ঢাকা , বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিমে রঙিন মাধবপুরের মাঠ,বাড়তি উৎপাদন খরচে কৃষকদের উদ্বেগ

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ফসলি মাঠজুড়ে এখন শীতের আগাম সবজি শিমের সবুজ সমারোহ। ফুলে ফুলে রঙিন শিমের ক্ষেত জানান দিচ্ছে ভালো ফলনের হাতছানি। কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন মাঠ পরিচর্যায়, তবে উৎপাদন খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে নতুন উদ্বেগ।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, চৌমুহনী, বহরা, শাহজাহানপুর, জগদীশপুর, নোয়াপাড়া ও ছাতিয়াইন ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি শিম চাষ হয়েছে। এসব অঞ্চলের কৃষকরা আগাম জাতের শীতকালীন শিম আবাদে ঝুঁকেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় প্রাথমিকভাবে কৃষকের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটলেও, সার-কীটনাশকের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং শ্রমিকের মজুরি বাড়ায় তারা হতাশ।

কৃষকরা জানান, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর প্রতি কানি জমিতে (৪০ শতক) শিম চাষের খরচ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

চৌমুহনী ইউনিয়নের কৃষক আজব আলী দুই একর জমিতে আগাম জাতের শিম চাষ করেছেন। তিনি বলেন, গত বছর এক বস্তা মিশ্র সার ১৪০০ টাকায় কিনেছি, এখন সেই একই সার কিনতে হচ্ছে দুই হাজার টাকায়। কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি- সবকিছুর দামই বেড়েছে।

এক কানি জমিতে গত বছর ২৩ হাজার টাকা খরচ হলেও, এবার খরচ হচ্ছে প্রায় ২৮ হাজার টাকা। বাজারে যদি শিমের দাম ভালো না পাই, তবে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ব।

তেলিয়াপাড়া এলাকার আরেক কৃষক শের আলী বলেন, তাদের এলাকায় শিমের ফলন ভালো হচ্ছে। কিন্তু খরচ এত বেড়ে গেছে যে, লাভ করতে হলে প্রতি কেজি শিমের দাম কমপক্ষে ৭০ টাকা হতে হবে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, দাম না বাড়লে অনেক কৃষক হয়তো আগামী বছর সবজি চাষ ছেড়ে দিতে বাধ্য হবেন।

এ বছর শিমসহ অন্যান্য সবজির উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় তা স্থানীয় কৃষি অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কৃষকদের লাভ নিশ্চিত করতে বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং কৃষি উপকরণের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি বলে মনে করছেন শিম চাষিরা।

এএস/

শিমে রঙিন মাধবপুরের মাঠ,বাড়তি উৎপাদন খরচে কৃষকদের উদ্বেগ

আপডেট সময় ০৬:৪১:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ফসলি মাঠজুড়ে এখন শীতের আগাম সবজি শিমের সবুজ সমারোহ। ফুলে ফুলে রঙিন শিমের ক্ষেত জানান দিচ্ছে ভালো ফলনের হাতছানি। কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন মাঠ পরিচর্যায়, তবে উৎপাদন খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে নতুন উদ্বেগ।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, চৌমুহনী, বহরা, শাহজাহানপুর, জগদীশপুর, নোয়াপাড়া ও ছাতিয়াইন ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি শিম চাষ হয়েছে। এসব অঞ্চলের কৃষকরা আগাম জাতের শীতকালীন শিম আবাদে ঝুঁকেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় প্রাথমিকভাবে কৃষকের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটলেও, সার-কীটনাশকের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং শ্রমিকের মজুরি বাড়ায় তারা হতাশ।

কৃষকরা জানান, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর প্রতি কানি জমিতে (৪০ শতক) শিম চাষের খরচ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

চৌমুহনী ইউনিয়নের কৃষক আজব আলী দুই একর জমিতে আগাম জাতের শিম চাষ করেছেন। তিনি বলেন, গত বছর এক বস্তা মিশ্র সার ১৪০০ টাকায় কিনেছি, এখন সেই একই সার কিনতে হচ্ছে দুই হাজার টাকায়। কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি- সবকিছুর দামই বেড়েছে।

এক কানি জমিতে গত বছর ২৩ হাজার টাকা খরচ হলেও, এবার খরচ হচ্ছে প্রায় ২৮ হাজার টাকা। বাজারে যদি শিমের দাম ভালো না পাই, তবে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ব।

তেলিয়াপাড়া এলাকার আরেক কৃষক শের আলী বলেন, তাদের এলাকায় শিমের ফলন ভালো হচ্ছে। কিন্তু খরচ এত বেড়ে গেছে যে, লাভ করতে হলে প্রতি কেজি শিমের দাম কমপক্ষে ৭০ টাকা হতে হবে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, দাম না বাড়লে অনেক কৃষক হয়তো আগামী বছর সবজি চাষ ছেড়ে দিতে বাধ্য হবেন।

এ বছর শিমসহ অন্যান্য সবজির উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় তা স্থানীয় কৃষি অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কৃষকদের লাভ নিশ্চিত করতে বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং কৃষি উপকরণের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি বলে মনে করছেন শিম চাষিরা।

এএস/