ঢাকা , বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলে হামলার আগে সতর্ক করেছিল ইরান, অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের

দীর্ঘদিন ধরেই বৈরি সম্পর্ক ইহুদি দেশ ইসরায়েল এবং মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশ ইরানের। তবে গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাবে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।তবে হামলার কয়েকদিন আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশকে এ বিষয়ে বার বার সতর্ক করেছে ইরান। রবিবার এ তথ্য জানিয়েছেন তুর্কি, জর্ডান এবং ইরাকি কর্মকর্তারা। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইরানের এই দাবি সত্য নয়।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

রোববার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান বলেন, হামলার আগে ইরান প্রতিবেশী দেশ এবং ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে ৭২ ঘণ্টার নোটিশ দিয়েছিল যে, তারা হামলা চালাবে।

এদিকে হামলার আগে ওয়াশিংটন এবং তেহরান দুই দেশের সাথে কথা হয়েছিল বলে জানিয়েছে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। হামলার পর প্রতিক্রিয়া যেন আনুপাতিক থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য আঙ্কারা মধ্যস্থতাকারী হিসাবে একে অপরের বার্তা উভয়পক্ষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে।

তুরস্কের একটি কূটনৈতিক সূত্র বলেছে, ‘ইরান জানিয়েছিল- দামেস্কে তার দূতাবাসে ইসরায়েলের হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালানো হবে এবং তারা এর বাইরে আর কিছুই করবে না। আমরা এই হামলার সম্ভাবনার বিষয়ে অবগত ছিলাম। আর তাই ইসরায়েলে ইরানের এই হামলা আমাদের কাছে অবাক করার মতো কিছু ছিল না।’তবে এসব দাবি অস্বীকার করছে যুক্তরাষ্ট্র।

জো বাইডেনের প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি অস্বীকার করে বলেছেন, ‘ওয়াশিংটন সুইস মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ইরানের সাথে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু ৭২ ঘণ্টা আগে তারা কোনও নোটিশ পায়নি।‘

ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি একেবারেই সত্য নয়। তারা কোনও নোটিশ দেয়নি, বা তারা (হামলার বিষয়ে) কোনও ধারণাও দেয়নি। এমন কোনও ধারণা দেয়নি যে, ‘এরা লক্ষ্যবস্তু হবে, তাই তাদের সরিয়ে দিন।‘

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘হামলা শুরু হওয়ার পরেই তেহরান যুক্তরাষ্ট্রকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিল এবং তাদের উদ্দেশ্য ছিল ‘অত্যন্ত ধ্বংসাত্মক’।

তবে ইরাক, তুরস্ক এবং জর্ডানের কর্মকর্তারা প্রত্যেকে বলছেন যে, ইরান গত সপ্তাহেও কিছু বিশদ বিবরণসহ হামলার প্রাথমিক সতর্কতা দিয়েছে। ড্রোন, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলায় বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে এবং সংঘর্ষ বাড়তে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলে হামলার আগে সতর্ক করেছিল ইরান, অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের

আপডেট সময় ১২:৩৬:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৪

দীর্ঘদিন ধরেই বৈরি সম্পর্ক ইহুদি দেশ ইসরায়েল এবং মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশ ইরানের। তবে গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাবে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।তবে হামলার কয়েকদিন আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশকে এ বিষয়ে বার বার সতর্ক করেছে ইরান। রবিবার এ তথ্য জানিয়েছেন তুর্কি, জর্ডান এবং ইরাকি কর্মকর্তারা। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইরানের এই দাবি সত্য নয়।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

রোববার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান বলেন, হামলার আগে ইরান প্রতিবেশী দেশ এবং ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে ৭২ ঘণ্টার নোটিশ দিয়েছিল যে, তারা হামলা চালাবে।

এদিকে হামলার আগে ওয়াশিংটন এবং তেহরান দুই দেশের সাথে কথা হয়েছিল বলে জানিয়েছে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। হামলার পর প্রতিক্রিয়া যেন আনুপাতিক থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য আঙ্কারা মধ্যস্থতাকারী হিসাবে একে অপরের বার্তা উভয়পক্ষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে।

তুরস্কের একটি কূটনৈতিক সূত্র বলেছে, ‘ইরান জানিয়েছিল- দামেস্কে তার দূতাবাসে ইসরায়েলের হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালানো হবে এবং তারা এর বাইরে আর কিছুই করবে না। আমরা এই হামলার সম্ভাবনার বিষয়ে অবগত ছিলাম। আর তাই ইসরায়েলে ইরানের এই হামলা আমাদের কাছে অবাক করার মতো কিছু ছিল না।’তবে এসব দাবি অস্বীকার করছে যুক্তরাষ্ট্র।

জো বাইডেনের প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি অস্বীকার করে বলেছেন, ‘ওয়াশিংটন সুইস মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ইরানের সাথে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু ৭২ ঘণ্টা আগে তারা কোনও নোটিশ পায়নি।‘

ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি একেবারেই সত্য নয়। তারা কোনও নোটিশ দেয়নি, বা তারা (হামলার বিষয়ে) কোনও ধারণাও দেয়নি। এমন কোনও ধারণা দেয়নি যে, ‘এরা লক্ষ্যবস্তু হবে, তাই তাদের সরিয়ে দিন।‘

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘হামলা শুরু হওয়ার পরেই তেহরান যুক্তরাষ্ট্রকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিল এবং তাদের উদ্দেশ্য ছিল ‘অত্যন্ত ধ্বংসাত্মক’।

তবে ইরাক, তুরস্ক এবং জর্ডানের কর্মকর্তারা প্রত্যেকে বলছেন যে, ইরান গত সপ্তাহেও কিছু বিশদ বিবরণসহ হামলার প্রাথমিক সতর্কতা দিয়েছে। ড্রোন, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলায় বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে এবং সংঘর্ষ বাড়তে পারে।