গণবিপ্লবের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতেই থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফার্স্টপোস্টকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে লঙ্কান প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন।
সাক্ষাৎকারে তাকে শেখ হাসিনা ইস্যু ও বাংলাদেশ-ভারতের করণীয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে বিক্রমাসিংহে বলেন, “প্রথমে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা ফেরাতে হবে— মানুষকে প্রথমে আস্থা দিতে হবে। শেখ হাসিনার বিষয়টি রাজনৈতিক ইস্যু। এ ব্যাপারে রাজনৈতিকভাবেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অনেক নেতা নিজ দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যান। এরপর তারা বিদেশেই থাকেন। আমি এখন প্রাধান্য দেবে… বাংলাদেশ যেন স্থিতিশীল থাকে।”
তিনি আরও বলেছেন, “যদি হাসিনা দেশের বাইরে থাকে। তাহলে তাকে বাইরেই থাকতে দিন। আমি মনে করি স্থিতিশীলতা দ্রুত ফিরতে হবে। সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমরা সবাই চাই বাংলাদেশ স্বাভাবিকতার উপর নজর দেবে এবং দেশ কীভাবে চালাবে সেখানে সাধারণ মানুষকে যুক্ত করুক।”
২০২২ সালে শ্রীলঙ্কায়ও বাংলাদেশের মতো গণবিপ্লব হয়। সাধারণ মানুষের রোষে পড়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজপক্ষে দেশ ছেড়ে পালান। এরপর প্রেসিডেন্ট হন রনিল বিক্রমাসিংহে। আগামী শনিবার দেশটিতে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। এতে নিজের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে পারবেন রনিল।
ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছে, হাসিনাকে ফেরানোর প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। তবে এটি কতদূর এগিয়েছে সেটি নিশ্চিত নয়।
এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, এ মুহূর্তে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন হাসিনা। এছাড়া দিল্লির অন্যতম অভিজাত পার্ক লোদি গার্ডেনেও ঘুরতে দেখা গেছে সাবেক এই স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রীকে।