একসময় সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার গ্রামীণ জনপদে তাল, খেজুর কিংবা নারকেল গাছে বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা ছিল এক স্বাভাবিক দৃশ্য। বাতাসে দোল খাওয়া সেই শৈল্পিক বাসা এবং বাবুই পাখির কিচিরমিচির গান গ্রামীণ সৌন্দর্যের প্রতীক ছিল। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, প্রকৃতির সেই পরিশ্রমী শিল্পী আজ ওসমানীনগর থেকে প্রায় বিলুপ্ত।
ওসমানীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নেই এখন আর আগের মতো বাবুই পাখির বাসা চোখে পড়ে না। গোয়ালাবাজার, তাজপুর, উমরপুর, দয়ামীরসহ বিভিন্ন এলাকার প্রবীণরা জানান, একসময় বাড়ির পাশে সহজেই এদের বাসা দেখা যেত, যা দেখে তারা আনন্দ পেতেন। কিন্তু সেই দৃশ্য এখন কেবলই স্মৃতি।
স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি তরিক উল্লা বলেন, “বহু বছর হলো বাড়ির পাশে বাবুই পাখির বাসা দেখি না। নতুন প্রজন্ম হয়তো এই শিল্পকর্ম দেখেইনি।”
পরিবেশবিদ ও সচেতন মহল মনে করছেন, গাছপালা নিধন, কৃষিজমিতে কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহার এবং সামগ্রিকভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্যের অবনতির কারণেই এই পরিযায়ী ও পরিশ্রমী পাখি দ্রুত বিলুপ্ত হচ্ছে।
গ্রামীণ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে বৃক্ষরোপণ এবং পাখিবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা না গেলে প্রকৃতির এই অসাধারণ শিল্পী চিরতরে হারিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন পরিবেশকর্মীরা।
এএস/

চানখারপুলে ছয় হত্যায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য শেষ, জেরা ২৩ নভেম্বর
ওসমানীনগর (সিলেট) প্রতিনিধি 























