ঢাকা , মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজার-কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকের ঢল

ছবি: সংগৃহীত।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে কক্সবাজার ও কুয়াকাট সমুদ্র সৈকত। দীর্ঘ একমাস পর হাসি ফুটেছে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের মুখে। পুরো রমজান মাস কক্সবাজার অনেকটা পর্যটকশূন্য ছিল। দর্শনার্থীর সেই খরা কেটেছে। ফলে  দীর্ঘ একমাস পর হাসি ফুটেছে হোটেল মোটেল ব্যবসায়ীদের মুখে। 

ঈদের দিন সকাল থেকেই কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণি পয়েন্টে পর্যটকরা আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় চরম আকার ধারণ করে। বিভিন্ন বয়সের মানুষ সাগরের নোনাজলে গোসল করতে নামেন। কেউ সৈকতে ঘোড়ায় চড়ে সমুদ্র দর্শন করছেন। কেউ আবার ওয়াটার বাইক ও বিচ বাইকে সৈকত দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।

কক্সবাজারের সৈকতে কর্মরত এক কর্মী জানান, স্থানীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা সৈকতে ছুটে আসেন। ঈদের দিনেই অন্তত ৪০ হাজার পর্যটক সৈকতে নেমেছেন। শুক্রবার (১২ ই এপ্রিল ) থেকে এ সংখ্যা দ্বিগুণ হবে বলেও জানান তিনি।

কক্সবাজারের হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম নেওয়াজ জানান, আশা করি এবার তিন থেকে চার  লাখ পর্যটকের সমাগম হবে। পর্যটকদের সুবিধার্থে বিভিন্ন অফারে দেয়া হচ্ছে।

এদিকে ঈদ ও পহেলা বৈশাখকে ঘিরে কক্সবাজারের প্রায় পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসের ৮০ শতাংশ রুম অগ্রিম বুকিং হয়েছে। পর্যটকদের আনন্দে যেন ভাটা না পড়ে তাদের বাড়তি আনন্দ দিতে থাকছে নানা আয়োজন।

পর্যটকদের নিরাপত্তায় প্রথমবারের মতো সৈকতে ইন্টারকম ও ইমার্জেন্সি বাটন বসিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এর মাধ্যমে পর্যটক ও দর্শনার্থীরা কোনো সমস্যায় পড়লে তৎক্ষণাৎ অভিযোগ জানাতে পারছেন।

অন্যদিকে ঈদুল ফিতরে দর্শনার্থীর স্রোত নেমেছে সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা সৈকতে। সকাল থেকেই কুয়াটার আশেপাশের জেলা উপজেলা ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত পর্যটকরা শুঁটকি পল্লী, গঙ্গামতির সৈকত, রাখাইন পল্লী, ইকোপার্ক, ইলিশ পার্ক, লেম্বুর বন ও সৈকতের ঝাউ বাগানসহ অধিকাংশ পর্যটন স্পটে ভিড় করেন।

তারা সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগসহ সমুদ্রের নোনাজলে গা ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে উঠেন। এর মধ্যে অনেকে কেউ গোসল করছেন, কেউ ছবি তুলছেন, কেউ ছাতার নিচে বসে সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করছেন, আবার কেউ ঘোড়ার পিঠে চড়ে পুরো সৈকতে ঘুরে ঘুরে বেড়িয়েছেন।

জেলা প্রতিনিধিরা জানান, ঈদের দ্বিতীয় দিনে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও কুয়াকাটায় বিকেলে পর্যটন স্পষ্টে দর্শনার্থীদের জনসমাগম বাড়বে। এছাড়াও চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ও ফয়েজ লেকে পর্যটক ও দর্শনার্থীরা উপস্থিতি বাড়বে।

জনপ্রিয় সংবাদ

কক্সবাজার-কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকের ঢল

আপডেট সময় ১২:৫৩:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে কক্সবাজার ও কুয়াকাট সমুদ্র সৈকত। দীর্ঘ একমাস পর হাসি ফুটেছে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের মুখে। পুরো রমজান মাস কক্সবাজার অনেকটা পর্যটকশূন্য ছিল। দর্শনার্থীর সেই খরা কেটেছে। ফলে  দীর্ঘ একমাস পর হাসি ফুটেছে হোটেল মোটেল ব্যবসায়ীদের মুখে। 

ঈদের দিন সকাল থেকেই কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণি পয়েন্টে পর্যটকরা আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় চরম আকার ধারণ করে। বিভিন্ন বয়সের মানুষ সাগরের নোনাজলে গোসল করতে নামেন। কেউ সৈকতে ঘোড়ায় চড়ে সমুদ্র দর্শন করছেন। কেউ আবার ওয়াটার বাইক ও বিচ বাইকে সৈকত দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।

কক্সবাজারের সৈকতে কর্মরত এক কর্মী জানান, স্থানীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা সৈকতে ছুটে আসেন। ঈদের দিনেই অন্তত ৪০ হাজার পর্যটক সৈকতে নেমেছেন। শুক্রবার (১২ ই এপ্রিল ) থেকে এ সংখ্যা দ্বিগুণ হবে বলেও জানান তিনি।

কক্সবাজারের হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম নেওয়াজ জানান, আশা করি এবার তিন থেকে চার  লাখ পর্যটকের সমাগম হবে। পর্যটকদের সুবিধার্থে বিভিন্ন অফারে দেয়া হচ্ছে।

এদিকে ঈদ ও পহেলা বৈশাখকে ঘিরে কক্সবাজারের প্রায় পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউসের ৮০ শতাংশ রুম অগ্রিম বুকিং হয়েছে। পর্যটকদের আনন্দে যেন ভাটা না পড়ে তাদের বাড়তি আনন্দ দিতে থাকছে নানা আয়োজন।

পর্যটকদের নিরাপত্তায় প্রথমবারের মতো সৈকতে ইন্টারকম ও ইমার্জেন্সি বাটন বসিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এর মাধ্যমে পর্যটক ও দর্শনার্থীরা কোনো সমস্যায় পড়লে তৎক্ষণাৎ অভিযোগ জানাতে পারছেন।

অন্যদিকে ঈদুল ফিতরে দর্শনার্থীর স্রোত নেমেছে সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা সৈকতে। সকাল থেকেই কুয়াটার আশেপাশের জেলা উপজেলা ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত পর্যটকরা শুঁটকি পল্লী, গঙ্গামতির সৈকত, রাখাইন পল্লী, ইকোপার্ক, ইলিশ পার্ক, লেম্বুর বন ও সৈকতের ঝাউ বাগানসহ অধিকাংশ পর্যটন স্পটে ভিড় করেন।

তারা সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগসহ সমুদ্রের নোনাজলে গা ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে উঠেন। এর মধ্যে অনেকে কেউ গোসল করছেন, কেউ ছবি তুলছেন, কেউ ছাতার নিচে বসে সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করছেন, আবার কেউ ঘোড়ার পিঠে চড়ে পুরো সৈকতে ঘুরে ঘুরে বেড়িয়েছেন।

জেলা প্রতিনিধিরা জানান, ঈদের দ্বিতীয় দিনে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও কুয়াকাটায় বিকেলে পর্যটন স্পষ্টে দর্শনার্থীদের জনসমাগম বাড়বে। এছাড়াও চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ও ফয়েজ লেকে পর্যটক ও দর্শনার্থীরা উপস্থিতি বাড়বে।