ঢাকা , শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
হাজার হাজার মানুষ এখনও সম্ভবত ধ্বংসস্তূপের নিচে

গাজায় নিহতের ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু : জাতিসংঘ

 

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের সহিংস হামলায় গত সাত মাসে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। জাতিসংঘ বলছে, নিহতের অর্ধেকের বেশি বেসামরিক নারী ও শিশু।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি লাগাতার হামলায় এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫ হাজার ১৭৩ ফিলিস্তিনি। গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় নিহতদের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পুরুষ, ২০ শতাংশ নারী এবং ৩২ শতাংশ শিশু এবং ৮ শতাংশ বয়স্ক মানুষ রয়েছেন।

গাজা কর্তৃপক্ষ বরাবরই বলে আসছে, উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেছেন, নতুন এই পরিসংখ্যাটি এখন পর্যন্ত সরবরাহ করা তথ্যগুলোর মধ্যে ‘সবচেয়ে ব্যাপক’।

তিনি জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, অজ্ঞাত পরিচয়ের ক্ষেত্রে একই অনুপাত প্রয়োগ করলে এবং নিহত বয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেক নারী হলে এটা আশা করা যেতেই পারে যে, নিহত ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মধ্যে অন্তত ‘৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু’ রয়েছে।

তিনি বলেন, তারপরও এটি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না, কারণ হাজার হাজার মানুষ এখনও সম্ভবত ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। এছাড়া তাদের মধ্যে আরও বেশি সংখ্যক নারী এবং শিশু থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কারণ নারী ও শিশুরাই সাধারণত বাড়িতে অবস্থান করে থাকেন।

মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেন, সুতরাং ‘ন্যূনতম পরিসংখ্যানগত গণনা’ থেকে বলা যায়, গাজায় নিহতদের ৬০ শতাংশ নারী এবং শিশু হতে পারে।

হাজার হাজার মানুষ এখনও সম্ভবত ধ্বংসস্তূপের নিচে

গাজায় নিহতের ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু : জাতিসংঘ

আপডেট সময় ১২:২৯:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

 

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের সহিংস হামলায় গত সাত মাসে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। জাতিসংঘ বলছে, নিহতের অর্ধেকের বেশি বেসামরিক নারী ও শিশু।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি লাগাতার হামলায় এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫ হাজার ১৭৩ ফিলিস্তিনি। গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় নিহতদের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পুরুষ, ২০ শতাংশ নারী এবং ৩২ শতাংশ শিশু এবং ৮ শতাংশ বয়স্ক মানুষ রয়েছেন।

গাজা কর্তৃপক্ষ বরাবরই বলে আসছে, উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেছেন, নতুন এই পরিসংখ্যাটি এখন পর্যন্ত সরবরাহ করা তথ্যগুলোর মধ্যে ‘সবচেয়ে ব্যাপক’।

তিনি জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, অজ্ঞাত পরিচয়ের ক্ষেত্রে একই অনুপাত প্রয়োগ করলে এবং নিহত বয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেক নারী হলে এটা আশা করা যেতেই পারে যে, নিহত ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মধ্যে অন্তত ‘৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু’ রয়েছে।

তিনি বলেন, তারপরও এটি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না, কারণ হাজার হাজার মানুষ এখনও সম্ভবত ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। এছাড়া তাদের মধ্যে আরও বেশি সংখ্যক নারী এবং শিশু থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কারণ নারী ও শিশুরাই সাধারণত বাড়িতে অবস্থান করে থাকেন।

মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেন, সুতরাং ‘ন্যূনতম পরিসংখ্যানগত গণনা’ থেকে বলা যায়, গাজায় নিহতদের ৬০ শতাংশ নারী এবং শিশু হতে পারে।