গত জুলাইয়ে ইরানের তেহরানে ইসরাইলি গুপ্তহত্যায় খুন হন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া। এরপর গোষ্ঠীটির শীর্ষপদে আসেন সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ইয়াহিয়া সিনওয়ার।
এরইমধ্যে হামাসের নতুন রাজনৈতিক প্রধানকে হত্যার পরিকল্পনায় বিশেষ ইউনিট গঠন করেছে ইসরাইল। ইসরাইলি বিভিন্ন গণমাধ্যমের সূত্র দিয়ে রোববার এ তথ্য জানিয়েছে ইরানি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের শীর্ষনেতার বিরুদ্ধে মিশনে নেমেছে ইসরাইলের পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থা শিনবেট। এজন্য সিনওয়ারের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য একটি স্কোয়াড গঠন করা হয়েছে। দলটি গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই সিনওয়ারকে হত্যা করতে চব্বিশ ঘন্টা সক্রিয় রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সিনওয়ারকে অনুসরণ করার জন্য গুপ্তচরবৃত্তি করছে ইসরাইল। এই মিশনে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঢালছে নেতানিয়াহু সরকার। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইল সীমান্তের অভ্যন্তরে হামাসের ‘অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম’ শীর্ষক অভিযানের প্রধান পরিকল্পক মনে করা হয় সিনওয়ারকে।
গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ইসরাইলের হাজার হাজার সৈন্য তার হদিস বের করতে ড্রোন, বৈদ্যুতিক আড়ি পাতার যন্ত্র এবং গোপন তথ্যদাতাদের নিয়োগ দেয়ার মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরাইলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরাইলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এরপর থেকে পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল।
৬১ বছর বয়সি সিনওয়ার মূলত আবু ইব্রাহিম নামে পরিচিত। তিনি গাজা উপত্যকার দক্ষিণ প্রান্তে খান ইউনিস শরণার্থী শিবিরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সিনওয়ার তার জীবনের অন্তত ২২ বছরেরও বেশি সময় ইসরাইলি কারাগারে কাটিয়েছেন।