সাতক্ষীরার শ্যামনগরে চিংড়ি ঘেরে নোনাপানি প্রবেশ করানোর জন্য রাতের আঁধারে কেটে ফেলা হয়েছে উপকূল রক্ষা বাঁধের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শনিবার রাতে উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর জেলেপাড়ায় শ্যামনগরকে সুরক্ষিত রাখা ৫ নম্বর পোল্ডার বাঁধের এই ক্ষতি করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘেরমালিক সাজেদুর রহমান শান্ত তাঁর চিংড়ি ঘেরে মালঞ্চ নদী থেকে নোনাপানি নেওয়ার জন্য এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
এলাকাবাসীর বাধা পেয়ে সাজেদুর ও স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর নেতা ফজলুল হকের বিরুদ্ধে হুমকির দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এশার আলী নামে এক গ্রামবাসী জানান, শনিবার রাত ৯টার দিকে সাজেদুর লোকজন নিয়ে বাঁধের ওপরের পাকা সড়কসহ কয়েক ফুট গভীর করে বাঁধ কেটে প্লাস্টিকের পাইপ বসান। তারা আপত্তি জানালে সাজেদুর ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি দেন এবং নিজেকে কোটি কোটি টাকার ব্যবসায়ী বলে দাবি করেন।
হুমকির শিকার আনিছুর রহমান জানান, এই বাঁধটি বারবার ভাঙনের শিকার হয়। এর ওপর নির্মিত কার্পেটিং রাস্তাও কেটে ফেলায় চলাচলের একমাত্র পথটি আরও খারাপ হয়ে গেল। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, সাজেদুরের এই কাজ অন্যদের উৎসাহিত করবে এবং গোটা এলাকায় ভাঙনের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়াবে।
অন্যদিকে, ঘেরমালিক সাজেদুর রহমান শান্ত হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মী আপেল তাঁকে বাঁধ কেটে পাইপ স্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন।
জামায়াতে ইসলামীর নেতা ফজলুল হকও হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পানির অভাবে মাছ মারা যাওয়ায় সাজেদুর বাধ্য হয়ে পাইপ স্থাপন করেছেন। তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যেতে সুপারিশ করে “সহযোগিতা” কামনা করেন।
পাউবো শ্যামনগরের উপসহকারী প্রকৌশলী প্রিন্স রেজা জানান, তারা খোঁজ নেবেন। অনেক সময় অভিযান বন্ধ থাকায় অনেকে সুযোগ নিচ্ছেন।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেদারুল ইসলাম স্পষ্ট জানিয়েছেন, উপকূল রক্ষা বাঁধের ক্ষতি করে কোনো কাজ করা যাবে না। কেউ বাঁধ কেটে থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তিনি এ বিষয়ে পাউবো কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন।
এএস/

সিঙ্গাপুর থেকে এক কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার
শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি 






















