পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও কর্মী সংকটের পাশাপাশি সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি এবং দালাল ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চিকিৎসা প্রত্যাশীরা। সম্প্রতি এই অনিয়ম ভাঙতে গিয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) লাঞ্ছিত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
দালাল ও অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের হাতে আরএমও ডাক্তার শাহেদুল ইসলাম শিশির লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতিবাদে এবং হাসপাতালের সেবার মানোন্নয়নের দাবিতে নাগরিক অধিকার রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
নাগরিকদের মূল দাবি: ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা, তীব্র চিকিৎসক সংকট দূর করা, অ্যাম্বুলেন্স ও দালাল চক্রকে প্রতিহত করা এবং কর্তব্যরত সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
প্রায় সাড়ে ৫ লাখ মানুষের একমাত্র ভরসা এই হাসপাতালে ২৮টি প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন অর্ধেকেও কম চিকিৎসক। এক্স-রে ফ্লিম ও টেকনিশিয়ানের অভাবে এক্স-রে মেশিন প্রায় অকেজো; আল্ট্রাসনো করার ডাক্তার না থাকায় আল্ট্রাসনো মেশিনও অচল।
কতিপয় কর্মরত চিকিৎসক হাসপাতালের ডিউটির চেয়ে নিজেদের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বেশি সময় দেন। কমিশন বাণিজ্যের লোভে রোগীকে হাসপাতালের প্যাথলজি ল্যাব থাকা সত্ত্বেও বাইরের অদক্ষ ক্লিনিকে ভুলভাল রিপোর্ট তৈরির মাধ্যমে প্রতারণা করা হয়। একমাত্র সরকারি অ্যাম্বুলেন্সটি রোগী পরিবহনের চেয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ব্যক্তিগত কাজে বেশি ব্যবহৃত হয়।
দীর্ঘদিন ধরে চলা এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে আরএমও ডাক্তার শাহেদুল ইসলাম শিশির পদক্ষেপ নেওয়ায় সিন্ডিকেট সদস্যরা তাকে লাঞ্ছিত করে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো. আলী এহসান জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, আরএমও লাঞ্ছিত হওয়ায় কর্মরত সকলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। নাগরিক অধিকার রক্ষা আন্দোলন হাসপাতালের এই দুরবস্থা নিরসনে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
এএস/

‘ধুরন্ধর’ এর ট্রেলারে রণবীর সিংয়ের অগ্নিমূর্তি চমকে দিল দর্শকদের
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি 























