ঢাকা , রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সুশীল সমাজের সমালোচনার ঝড়

মাধবপুরে নারীদের পাকা খাদ্যবস্তু ফলের সাথে তুলনায় ইউএনও’র বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড়

হবিগঞ্জের মাধবপুরে কন্যা শিশু দিবসে ইউএনও একেএম ফয়সালের মেয়েদের নিয়ে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করায় এলাকায় নিন্দার ঝড় বইছে। সে সময় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নারী কর্মকর্তারা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) উপজেলার সেমিনার কক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অফিস কর্তৃক আয়োজিত শিশু কন্যা দিবস উপলক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনও একেএম ফয়সাল।

তিনি বক্তব্যের এক পর্যায়ে বাল্যবিবাহ সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, ফল যেমন পরিপক্ক হলে খেতে হয় মেয়েদের বেলাও তাই অর্থাৎ বিয়ের ক্ষেত্রে । ফল পাকলে যেমন খেতে হয়। বিয়েও সময় মত দিতে হয়। তার বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ প্রতিবেদকের এর কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। এছাড়া কয়েকজনের ফেইসবুক লাইভেও বক্তব্যটি ব্যাপক প্রচার পেয়েছে।

নারীদের পাকা খাদ্যবস্তু ফলের সাথে তুলনা করা হয় সুশীল সমাজের সমালোচনার ঝড় বইছে। একইভাবে কয়েক বছর আগেও জনৈক আলেম কর্তৃক মেয়েদেরকে তেঁতুলের সাথে তুলনা করায় যেভাবে সমালোচনার ঝড় হয়েছিল ইউএনওর সে ক্ষেত্রেও একই মানসিকতার প্রকাশ বলছেন অনেকে।

এসব ছাড়াও ইউএনও একেএম ফয়সাল তার বক্তব্যে ভালো ভালো কথাও বলেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নারীদের অসামান্য অবদানসহ ও নারীদের ভূষসী প্রশংসা করেন।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলছেন,বাল্যবিবাহে নিরুৎসাহিত করতে তিনি খাদ্যবস্তুর সাথে মেয়েদের তুলনা করেন। পাকলে সেগুলা খাওয়ার কথা বলেন।তাহলে তো অনেক ফল টক অনেক টক ফল না পাকলেও কাঁচা অবস্থায় লবণ মরিচ দিয়ে খাওয়া যায়। সেই ক্ষেত্রে তিনি কি ব্যাখা দেবেন।

হবিগঞ্জের মানবাধিকার বিউটি আক্তার বলেন, উদাহরণ প্রয়োগের ক্ষেত্রেও নারী সমাজকে অবজ্ঞা করা যাবে না। নারীরা ভোগ্যপূন্য নয় তারা কোন ফল ফুল নয়। আমি এই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে ইউএনও একেএম ফয়সালকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

সুশীল সমাজের সমালোচনার ঝড়

মাধবপুরে নারীদের পাকা খাদ্যবস্তু ফলের সাথে তুলনায় ইউএনও’র বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড়

আপডেট সময় ০৮:০৯:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হবিগঞ্জের মাধবপুরে কন্যা শিশু দিবসে ইউএনও একেএম ফয়সালের মেয়েদের নিয়ে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করায় এলাকায় নিন্দার ঝড় বইছে। সে সময় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নারী কর্মকর্তারা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) উপজেলার সেমিনার কক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অফিস কর্তৃক আয়োজিত শিশু কন্যা দিবস উপলক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনও একেএম ফয়সাল।

তিনি বক্তব্যের এক পর্যায়ে বাল্যবিবাহ সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, ফল যেমন পরিপক্ক হলে খেতে হয় মেয়েদের বেলাও তাই অর্থাৎ বিয়ের ক্ষেত্রে । ফল পাকলে যেমন খেতে হয়। বিয়েও সময় মত দিতে হয়। তার বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ প্রতিবেদকের এর কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। এছাড়া কয়েকজনের ফেইসবুক লাইভেও বক্তব্যটি ব্যাপক প্রচার পেয়েছে।

নারীদের পাকা খাদ্যবস্তু ফলের সাথে তুলনা করা হয় সুশীল সমাজের সমালোচনার ঝড় বইছে। একইভাবে কয়েক বছর আগেও জনৈক আলেম কর্তৃক মেয়েদেরকে তেঁতুলের সাথে তুলনা করায় যেভাবে সমালোচনার ঝড় হয়েছিল ইউএনওর সে ক্ষেত্রেও একই মানসিকতার প্রকাশ বলছেন অনেকে।

এসব ছাড়াও ইউএনও একেএম ফয়সাল তার বক্তব্যে ভালো ভালো কথাও বলেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নারীদের অসামান্য অবদানসহ ও নারীদের ভূষসী প্রশংসা করেন।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলছেন,বাল্যবিবাহে নিরুৎসাহিত করতে তিনি খাদ্যবস্তুর সাথে মেয়েদের তুলনা করেন। পাকলে সেগুলা খাওয়ার কথা বলেন।তাহলে তো অনেক ফল টক অনেক টক ফল না পাকলেও কাঁচা অবস্থায় লবণ মরিচ দিয়ে খাওয়া যায়। সেই ক্ষেত্রে তিনি কি ব্যাখা দেবেন।

হবিগঞ্জের মানবাধিকার বিউটি আক্তার বলেন, উদাহরণ প্রয়োগের ক্ষেত্রেও নারী সমাজকে অবজ্ঞা করা যাবে না। নারীরা ভোগ্যপূন্য নয় তারা কোন ফল ফুল নয়। আমি এই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে ইউএনও একেএম ফয়সালকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।