দীর্ঘ খরা ও অনাবৃষ্টির পর রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ পরিমাণ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শুধু রাজশাহী নগরী নয়, জেলার বিভিন্ন স্থান ছাড়াও আশেপাশের জেলাগুলিতেও হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি। এতে চলতি আউশ ও আসন্ন আমন আবাদের জন্য আশির্বাদ হয়েছে এ বৃষ্টি।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটা থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজশাহীতে রেকর্ড ১৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এদিকে দীর্ঘক্ষণ বৃষ্টিপাতের ফলে নগরীর বেশ কিছু এলাকার সড়কে পানি জমলেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা মাধ্যমে নেমে যায়। এর আগে রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছিল গত ৩০ জুন। ওইদিন ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস। এর আগে গত মার্চ থেকে মে পর্যন্ত একটানা খরা ও তাপপ্রবাহ চলেছে রাজশাহী অঞ্চলে। অনাবৃষ্টির কারণে আম ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
আবহাওয়া অফিসের সূত্র মতে, গত ২৯ জুন রাজশাহীতে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়, ৩০ জুন ৩০ দশমিক ৬ মিলিমিটার ও গত ১ জুলাই ৭ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। এই কয়দিনই রাজশাহীতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে রাজশাহীতে ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। ফলে রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার, উপশহর, উপশহর নিউমার্কেট, রেলগেট, সপুরা করবস্থানের উত্তরের সড়ক ও বর্ণালী মোড়ের একটি সড়কে পানি জমে যায়। তবে রাতের মধ্যে সেই পানি নেমে যায়।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, রাজশাহীতে কয়েক ঘণ্টায় ১৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এটাই চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। এর আগে গত ৩০ জুন বৃষ্টিপাত হয়েছিল ৫৮ মিলিমিটার। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, এ বৃষ্টি ফসলের জন্য ভালো হলো। জমিতে কৃষকরা ধানের বীজ ফেলছেন। আউশের জমির জন্য বেশ কাজের বৃষ্টি এটি। পাটের জন্যও ভালো হলো। জমিতে কৃষকের ক্ষতি হওয়ার মতো কোনো ফসল নেই এখন। এছাড়া বৃষ্টিপাতের ফলে বর্ষাকালীন শাকসবজিও ভালো হবে। জমিতে পানি জমায় আমন রোপনের জন্য বিশেষ উপকার হলো এ বৃষ্টি।