় কিনেছি, এবার তা সাড়ে চারশো টাকা। কিছুদিন পর হালচাষ, সার ও শ্রমিকের দামও বাড়বে। এভাবে চলতে থাকলে ধান চাষ করে আমাদের লাভ কী হবে।
সার-বীজ ব্যবসায়ীরা কোম্পানিগুলোর মূল্যবৃদ্ধিকে এর জন্য দায়ী করছেন। তবে হঠাৎ করে বীজের এত বড় উল্লম্ফনে বাজারে কোনো শক্তিশালী সিন্ডিকেট কাজ করছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বোরো আবাদের শুরুতে বীজের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি একদিকে যেমন কৃষকদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে, তেমনি এটি সামগ্রিকভাবে খাদ্য উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। দ্রুত সরকারি নজরদারি এবং কার্যকর বাজার নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা না গেলে আগামী মৌসুমে খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।
এএস/

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে শক্ত অবস্থানে থাকার আহ্বান মঈন খানের
কান্ট্রি ডেস্ক 























