যুক্তরাষ্ট্র ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় হেলেন। এতে অন্তত ১০০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া এর প্রভাবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬০০ ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গতকাল সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে হারিকেন হেলেনের প্রভাবে নিহত বেড়ে ১০০ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে এ সংখ্যা বেড়ে ৬০০ জনের মতো হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন এক উধ্বর্তন কর্মকর্তা।
হোয়াইট হাউজের স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা লিজ শেরউড রান্ডাল বলেন, আমাদের কাছে থাকা বর্তমান তথ্যানুসারে হেলেনের প্রভাবে ৬০০ জনের মতো প্রাণহানি হতে পারে। তবে প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই।
তিনি বলেন, আমার জানামতে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬০০ জন হয়তো প্রাণ হারিয়েছেন অথবা তারা হিসাবের বাইরে রয়েছেন।
মার্কিন এ কর্মকর্তা জানান, উদ্ধারকর্মীরা এখন পর্যন্ত উত্তর ক্যারোলাইনা থেকে ৩৯ জন, দক্ষিণ ক্যারোলাইনা থেকে ২৫ জন, জর্জিয়া থেকে ১৭ জন, ফ্লোরিডা থেকে ১৪ জন, টেনসি থেকে চারজন এবং ভার্জিনিয়া থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন।
পৃথক এক অনুষ্ঠানে হেলেনকে ভয়াবহ বিধ্বংসী বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, এমন বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আমি আমার জীবনে খুব কম দেখেছি। নিখোঁজদের উদ্ধার ও আক্রান্তদের ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া যোগাযোগব্যবস্থাও স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া চলছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছি।
তিনি জানান, চলতি সপ্তাহে আক্রান্ত ৬ অঙ্গরাজ্য সফর করবেন। নর্থ ক্যারোলাইনা দিয়ে এ সফর শুরু হবে। হেলেনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে এ রাজ্যটির।
মার্কিন আবহাওয়া বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে বিধ্বংসী ক্ষমতার দিক দিয়ে ১৪তম এবং প্রশস্ততার দিক দিয়ে তৃতীয়। ফ্লোরিয়ায় আঘাত হানার সময় এর পরিধি ছিল ৬৭৫ কিলোমিটার।
হারিকেনের প্রভাবে ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, টেনেসি, উত্তর ক্যারোলাইনা এবং দক্ষিণ ক্যারোলাইনার অধিকাংশ এলাকায় ভারি বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া ও আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছিল। তবে গত কয়েকদিনে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।