ঢাকা , বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুবাই থেকে ফিরে বিমানবন্দরে ৫৭ মামলার আসামি গ্রেপ্তার

সিলেটে রুহুল আমিন নামে দীর্ঘদিনের পলাতক ও ৫৭টি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।

রুহুল আমিন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের এয়াকুবদণ্ডী পাইরোল গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে। দুবাইয়ে পাড়ি জমানোর আগে চট্টগ্রাম নগরের চাক্তাই ফিশারি ঘাটে তার মাছের আড়ত ছিল। রুহুলের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় ২৭টি সিআর, একটি জিআর ও চারটি সিআর সাজা ওয়ারেন্টসহ মোট ৩২টি পরোয়ানা মুলতবি রয়েছে।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় তাঁর বিরুদ্ধে ১৯টি সিআর মামলা ও ছয়টি সাজা ওয়ারেন্ট রয়েছে। গত পাঁচ বছর তিনি দুবাইয়ে ছিলেন।

দুবাই থেকে শুক্রবার বিকেলে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান রুহুল। পরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। সিলেট ইমিগ্রেশন থানা থেকে দ্রুত খবরটি পটিয়া থানায় জানানো হয়।

চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতুর নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পটিয়া সার্কেল ও পটিয়া থানার ওসি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি টিম গত শুক্রবার রাতে সিলেটে যায়। সেখানে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছ থেকে রুহুলকে নিয়ে শনিবার বিকেলে পটিয়া থানায় আসেন তারা।

পটিয়া থানার ওসি নুরুজ্জামান জানান, রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে ৫৭টি ওয়ারেন্ট রয়েছে। তিনি একজন পেশাদার প্রতারক। তার বিরুদ্ধে আরও মামলা বা ওয়ারেন্ট থাকতে পারে।

এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তাকে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে তার বিষয়ে জানতে থানায় শতাধিক ফোন এসেছে। গতকাল রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

এএস/

 

দুবাই থেকে ফিরে বিমানবন্দরে ৫৭ মামলার আসামি গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৭:০৩:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

সিলেটে রুহুল আমিন নামে দীর্ঘদিনের পলাতক ও ৫৭টি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।

রুহুল আমিন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের এয়াকুবদণ্ডী পাইরোল গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে। দুবাইয়ে পাড়ি জমানোর আগে চট্টগ্রাম নগরের চাক্তাই ফিশারি ঘাটে তার মাছের আড়ত ছিল। রুহুলের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় ২৭টি সিআর, একটি জিআর ও চারটি সিআর সাজা ওয়ারেন্টসহ মোট ৩২টি পরোয়ানা মুলতবি রয়েছে।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় তাঁর বিরুদ্ধে ১৯টি সিআর মামলা ও ছয়টি সাজা ওয়ারেন্ট রয়েছে। গত পাঁচ বছর তিনি দুবাইয়ে ছিলেন।

দুবাই থেকে শুক্রবার বিকেলে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান রুহুল। পরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। সিলেট ইমিগ্রেশন থানা থেকে দ্রুত খবরটি পটিয়া থানায় জানানো হয়।

চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতুর নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পটিয়া সার্কেল ও পটিয়া থানার ওসি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি টিম গত শুক্রবার রাতে সিলেটে যায়। সেখানে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছ থেকে রুহুলকে নিয়ে শনিবার বিকেলে পটিয়া থানায় আসেন তারা।

পটিয়া থানার ওসি নুরুজ্জামান জানান, রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে ৫৭টি ওয়ারেন্ট রয়েছে। তিনি একজন পেশাদার প্রতারক। তার বিরুদ্ধে আরও মামলা বা ওয়ারেন্ট থাকতে পারে।

এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তাকে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে তার বিষয়ে জানতে থানায় শতাধিক ফোন এসেছে। গতকাল রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

এএস/