মেধাবী কিশোর তারভীর মুহাম্মদ ত্বকীর হত্যার ঘটনাস্থল পুনরায় পরিদর্শন করেছে তদন্তকারী সংস্থ্যা র্যাব।
আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় প্রথমে শহরের কলেজ রোড এলাকার আল্লামা ইকবাল রোডের যে স্থানে উইনার ফ্যাশন অবস্থিত ছিল সে স্থান এবং পরে কুমুদিনীর শাখা খাল পরিদর্শন করে র্যাব। যেখান থেকে ত্বকীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
পরিদর্শন শেষে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, ২০১৩ সালে ত্বকী হত্যা করা হয়। দীর্ঘদিন যাবৎ মামলাটির তদন্তভার র্যাবের কাছে রয়েছে। তদন্তের শুরুতে বেশ অগ্রগতি থাকলেও মাঝে কিছুদিন স্থবির থাকার পর এখন পুনরায় তদন্ত গতি পেয়েছে। এর অন্যতম প্রধান কারণ র্যাব হেড কোয়ার্টার থেকে আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি।
তদন্ত ও গোয়েন্দা শাখা আমাদের সহযোগিতা করছে। সম্প্রতি আমরা ৫জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হতে পেরেছি। তাদের মধ্যে একজন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তার জবানবন্দিতে ও অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ত্বকীকে যেখান থেকে অপহরণ, হত্যা ও পরবর্তীতে যেখানে তার লাশ ফেলা হয় এবং পাওয়া যায়। এমন প্রত্যেকটি জায়গা আমরা পরিদর্শন করছি তদন্তের স্বার্থে। এই মামলার তদন্ত অফিসার, সহকারীসহ আমরা সকলে স্থানগুলো পরিদর্শন করে দেখছি। আশাকরি, খুব দ্রæত সুষ্ঠু রিপোর্ট দিতে পারবো।
গ্রেপ্তারকৃতদের দেয়া তথ্যের সাথে ঘটনাস্থালের মিল পাচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, উইনার ফ্যাশনের ভবনটি এখন আর নেই। যদিও সে সংক্রান্ত তথ্য এর আগের তদন্তে বিস্তারিত দেয়া আছে। তারপরও সে সময়ে তদন্তকারী কর্মকর্তারা এখানে কেউ না থাকায় আমরা ঘটনাস্থল দেখছি। ওই সময়ের যারা আছেন বা আশেপাশে যারা ছিলেন প্রতিবেশী, দোকানী, স্থানীয়দের কাছ থেকে আমরা তথ্য নিয়েছি।
একইসাথে গ্রেপ্তারকৃতদের দেয়া তথ্যের সাথে ঘটনাস্থ মিলিয়ে দেখছি। ঘরের লোকেশন কেমন ছিল, কোন ঘর থেকে কোন ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এসব বিষয়ে আমরা মিল পেয়েছি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন র্যাব-১১ এর উপ-অধিনায়ক মেজর সাকিব, উপ-পরিচালক মেজর অনাবিল ইমাম, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহাবুদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার সনদ বড়ুয়া।