ঢাকা , বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত শুরু

সরকারি কাজে বাধা ও হুমকির মুখে পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক

লালমনিরহাট পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. শাহজালাল সরকারি কাজ করতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি, অফিস ও সরকারি গাড়ি ভাঙচুরের পরিকল্পনার খবর পেয়ে নিজের নিরাপত্তার জন্য থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) তিনি লালমনিরহাট সদর থানায় এই জিডি (নং- ১৭৬৮-২৫) নথিভুক্ত করেন।

দুর্নীতি চিহ্নিত করে বিপাকে নতুন উপ-পরিচালক মো. শাহজালাল চলতি বছরের ৮ এপ্রিল লালমনিরহাট পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পরই তিনি রুটিন পরিদর্শনে নেমে কার্যালয়ের ভেতরে ও মাঠ পর্যায়ে মারাত্মক কিছু অনিয়ম চিহ্নিত করেন।

উপ-পরিচালকের স্বাক্ষরিত জিডি সূত্রে জানা যায়, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় তার নজরে আসে:
অফিস সহকারি (কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক) মোছা. মনোয়ারা বেগম ও প্রাক্তন মেডিকেল অফিসার ডা. নিশাতনুর নাহারের সহযোগিতায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ২৫ লক্ষাধিক টাকা ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে সরকারি কোষাগার থেকে আত্মসাৎ করা হয়েছে।

জেলার কতিপয় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারি (প্রাক্তন টিএফটিএ) অনিয়ম ও দুর্নীতি করে লক্ষ লক্ষ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন।

মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি অনেক কর্মীকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত পান এবং সংশোধনের জন্য নোটিশ জারি করেন।

একজন নৈশ প্রহরী চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অনেকের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।

হেনস্থা ও ভাঙচুরের হুমকির অভিযোগ: 
অনিয়ম চিহ্নিত করার পর উপ-পরিচালক মো. শাহজালাল উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠান এবং মনোয়ারা বেগমসহ দুর্নীতিগ্রস্ত কয়েকজনকে জেলার বাইরে বদলির প্রস্তাব করেন।

জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, দুর্নীতিগ্রস্ত মোছা. মনোয়ারা বেগম এবং কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী যথাযথ কর্তৃপক্ষের ছুটি না নিয়ে বিভাগীয় পরিচালকের দপ্তরে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। একই সঙ্গে, বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে এই চক্রটি তাকে শারীরিক হেনস্থা সহ অফিস এবং তার ব্যবহৃত সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করার পরিকল্পনা করছে।

নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি: 
সাধারণ ডায়েরি প্রসঙ্গে উপ-পরিচালক মো. শাহজালাল বলেন, “আমি শুধু আমার সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছি। আমার শারীরিক হেনস্থা সহ অফিস এবং সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তারা যেন পরবর্তীতে কোনো অপ্রীতিকর কাজ করতে না পারে, সেই লক্ষ্যে নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে থানায় জিডি করেছি।

লালমনিরহাট সদর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই নুরীমা এবং অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ নূরনবী জিডি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

এএস/

 

দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত শুরু

সরকারি কাজে বাধা ও হুমকির মুখে পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক

আপডেট সময় ০৮:৩৫:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

লালমনিরহাট পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. শাহজালাল সরকারি কাজ করতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি, অফিস ও সরকারি গাড়ি ভাঙচুরের পরিকল্পনার খবর পেয়ে নিজের নিরাপত্তার জন্য থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) তিনি লালমনিরহাট সদর থানায় এই জিডি (নং- ১৭৬৮-২৫) নথিভুক্ত করেন।

দুর্নীতি চিহ্নিত করে বিপাকে নতুন উপ-পরিচালক মো. শাহজালাল চলতি বছরের ৮ এপ্রিল লালমনিরহাট পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পরই তিনি রুটিন পরিদর্শনে নেমে কার্যালয়ের ভেতরে ও মাঠ পর্যায়ে মারাত্মক কিছু অনিয়ম চিহ্নিত করেন।

উপ-পরিচালকের স্বাক্ষরিত জিডি সূত্রে জানা যায়, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় তার নজরে আসে:
অফিস সহকারি (কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক) মোছা. মনোয়ারা বেগম ও প্রাক্তন মেডিকেল অফিসার ডা. নিশাতনুর নাহারের সহযোগিতায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ২৫ লক্ষাধিক টাকা ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে সরকারি কোষাগার থেকে আত্মসাৎ করা হয়েছে।

জেলার কতিপয় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারি (প্রাক্তন টিএফটিএ) অনিয়ম ও দুর্নীতি করে লক্ষ লক্ষ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন।

মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি অনেক কর্মীকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত পান এবং সংশোধনের জন্য নোটিশ জারি করেন।

একজন নৈশ প্রহরী চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অনেকের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।

হেনস্থা ও ভাঙচুরের হুমকির অভিযোগ: 
অনিয়ম চিহ্নিত করার পর উপ-পরিচালক মো. শাহজালাল উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠান এবং মনোয়ারা বেগমসহ দুর্নীতিগ্রস্ত কয়েকজনকে জেলার বাইরে বদলির প্রস্তাব করেন।

জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, দুর্নীতিগ্রস্ত মোছা. মনোয়ারা বেগম এবং কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী যথাযথ কর্তৃপক্ষের ছুটি না নিয়ে বিভাগীয় পরিচালকের দপ্তরে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। একই সঙ্গে, বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে এই চক্রটি তাকে শারীরিক হেনস্থা সহ অফিস এবং তার ব্যবহৃত সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করার পরিকল্পনা করছে।

নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি: 
সাধারণ ডায়েরি প্রসঙ্গে উপ-পরিচালক মো. শাহজালাল বলেন, “আমি শুধু আমার সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছি। আমার শারীরিক হেনস্থা সহ অফিস এবং সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তারা যেন পরবর্তীতে কোনো অপ্রীতিকর কাজ করতে না পারে, সেই লক্ষ্যে নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে থানায় জিডি করেছি।

লালমনিরহাট সদর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই নুরীমা এবং অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ নূরনবী জিডি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

এএস/