ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অসাধারণ সুন্দর প্রাকৃতিক প্রস্রবণ

যাকে বলে ‘পৃথিবীর চোখ’ জানলে চমকে যাবেন

প্রতিটি প্রাণীর যেমন চোখ রয়েছে। সেই চোখ দিয়ে তারা পৃথিবীর বিভিন্ন সৌন্দর্য উপভোগ করেন। চোখ হল এমন একটি অংশ যার মাধ্যমে প্রাণীজগতের জীবনযাপন হয়। তবে জানেন কী পৃথিবীর একটি চোখ রয়েছে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। কোথায় রয়েছে এই চোখ।

জানা গেছে ‘পৃথিবীর চোখ’ ক্রোয়েশিয়ার একটি অসাধারণ সুন্দর প্রাকৃতিক প্রস্রবণ । এই প্রস্রবণটি ইউরোপের ডালমাসিয়া অঞ্চলের দীর্ঘতম নদী সেটিনার উৎসস্থল। এই নদীটি অ্যাড্রিয়াটিক সাগরে প্রবেশের আগে প্রায় ৬৫ মাইল পথ অতিক্রম করে। নদীটি ক্রোয়েশিয়ার সর্বোচ্চ পর্বতমালা দিনারার পাদদেশ দিয়ে বয়ে চলেছে। নীল এবং সবুজ রঙের বিভিন্ন শেডের চোখের মণির সঙ্গে অত্যন্ত সাদৃশ্য থাকার কারণে এই প্রস্রবণটি-কে ‘পৃথিবীর চোখ’ বলা হয়।

এই জায়গাটি সকল পর্যটকের কাছে একটি অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। পৃথিবীর এই চোখ দেখতে সারাবছরই এখানে ভিড় জমান পর্যটকরা। শুধু তাই নয়, যারা সাঁতারে দক্ষ তারা পৃথিবীর চোখে নেমে স্নানও করে নিতে পারেন। তবে স্নান করার জন্য এখানে পর্যটকরা চোখের উপরেই সাঁতার কাটেন। এর মাঝখানে একটি গভীর অংশ রয়েছে সেখানে যাওয়ার সাহস কিন্তু মানুষ খুব একটা দেখান না।

এর পাশেই রয়েছে একটি ছোটো গ্রাম। রয়েছে একটি বিখ্যাত চার্চ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন নয়ের দশকে এই চার্চটি তৈরি হয়েছিল। স্থানীয় প্রবাদ অনুসারে এই চার্চ নাকি রক্ষা করে পৃথিবীর এই চোখকে। তাই যদি মনে করেন পৃথিবীর চোখ দেখতে যাবেন তাহলে এখানে যাওয়া যেতেই পারে। তবে এটা মনে রাখবেন পৃথিবীর চোখ বলে কথা, কোনও আঁচড় যেন না লাগে। তাহলেই কিন্তু সর্বনাশ।

জনপ্রিয় সংবাদ

অসাধারণ সুন্দর প্রাকৃতিক প্রস্রবণ

যাকে বলে ‘পৃথিবীর চোখ’ জানলে চমকে যাবেন

আপডেট সময় ০৬:৩৪:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

প্রতিটি প্রাণীর যেমন চোখ রয়েছে। সেই চোখ দিয়ে তারা পৃথিবীর বিভিন্ন সৌন্দর্য উপভোগ করেন। চোখ হল এমন একটি অংশ যার মাধ্যমে প্রাণীজগতের জীবনযাপন হয়। তবে জানেন কী পৃথিবীর একটি চোখ রয়েছে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। কোথায় রয়েছে এই চোখ।

জানা গেছে ‘পৃথিবীর চোখ’ ক্রোয়েশিয়ার একটি অসাধারণ সুন্দর প্রাকৃতিক প্রস্রবণ । এই প্রস্রবণটি ইউরোপের ডালমাসিয়া অঞ্চলের দীর্ঘতম নদী সেটিনার উৎসস্থল। এই নদীটি অ্যাড্রিয়াটিক সাগরে প্রবেশের আগে প্রায় ৬৫ মাইল পথ অতিক্রম করে। নদীটি ক্রোয়েশিয়ার সর্বোচ্চ পর্বতমালা দিনারার পাদদেশ দিয়ে বয়ে চলেছে। নীল এবং সবুজ রঙের বিভিন্ন শেডের চোখের মণির সঙ্গে অত্যন্ত সাদৃশ্য থাকার কারণে এই প্রস্রবণটি-কে ‘পৃথিবীর চোখ’ বলা হয়।

এই জায়গাটি সকল পর্যটকের কাছে একটি অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। পৃথিবীর এই চোখ দেখতে সারাবছরই এখানে ভিড় জমান পর্যটকরা। শুধু তাই নয়, যারা সাঁতারে দক্ষ তারা পৃথিবীর চোখে নেমে স্নানও করে নিতে পারেন। তবে স্নান করার জন্য এখানে পর্যটকরা চোখের উপরেই সাঁতার কাটেন। এর মাঝখানে একটি গভীর অংশ রয়েছে সেখানে যাওয়ার সাহস কিন্তু মানুষ খুব একটা দেখান না।

এর পাশেই রয়েছে একটি ছোটো গ্রাম। রয়েছে একটি বিখ্যাত চার্চ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন নয়ের দশকে এই চার্চটি তৈরি হয়েছিল। স্থানীয় প্রবাদ অনুসারে এই চার্চ নাকি রক্ষা করে পৃথিবীর এই চোখকে। তাই যদি মনে করেন পৃথিবীর চোখ দেখতে যাবেন তাহলে এখানে যাওয়া যেতেই পারে। তবে এটা মনে রাখবেন পৃথিবীর চোখ বলে কথা, কোনও আঁচড় যেন না লাগে। তাহলেই কিন্তু সর্বনাশ।