ঢাকা , বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
Logo আজ কবি অনিতা আন্দন কবিতার জন্মদিন Logo মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ তরুণের মৃত্যু Logo ময়মনসিংহে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আগামীকাল সাক্ষাৎ চান ৮ দলের নেতারা Logo ভারতের বিপক্ষে জয় দিয়ে বছরটা শেষ করতে চাই: রাকিব Logo সোনারগাঁয়ের পলিথিন বর্জের কারণে জনস্বাস্থ্য পরিবেশ হুমকিতে  Logo মীর স্নিগ্ধর স্ক্রিপ্ট কে লিখে দেন, জানতে চাইলেন শাওন Logo ইসলামী আন্দোলনের সাবেক মহাসচিব মাওলানা নুরুল হুদা মারা গেছেন Logo নড়াইল-২ আসনে মনিরুল ইসলামকে মনোনয়ন দাবিতে সমাবেশ: বহিরাগত প্রার্থী বর্জনের হুঁশিয়ারি

কুরবানির গোশত জমিয়ে রাখা কি জায়েজ

  • ধর্ম ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪০:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪
  • ১৬৩ বার পড়া হয়েছে

কুরবানি ইসলামি শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। রাসুলুল্লাহ (সা.) হিজরতের পর প্রতি বছর কুরবানি করেছেন। তিনি কখনও কুরবানি পরিত্যাগ করেননি; বরং কুরবানি পরিত্যাগকারীদের ওপর অভিসম্পাত করেছেন।

প্রাপ্তবয়ষ্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন প্রত্যেক মুসলমান নর-নারী মুকিম ব্যক্তি, যে ১০ জিলহজ সুবহে সাদিক থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে, তার ওপর কুরবানি করা ওয়াজিব হবে।

নেসাব হলো: স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত ভরি। আর রুপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন  ভরি। আর অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপার সমমূল্যের সম্পদ।

মদীনার প্রথম যুগে খাদ্যের সংকট ছিল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে কুরবানির গোশত তিন দিনের বেশি জমিয়ে রাখতে নিষেধ করেছিলেন। পরে যখন অভাব কমে গেল তখন আবার সংরক্ষণ করে রাখার অনুমতি দিয়েছিলেন।

হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, জাবির রা. বলেন- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন দিনের পর কুরবানির গোশত খেতে নিষেধ করেছিলেন। এরপর (অবকাশ দিয়ে) বললেন, খাও, পাথেও হিসেবে সঙ্গে নাও এবং সংরক্ষণ করে রাখ।  (সহিহ মুসলিম, হাদিস ১৯৭২)

অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে- রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি তোমাদেরকে তিন দিনের পর কুরবানির গোশত খেতে নিষেধ করেছিলাম, যেন স্বচ্ছল ব্যক্তিরা অসামর্থ্যদের তা উদারভাবে দিতে পারে। এখন তোমরা যা ইচ্ছা খাও, অন্যকে খাওয়াও এবং সঞ্চয় করে রাখতে পার।  (জামে তিরমিযী, হাদিস ১৫১০)

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সামর্থ্য অনুযায়ী কুরবানি করার তাওফিক দান করুন। ভুল-ত্রুটি থেকে রক্ষা করুন। এবং কেবল তার সন্তুষ্টির জন্যই কুরবানি করার তাওফিক দান করুন।

পরিশেষে আমাদেরকে আল্লাহ তাআলার সেই বাণী স্মরণে রাখতে হবে, তিনি ইরশাদ করেন- আল্লাহর কাছে না পৌঁছে তাদের গোশত আর না তাদের রক্ত, বরং তার কাছে তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছে। এভাবেই তিনি এসব পশুকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা একারণে আল্লাহর তাকবীর বল যে, তিনি তোমাদেরকে হেদায়েত দান করেছেন। যারা সুচারুরূপে সৎকর্ম করে তাদেরকে সুসংবাদ দিন।  (সুরা হজ্ব (২২): ৩৫)

আজ কবি অনিতা আন্দন কবিতার জন্মদিন

কুরবানির গোশত জমিয়ে রাখা কি জায়েজ

আপডেট সময় ১১:৪০:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪

কুরবানি ইসলামি শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। রাসুলুল্লাহ (সা.) হিজরতের পর প্রতি বছর কুরবানি করেছেন। তিনি কখনও কুরবানি পরিত্যাগ করেননি; বরং কুরবানি পরিত্যাগকারীদের ওপর অভিসম্পাত করেছেন।

প্রাপ্তবয়ষ্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন প্রত্যেক মুসলমান নর-নারী মুকিম ব্যক্তি, যে ১০ জিলহজ সুবহে সাদিক থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে, তার ওপর কুরবানি করা ওয়াজিব হবে।

নেসাব হলো: স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত ভরি। আর রুপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন  ভরি। আর অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপার সমমূল্যের সম্পদ।

মদীনার প্রথম যুগে খাদ্যের সংকট ছিল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে কুরবানির গোশত তিন দিনের বেশি জমিয়ে রাখতে নিষেধ করেছিলেন। পরে যখন অভাব কমে গেল তখন আবার সংরক্ষণ করে রাখার অনুমতি দিয়েছিলেন।

হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, জাবির রা. বলেন- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন দিনের পর কুরবানির গোশত খেতে নিষেধ করেছিলেন। এরপর (অবকাশ দিয়ে) বললেন, খাও, পাথেও হিসেবে সঙ্গে নাও এবং সংরক্ষণ করে রাখ।  (সহিহ মুসলিম, হাদিস ১৯৭২)

অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে- রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি তোমাদেরকে তিন দিনের পর কুরবানির গোশত খেতে নিষেধ করেছিলাম, যেন স্বচ্ছল ব্যক্তিরা অসামর্থ্যদের তা উদারভাবে দিতে পারে। এখন তোমরা যা ইচ্ছা খাও, অন্যকে খাওয়াও এবং সঞ্চয় করে রাখতে পার।  (জামে তিরমিযী, হাদিস ১৫১০)

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সামর্থ্য অনুযায়ী কুরবানি করার তাওফিক দান করুন। ভুল-ত্রুটি থেকে রক্ষা করুন। এবং কেবল তার সন্তুষ্টির জন্যই কুরবানি করার তাওফিক দান করুন।

পরিশেষে আমাদেরকে আল্লাহ তাআলার সেই বাণী স্মরণে রাখতে হবে, তিনি ইরশাদ করেন- আল্লাহর কাছে না পৌঁছে তাদের গোশত আর না তাদের রক্ত, বরং তার কাছে তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছে। এভাবেই তিনি এসব পশুকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা একারণে আল্লাহর তাকবীর বল যে, তিনি তোমাদেরকে হেদায়েত দান করেছেন। যারা সুচারুরূপে সৎকর্ম করে তাদেরকে সুসংবাদ দিন।  (সুরা হজ্ব (২২): ৩৫)