ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
Logo সব স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সুতা আমদানি বন্ধ করলো সরকার Logo দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহ Logo তৈরি পোশাক খাতে শক্তি রূপান্তরের নতুন চ্যালেঞ্জ Logo অন্তবর্তীকালীন সরকার বৈষম্যহীনের উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারেনি: সাবেক এমপি মুজিবুর Logo আনোয়ারায় স্কুল ভবনের কাজ ফেলে ঠিকাদার উধাও Logo জিম্বাবুয়ের যে পেসারকে হুমকি মানছেন বাংলাদেশ কোচ Logo বাঁশখালী ইকোপার্কে দুর্ধর্ষ চুরি, ১৪দিন পর চোর গ্রেফতার Logo ক্রিকেট বিশ্বে ভবিষ্যতে আরেকটি ফ্যাবুলাস বলয় দেখতে যাচ্ছে: উইলিয়ামসন Logo নালিতাবাড়ীতে কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার Logo বসত বাড়ি থেকে দিনমজুর পরিবারকে উৎখাতের চেষ্টা

মাধবপুরের নতুন ত্রাস ইফাত খান গং

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউপির সমুজদিপুর গ্রামের আফজল খা পুত্র ইফাজ খা (২৫) এলাকার এখন নতুন ত্রাসে পরিনিত হয়েছে। স্থানীয় চুরি,ডাকাতি, শিশু নির্যাতন, লুটতরাজ এমন কোন অপরাধ নেই যার সাথে তার সংশ্লিষ্টতা নেই।এলাকাবাসী বিভিন্ন সময়ে থানায় অভিযোগ করলেও অদৃশ্য কারণে বেচে যায় ইফাদ গং। তার অত্যাচারে এলাকার মধ্যে ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে অনুসন্ধানে দেখা যায়,
ইফাদ খা বিগত ২০২৩ সালের মে মাসে স্থানীয় আরিছপুর আছিয়া খাতুন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় তালা ভেঙ্গে ওয়াইফাই রাউটার চুরি করে।যা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আপস-মীমাংসা হয়।এ ঘটনার সত্যতা জানিয়েছে স্কুলটির প্রাইমারি প্রধান শিক্ষক ইয়াসিন উদ্দিন।এছাড়া ওই স্কুলটিতে ঘটে যাওয়া আরো ৩টি চুরির ঘটনায়ও সন্দেহের তালিকায় তার নাম এসেছিল।

স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি জিল্লুর রহমানের জানান, ২০২৩ সালের অক্টোবরে তার ক্লিনিক থেকে ১টি পাম্প ও ৪টি ফ্যান চুরি হয়।যা স্থানীয় কাশিমনগর ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম মোস্তফার তদন্তেও তার নাম আসলে অদৃশ্য কারণে সে বেঁচে যায়। এ নিয়ে আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভও দিয়েছিলাম।

সম্প্রতি অভিযুক্ত ইফাতের দাদা ফেইসবুকে লাইভে এসে বলেন ,ইফাদ তার মটর চুরি করে স্থানীয় কাশিমপুর কুখ্যাত চোর মানিক এর কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।পরে সেটি ধরাও খায়।

সম্প্রতি স্থানীয় সমজদিপুর গ্রামের মসজিদে গ্রামে মসজিদের তারা ভেঙ্গে সৌর বিদ্যুতের ব্যাটারি ও দান বাক্স চুরি করে নিয়ে যায় পরে সেটি প্রমাণিত হয়। কিন্তু কোন কিছুই সে ফেরত দেয়নি।

গত সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় মসজিদের ইমাম আলেফ খা ও স্থানীয় বাসিন্দা ইয়াসমিন বেগমের বাড়িতে সে ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা করে বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে লোকজনদের জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে শিশুসহ নারীদের উপরও হামলা করার। যদিও বিষয়টি স্থানীয় কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সোহেল মিয়া তদন্ত করছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ইফাত খা দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি একটি পিস্তল ব্যবহার করেন। তা দিয়ে লোকজনদের ভয় দেখান। এ ছাড়া তার রয়েছে কয়েকটি রানদা ও দেশীয় অস্ত্র। সেনাবাহিনীর বা পুলিশ যেন অভিযান করে ওইসব অস্ত্র উদ্ধার করেন সেই দাবি এখন এলাকাবাসীর।

এ ব্যাপারে জানতে ইফাত খার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা হয়ে উঠেনি। বাড়িতে গেলে বাড়ি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ জানান,তার চুরির বিচার আগেও আমরা করেছি। তার বিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। আশাকরি প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সব স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সুতা আমদানি বন্ধ করলো সরকার

মাধবপুরের নতুন ত্রাস ইফাত খান গং

আপডেট সময় ০৫:৩২:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউপির সমুজদিপুর গ্রামের আফজল খা পুত্র ইফাজ খা (২৫) এলাকার এখন নতুন ত্রাসে পরিনিত হয়েছে। স্থানীয় চুরি,ডাকাতি, শিশু নির্যাতন, লুটতরাজ এমন কোন অপরাধ নেই যার সাথে তার সংশ্লিষ্টতা নেই।এলাকাবাসী বিভিন্ন সময়ে থানায় অভিযোগ করলেও অদৃশ্য কারণে বেচে যায় ইফাদ গং। তার অত্যাচারে এলাকার মধ্যে ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে অনুসন্ধানে দেখা যায়,
ইফাদ খা বিগত ২০২৩ সালের মে মাসে স্থানীয় আরিছপুর আছিয়া খাতুন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় তালা ভেঙ্গে ওয়াইফাই রাউটার চুরি করে।যা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আপস-মীমাংসা হয়।এ ঘটনার সত্যতা জানিয়েছে স্কুলটির প্রাইমারি প্রধান শিক্ষক ইয়াসিন উদ্দিন।এছাড়া ওই স্কুলটিতে ঘটে যাওয়া আরো ৩টি চুরির ঘটনায়ও সন্দেহের তালিকায় তার নাম এসেছিল।

স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি জিল্লুর রহমানের জানান, ২০২৩ সালের অক্টোবরে তার ক্লিনিক থেকে ১টি পাম্প ও ৪টি ফ্যান চুরি হয়।যা স্থানীয় কাশিমনগর ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম মোস্তফার তদন্তেও তার নাম আসলে অদৃশ্য কারণে সে বেঁচে যায়। এ নিয়ে আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভও দিয়েছিলাম।

সম্প্রতি অভিযুক্ত ইফাতের দাদা ফেইসবুকে লাইভে এসে বলেন ,ইফাদ তার মটর চুরি করে স্থানীয় কাশিমপুর কুখ্যাত চোর মানিক এর কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।পরে সেটি ধরাও খায়।

সম্প্রতি স্থানীয় সমজদিপুর গ্রামের মসজিদে গ্রামে মসজিদের তারা ভেঙ্গে সৌর বিদ্যুতের ব্যাটারি ও দান বাক্স চুরি করে নিয়ে যায় পরে সেটি প্রমাণিত হয়। কিন্তু কোন কিছুই সে ফেরত দেয়নি।

গত সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় মসজিদের ইমাম আলেফ খা ও স্থানীয় বাসিন্দা ইয়াসমিন বেগমের বাড়িতে সে ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা করে বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে লোকজনদের জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে শিশুসহ নারীদের উপরও হামলা করার। যদিও বিষয়টি স্থানীয় কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সোহেল মিয়া তদন্ত করছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ইফাত খা দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি একটি পিস্তল ব্যবহার করেন। তা দিয়ে লোকজনদের ভয় দেখান। এ ছাড়া তার রয়েছে কয়েকটি রানদা ও দেশীয় অস্ত্র। সেনাবাহিনীর বা পুলিশ যেন অভিযান করে ওইসব অস্ত্র উদ্ধার করেন সেই দাবি এখন এলাকাবাসীর।

এ ব্যাপারে জানতে ইফাত খার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা হয়ে উঠেনি। বাড়িতে গেলে বাড়ি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ জানান,তার চুরির বিচার আগেও আমরা করেছি। তার বিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। আশাকরি প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখবে।