ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেড এর মামলায় সপ্তাহে ১দিন শুনানী কাজ শুরু করেছে মহামান্য আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এই আদেশ প্রধান করেন ।
ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেড এর মামলার শুনানীতে কোম্পানি পক্ষের আইনজীবি এহসানুল হক সমাজী বলেন, মাননীয় আদালাত উচ্চ আদালতের আদেশে মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড এর মামলা প্রতি সপ্তাহে ২দিন শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
নিয়মিত শুনানীর কারনে ২০২২ সালের ১২ মে দ্রুত ঐ মামলায় রায় ঘোষণা করা সম্ভব হয়। আমরা গত তারিখে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ বলেছিলাম,তাই এই মামালায় ও প্রতি সপ্তাহে ১টি শুনানী করার জন্য আইনজীবি বিচারকের কাছে আবেদন জানান।
আইনজীবি তার বক্তব্যে বলেন আজ দুদকের পক্ষ থেকে কোন স্বাক্ষী উপস্থিত করেনি। আসামীদের পক্ষ হতে একজন গাড়ীর এসকট না পাওয়ায় তিনিও আদালতে আসতে পারেন নাই । মামলার আসামী মোহাম্মদ রফিকুল আমীন ইতিমধ্যে ১১ বছর সাজা খেটে ফেলেছেন।
তিনি আরও বলেন মাননীয় আদালত আপনিই আমাদের আশা ও ভরসার জায়গা । আপনি পূর্বের মামলার ন্যায় এই মামলা প্রতি সপ্তাহে ১দিন শুনানীর ব্যবস্থা করে দিন। বিচারক আইনজীবির বক্তব্য শুনে আগামী সপ্তাহের ৬জুন মামলার পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য করেন।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের শুনানীতে ডেসটিনি মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটের এর বিনিয়োগকারীদের পদচারনার আদালত প্রাঙ্গন ছিল পরিপূর্ণ । সকলের একটি চাওয়া পূর্বের মামলার ন্যায় এই মামলা টি আরও দ্রুত সময়ের মধ্যে নিস্পত্তি হবে।
চট্টগ্রাম এর বিনিয়োগকারী মোঃ আলতাফ হোসেন শামীম বলেন,আমার আমেরিকার নাগরিকত্ব ভিসা এসেছে একাধিকবার । শুধু মাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আমীন কে ভালবেসে ঐ সুযোগ কখনো গ্রহন করিনি। অপেক্ষা যেহেতু করেছি,তাই আশাকরি অল্প কিছুদিনের মধ্যে তিনি আমাদের মাঝে চলে আসবেন।
যশোর হতে আগত বিনিয়োগকারী সন্দীপ কুমার কর্মকার বলেন,২০১২ সাল হতে এই কোম্পানির ২টি মামলার শুনানীতে নিয়মিত ঢাকায় আশা ও যাওয়ার মধ্যেই আছি। তবে এখন সময় হয়েছে ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে কাছে পাওয়ার। আমাদের বিশ্বাস তিনি অল্প কিছু দিনের মধ্যে আমাদের সামনে উপস্থিত হবে।
মামলার শুনানীর সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন,পরিচালক পরিচালক ফারাহ দিবা।