তীব্র তাপপ্রবাহের থেকে সাময়িক স্বস্তি পেতে প্রতিবেশী বাংলাদেশের পর্যটকদের ঢল নেমেছে পাহাড় কন্যা দার্জিলিং এবং সিকিমে। তবে তাপপ্রবাহের এমন সময়ে সিকিমে ঘুরতে আসা দেশি-বিদেশী পর্যটকদের জন্য দুঃসংবাদ রয়েছে। জরুরি সড়ক মেরামতের কারণে বন্ধ রয়েছে সিকিমের সঙ্গে সমতলের শিলিগুড়ির মূল সংযোগকারী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এতে ব্যাপকভাবে বেড়েছে পর্যটকদের মাথাপিছু খরচ। ঘুরপথে সিকিমে পৌঁছাতে লাগছে অতিরিক্ত ৪ ঘণ্টা সময়।
পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পং জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, জরুরি মেরামতের জন্য ৬ মে মধ্যরাত থেকে ৯ মে সকাল ৬টা পর্যন্ত এই জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতেই এবার কালিম্পং এবং সিকিমগামী সব গাড়ি ১০নম্বর জাতীয় সড়কের পরিবর্তে ঘুর পথে পৌঁছাতে হবে প্রতিবেশী রাজ্য সিকিম কিংবা কালিম্পংয়ে। আগে শিলিগুড়ির জংশন কিংবা নিউ জলপাইগুড়ি থেকে সহজেই ১০নং জাতীয় সড়ক ধরে ছোট গাড়ি কিংবা বাসে করে পৌঁছানো যেত সিকিমে। কিন্তু এখন তা আর হবে না।
এখন সিকিম পৌঁছাতে হলে সময় লাগবে প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা। কারণ নিউ জলপাইগুড়ি কিংবা শিলিগুড়ির জংশন এলাকা থেকে বাস কিংবা গাড়ি ধরে সিকিমে যেতে হলে সেবকের করোনেশন সেতুর ধরে গরুবাথান লাভা হয়ে তারপরে পৌঁছানো যাবে সিকিমে। এই ক্ষেত্রে একদিকে যেমন অনেক ঘুর পথ ঘুরতে হবে তেমনি রয়েছে খরচ। এক ধাক্কায় সমতল শিলিগুড়ি থেকে সিকিমের ভাড়া দ্বিগুণ নিতে শুরু করেছে গাড়ি চালকরা। সাধারণত সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক পর্যন্ত ছোট গাড়ির ভাড়া জনপ্রতি প্রায় ৪০০ রুপি। সেখানে এই মুহূর্তে ভাড়া লাগছে প্রায় ৭০০ থেকে ১০০০ রুপির কাছাকাছি।
অন্যদিকে সরকারি বাসও কম রয়েছে। শুধু যে বাসগুলো শিলিগুড়ি এসে পৌঁছাচ্ছে সেগুলোই সিকিম যাচ্ছে। ফলে হাতেগোনা বাস থাকায় বাধ্য হয়ে মোটা টাকা খরচ করেই সিকিম যাচ্ছে যাত্রীরা।
গাড়ি চালকদের দাবি এই মুহূর্তে রাস্তা বন্ধ থাকায় সিকিম যেতে হলে দার্জিলিং কিংবা গরুবাথান লাভা হয়ে পৌঁছাতে হচ্ছে। ফলে বেশ কয়েক কিলোমিটার ঘুর পথে পৌঁছাতে হচ্ছে। অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে এতে যেহেতু অনেক কিলোমিটার ঘুর পথে যেতে হচ্ছে ফলে খরচ বাড়ছে। তার পাশাপাশি যে গাড়ি চালক শিলিগুড়ি থেকে সিকিমে পৌঁছাচ্ছে তাকে সেখানে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে পরের দিন আসার জন্য। ফলে স্বাভাবিকভাবে খরচ বাড়ায় ভাড়া বেড়েছে।