ঢাকা , রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মণিপুরে শান্তি ফেরাতে জাতিগোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে সংলাপে নয়াদিল্লি

গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে সংঘাতে জর্জরিত মণিপুর রাজ্যে শান্তি ফেরাতে সেখানে বসবাসরত বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে নয়াদিল্লি। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

অমিত শাহ বলেন, “সব পক্ষ যদি একটি সমঝোতায় পৌঁছায়, শুধু তাহলেই (মণিপুরে) শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনা সম্ভব। সংলাপের মাধ্যেমে আমরা সেই চেষ্টাটিই করছি এবং আশা করছি যে আমরা সফল হবো।”

মণিপুর রাজ্য সরকারে বর্তমানে রয়েছে বিজেপি। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিরা সংলাপে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন অমিত শাহ।

জাতিগত বৈচিত্রে ভরপুর মণিপুরে গত বছর মে মাস থেকে মেইতেই সম্প্রদায়ের হিন্দু এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী কুকি-চিন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। ওই মাসে রাজ্যের সংখ্যাগুরু মেইতেই জাতিগোষ্ঠীকে ‘তফসিলি’ জাতি হিসেবে ঘোষণা করে মণিপুর হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ভারতের সংবিধান অনুসারে সরকারি চাকরি এবং ভারতের জাতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মেইতেইদের জন্য কোটা ব্যবস্থা চালুর নির্দেশও দেন আদালত।

আদালতের এই আদেশে ক্ষুব্ধ হয় রাজ্যটির সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী কুকি এবং সেই দিন থেকেই প্রতিবাদ শুরু হয় রাজধানী ইম্ফলসহ বিভিন্ন এলাকায়। অল্পসময়ের মধ্যেই জাতিগত সংঘাত শুরু হয় ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যটিতে।

বিগত কয়েক মাস খানিকটা থিতিয়ে এলেও সম্প্রতি ফের তীব্র রূপ নিয়েছে সংঘাত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গত ১০ সেপ্টেম্বর ৫ দিনের জন্য রাজ্যজুড়ে সব ধরনের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছিল সরকার। গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে অবশ্য ফের স্বাভাবিক হয়েছে ইন্টারনেট।

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যটিতে গত প্রায় দেড় বছরের সহিংসতায় উভয় সম্প্রদায়ের নিহত হয়েছেন অন্তত ২২৫ জন এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ।

মণিপুরে শান্তি ফেরাতে জাতিগোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে সংলাপে নয়াদিল্লি

আপডেট সময় ০৮:৪১:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে সংঘাতে জর্জরিত মণিপুর রাজ্যে শান্তি ফেরাতে সেখানে বসবাসরত বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে নয়াদিল্লি। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

অমিত শাহ বলেন, “সব পক্ষ যদি একটি সমঝোতায় পৌঁছায়, শুধু তাহলেই (মণিপুরে) শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনা সম্ভব। সংলাপের মাধ্যেমে আমরা সেই চেষ্টাটিই করছি এবং আশা করছি যে আমরা সফল হবো।”

মণিপুর রাজ্য সরকারে বর্তমানে রয়েছে বিজেপি। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিরা সংলাপে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন অমিত শাহ।

জাতিগত বৈচিত্রে ভরপুর মণিপুরে গত বছর মে মাস থেকে মেইতেই সম্প্রদায়ের হিন্দু এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী কুকি-চিন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। ওই মাসে রাজ্যের সংখ্যাগুরু মেইতেই জাতিগোষ্ঠীকে ‘তফসিলি’ জাতি হিসেবে ঘোষণা করে মণিপুর হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ভারতের সংবিধান অনুসারে সরকারি চাকরি এবং ভারতের জাতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মেইতেইদের জন্য কোটা ব্যবস্থা চালুর নির্দেশও দেন আদালত।

আদালতের এই আদেশে ক্ষুব্ধ হয় রাজ্যটির সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী কুকি এবং সেই দিন থেকেই প্রতিবাদ শুরু হয় রাজধানী ইম্ফলসহ বিভিন্ন এলাকায়। অল্পসময়ের মধ্যেই জাতিগত সংঘাত শুরু হয় ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যটিতে।

বিগত কয়েক মাস খানিকটা থিতিয়ে এলেও সম্প্রতি ফের তীব্র রূপ নিয়েছে সংঘাত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গত ১০ সেপ্টেম্বর ৫ দিনের জন্য রাজ্যজুড়ে সব ধরনের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছিল সরকার। গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে অবশ্য ফের স্বাভাবিক হয়েছে ইন্টারনেট।

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যটিতে গত প্রায় দেড় বছরের সহিংসতায় উভয় সম্প্রদায়ের নিহত হয়েছেন অন্তত ২২৫ জন এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ।