ঢাকা , রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পুত্রবধূর সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় পুকুরে পড়ে শাশুড়ির মৃত্যু

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পারিবারিক কলহের জেরে বউ-শাশুড়ির মারামারিতে শাশুড়ি হোসনেয়ারা বেগম (৪৫) নিহত হয়েছেন। মারামারির একপর্যায়ে ঘরের বেড়া ভেঙে পাশের পুকুরে পড়ে যান তারা। পরে পুকুর থেকে হোসনয়ারা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

বুধবার (১২ জুন) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বোলতলী ইউনিয়নের সুরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।নিহত হোসনেয়ারা স্থানীয় মো. বাবুল শেখের স্ত্রী।

নিহতের স্বামী বাবুল শেখ বলেন, ‘পুত্রবধু লিমার সাথে আমার স্ত্রীর পারিবারিক কলহ চলছিলো। বুধবার রাত ১০ টার দিকে রাতের খাবার শেষে লিমা আমার ছেলে আরিফের ঘরে ঘুমাতে যায়। আমি আমার মত কাজে চলে যাই। রাতে আমি বাড়িতে ছিলাম না। রাত ১ টার দিকে প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজনদের কাছে খবর পাই বউ-শাশুড়ির মধ্যে ঝগড়া ও ধস্তাধস্তি হয়েছে এবং এরপর থেকে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পুত্রবধূ লিমা আক্তারের (২৪) সঙ্গে শাশুড়ি হোসনেয়ারার কলহ চলছিল। বুধবার রাত ১০টার দিকে রাতের খাবার শেষে প্রবাসী ছেলে আরিফের স্ত্রী লিমা আক্তার ঘরে ঘুমাতে যান। পরে রাত ১২টার দিকে কলহের জেরে বউ-শাশুড়ি ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে দুজনই মারামারি করেন। ধস্তাধস্তিতে বসতঘরের বেড়া ভেঙে তারা পুকুরে পড়ে যান। এ সময় লিমা কোনোভাবে ওপরে উঠতে পারলেও ডুবে যায় হোসনেয়ারা। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে লৌহজং ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিলে রাত ৩টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মৃত অবস্থায় হোসনেয়ারাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করেন।

পরবর্তীতে লৌহজং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে ভোর সকালের দিকে মৃত অবস্থায় হোসনে আরার মরদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করে।

লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে ঝগড়ার সময় তারা পানিতে পড়ে যান। পরে ফায়ার সার্ভিস নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে। অন্য কোনো কারণ আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পুত্রবধূর সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় পুকুরে পড়ে শাশুড়ির মৃত্যু

আপডেট সময় ০৫:৪৭:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পারিবারিক কলহের জেরে বউ-শাশুড়ির মারামারিতে শাশুড়ি হোসনেয়ারা বেগম (৪৫) নিহত হয়েছেন। মারামারির একপর্যায়ে ঘরের বেড়া ভেঙে পাশের পুকুরে পড়ে যান তারা। পরে পুকুর থেকে হোসনয়ারা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

বুধবার (১২ জুন) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বোলতলী ইউনিয়নের সুরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।নিহত হোসনেয়ারা স্থানীয় মো. বাবুল শেখের স্ত্রী।

নিহতের স্বামী বাবুল শেখ বলেন, ‘পুত্রবধু লিমার সাথে আমার স্ত্রীর পারিবারিক কলহ চলছিলো। বুধবার রাত ১০ টার দিকে রাতের খাবার শেষে লিমা আমার ছেলে আরিফের ঘরে ঘুমাতে যায়। আমি আমার মত কাজে চলে যাই। রাতে আমি বাড়িতে ছিলাম না। রাত ১ টার দিকে প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজনদের কাছে খবর পাই বউ-শাশুড়ির মধ্যে ঝগড়া ও ধস্তাধস্তি হয়েছে এবং এরপর থেকে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পুত্রবধূ লিমা আক্তারের (২৪) সঙ্গে শাশুড়ি হোসনেয়ারার কলহ চলছিল। বুধবার রাত ১০টার দিকে রাতের খাবার শেষে প্রবাসী ছেলে আরিফের স্ত্রী লিমা আক্তার ঘরে ঘুমাতে যান। পরে রাত ১২টার দিকে কলহের জেরে বউ-শাশুড়ি ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে দুজনই মারামারি করেন। ধস্তাধস্তিতে বসতঘরের বেড়া ভেঙে তারা পুকুরে পড়ে যান। এ সময় লিমা কোনোভাবে ওপরে উঠতে পারলেও ডুবে যায় হোসনেয়ারা। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে লৌহজং ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিলে রাত ৩টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মৃত অবস্থায় হোসনেয়ারাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করেন।

পরবর্তীতে লৌহজং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে ভোর সকালের দিকে মৃত অবস্থায় হোসনে আরার মরদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করে।

লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে ঝগড়ার সময় তারা পানিতে পড়ে যান। পরে ফায়ার সার্ভিস নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে। অন্য কোনো কারণ আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।