কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা বণ্টনে ব্যাপক অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। প্রকৃত দুস্থ ও ভাতাভোগীদের নাম তালিকা থেকে কেটে দিয়ে দালালদের মাধ্যমে সচ্ছল ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করে নিয়মিত ভাতা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এই জালিয়াতিতে ইউনিয়ন সমাজকর্মী জাইদুল ইসলাম জাহিদের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, রৌমারী উপজেলায় ২২ হাজার ৯৮৭ জন ভাতাভোগীর মধ্যে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী-এই তিন ক্যাটাগরিতে মোট ৬২০ জন সুবিধাভোগীর নাম তালিকা থেকে কাটা পড়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, চলতি বছরের প্রথম দিক থেকে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বহু প্রকৃত ভাতাভোগীর মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) নম্বরে টাকা আসা বন্ধ হয়ে যায়। টাপুরচর আশ্রয়কেন্দ্র এলাকার জন্মগত প্রতিবন্ধী রহম আলী বলেন, “আমি আগে থেকেই ভাতা পেতাম। কিন্তু এক বছর ধরে কোনো টাকা পাই না। শুনেছি স্যাররা নাম কেটে দিছেন।
মানবেতর জীবনযাপন করা এসব ভাতা বঞ্চিতরা দিনের পর দিন উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে যোগাযোগ করেও কোনো সমাধান পাচ্ছেন না।
বন্দবেড় ইউনিয়নের টাপুরচর আশ্রয়কেন্দ্র এলাকায় এই ভাতা জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে। ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, ইউনিয়ন সমাজকর্মী জাহিদ অর্থের বিনিময়ে একই পরিবারের একাধিক সচ্ছল ব্যক্তিকে প্রতিবন্ধী সাজিয়ে তালিকাভুক্ত করেছেন। মুঞ্জুয়ারা খাতুন ও সুফিয়া খাতুনসহ অসংখ্য নারী স্বামী বেঁচে থাকা সত্ত্বেও বিধবা ভাতা পাচ্ছেন।
একটি সূত্র জানায়, ইউনিয়ন সমাজকর্মী জাহিদ অনেকের নাম অজান্তে তালিকায় উঠিয়ে তাদের নামে করা মোবাইল সিম কার্ড নিজের সংগ্রহে রেখে দেন। এর মাধ্যমে আসা ভাতার টাকা তিনি নিজেই উঠিয়ে আত্মসাৎ করেন।
অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিয়ন সমাজকর্মী জাইদুল ইসলাম জাহিদ সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
বর্তমান উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম দায় এড়ানোর ভঙ্গিতে বলেন, “এসব ঘটনা আমি যোগদানের আগের। তাই এ বিষয়ে কিছু জানি না।
তিনি অবশ্য আশ্বাস দেন, সচ্ছল ব্যক্তির নাম তালিকায় থাকলে তা যাচাই-বাছাই করে বাদ দেওয়া হবে এবং প্রকৃত ভাতাবঞ্চিতরা নতুন করে আবেদন করতে পারবেন। তবে ভুক্তভোগীরা বলছেন, এই আশ্বাস সত্ত্বেও এক বছরের বেশি সময় ধরে তারা কোনো সমাধান পাচ্ছেন না।#

‘দাবাং ৪’ নিয়ে ইঙ্গিত দিলেন আরবাজ
মাহফুজ খন্দকার, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি 























