মুন্সীগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভবন নির্মাণ। সদর উপজেলার মহাকালী ইউনিয়নে আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। যানা গেছে, চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল বিঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রয়াত সামছুল হক বেপারীর ছেলে পিটিশন মামলা করেন। পরে আদালত উভয় পক্ষকে উক্ত বিরোধপূর্ণ সম্পত্তিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আদেশ দেন। মামলাটি আদালতে চলমান। যাহার মামলা নং -১১৭/২০২৪।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বড় কেওয়ার মৌজার আরএস- ২৩০৭,২৩০৮,২৩০৯ তিনটি দাগে ১৪ শতাংশ জমি রেকর্ডিয় মালিক ওয়াজদ্দিন এর এক পুত্র কালু সিকদার, দুই কন্যা সাফিয়া ও ছামিনা এবং স্ত্রী নজিমন নেছা সাফ কবলা দলিলে বিক্রি করেন নজরুল ইসলাম গংদের পিতা-মাতা সামছুল হক বেপারী ও নুরজাহান বিবি নিকট বিক্রি করিয়া দখল বুঝিয়ে দেন।
পরে সামছুল হক বেপারী মৃত্যু বরণ করলে তার স্ত্রী ও পাচ পুত্র বিগত ৩ জুন ২০০৮ সালে ৪০৩০/০৭-০৮ নামজারী কেইস মূলে নামজারী এবং হাল সন খাজনাদি পরিশোধ করে দখল বৃদ্ধমান আছেন।
পরে চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল মামলার বিবাদী মো. বাবুল সিকদার (৫৫), মো. নিজাম সিকদার (৫০), মো. বাহারউদ্দিন সিকদার (৫২), মো. সোহেল (৪০) এবং মো. রোবেল (৩৮) সাং দক্ষিণ কেওয়ার। বিরোধ পূর্ণ সম্পত্তিতে বিল্ডিং নিমার্ণ করার কাজ শুরু করলে প্রয়াত সামছুল হক বেপারীর ছেলে মো. মহসীন গং তাদের ক্রয়কৃত কাজ করতে বাঁধা দিলে। বাবুল সিকদার গংরা খুন করার হুমকি দেয়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা, সদর উপজেলা মহাকালী ইউনিয়নের বড় কেওয়ার গ্রামে গত চার মাস আগে বন্ধ করা কাজের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাবুল সিকদার সং রা। বিল্ডিং করার জন্য রড এর কাজ করছেন শ্রমীকরা। চার মাস আগে পুলিশ প্রশাসন আদালতের নির্দেশে কাজ বন্ধ রাখতে বলে দেন।
স্হানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে, আদালতে যেহেতু মামলা চলমান রয়েছে। জমির বিষয়টি সমঝোতা করে নতুন করে কাজ করা দরকার। নাহলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মো. মহসীন বেপারী বলেন, এখানে তিনটি দাগে আমার বাবা-মায়ের নামে ১৪ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। বাবা মারা যাওয়ার পর মা’সহ আমাদের ভাইদের নামে নামজারিসহ হালশন খাজনা দেয়া আছে। বাবুল সিকদার গংরা আমাদের জমি বুঝিয়ে না দিয়ে তারা বিরোধ পূর্ণ জমিতে বিল্ডিং নির্মাণ করছেন। আর আগের একাধিক বার তারা শালিস বসার কথা বলে কাজ চালিয়েছে। এখনও মামলা চলাকালীন আবার আমাদের অনুপস্থিতিতে কাজ শুরু করছে।
অভিযুক্ত মো. বাবুল সিকদার এ বিষয় বলেন, আমরা আদালতে জবাব দিয়েছি। আদালত আমাদের কাজ করতে বলছে। আর সম্পত্তি ওরা পাবেনা, যার থেকে ওরা কিনছে তারা আগেই জমি বিক্রি করেছে। আর আমরা একাধিক বার তাদের সাথে মিমাংসা করছি, তারা আসে নাই।