মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বেতকা ইউনিয়নের দ্বিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। অনিয়মের বিষয় স্হানীয়রা জানতে চাইলে তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে চড়াও হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী শাহিন খান নামের এক ব্যক্তি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দ্বিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির নতুন ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। সেখানে ব্যবহৃত ইটের খোয়ার মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ ভূসার ফাঁকি রয়েছে। এ কাজে যে সিলেকশন বালু ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলোর মানও নিন্মমানের।
বিদ্যালয়টির কয়েকজন শিক্ষার্থী ও স্হানীয়রা বলেনে, আমরা এখানে লেখাপড়া করেছি। সরকারি অর্থ ব্যয় করে স্কুলের ভবন নির্মাণ হচ্ছে। সেটা যেন সঠিক ভাবে হয়। কিন্তু এ ভবন নির্মাণে যে সিলেকশন বালু ব্যবহার করা হচ্ছে তা খুবই নিন্মমানের। অন্য কাজে ব্যবহৃত বালুর তুলনায় স্কুলের ভবন নির্মাণ কাজের বালুর মান খুবই খারাপ। ইটের খোয়ার সাথে ভূসার ফাঁকির পরিমানই বেশি। আমরা চাই এ কাজের সঠিক তদন্ত করা হোক। যে বরাদ্দ এসেছে সেটা যেন সঠিকভাবে ব্যয় করে টেকসই মজবুত ভবন নির্মাণ করা হয়।
এসব অনিয়মের ব্যপারে জানতে চাইলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের শাহিন খান নামের ব্যক্তি চড়াও হয়ে বলেন, সরকারি কাজে ৩০ শতাংশ টাকা কমিশন দিতে হয়। সেটা কি আপনারা দিবেন?
দ্বিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকা কানিজ ফাতেমা শিল্পী বলেন, এ ভবনের কাজটি পিডিবির আওয়তায় করা হচ্ছে। প্রধান শিক্ষকা হিসেবে বুঝে পাওয়ার পর আমাদের উপর দ্বায়িত্ব আসবে। তবে কাজটি বাস্তবায়ন করছে এলজিইডি। যদি সেখানে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সেক্ষেত্রে অবশ্যই এটির প্রতিবাদ করবো।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান শাওন ট্রেডার্সের মালিক আবুল হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, অফিসে আসেন কথা বলছি। এ বলে তিনি কল কেটে দেন।
স্থানীয় একাধিক সুত্রে জানা যায়, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান শাওন ট্রেডার্স এর মালিক আবুল হোসেন সোনারং টঙ্গীবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। এখন তার সাথে কথা বলা দায়।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, দ্বিপাড়া স্কুল ভবন নির্মানের কাজে আমরা নিয়মিত তদারকি করি। নির্মান সামগ্রীর মান নিশ্চিত করেই তা ব্যবহারের অনুমতি দেই।