ঢাকা , মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কে এই নাঈম কাশেম

লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান হিসেবে নির্বাচিত

লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর উপপ্রধান নাঈম কাশেম দলটির নতুন প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। গত ৩০ বছর ধরে হিজবুল্লাহর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা নাঈম কাশেমকে আজ মঙ্গলবার নতুন প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেছে হিজবুল্লাহ।

সাবেক প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ গত ২৭ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলি হামলায় নিহত হওয়ার পর ৮ অক্টোবর টেলিভিশনে ভাষণ দেন নাঈম কাশেম। ওই সময় তিনি জানান, ইসরায়েলের হামলায় তারা কয়েকটি ‘বেদনাদায়ক ধাক্কা’ খেলেও তাদের সামরিক সক্ষমতা অক্ষত রয়েছে।

এছাড়া ওই সময় তিনি জানান লেবাননের সংসদের স্পিকার নাবিহ বেরি দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে হিজবুল্লাহর যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চালাচ্ছেন। যদি তার এই প্রচেষ্টা সফল হয় তাহলে ভালো। আর নয়ত ইসরায়েলের সঙ্গে তারা যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন। ওইদিনই প্রথমবারের মতো গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া শুধুমাত্র হিজবুল্লাহ-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির কথা বলেন তিনি।

নাঈম কাশেমের পরিচয়

১৯৯১ সালে নাঈম কাশেমকে উপপ্রধান হিসেবে নিযুক্ত করেন হিজবুল্লাহর তৎকালীন প্রধান আব্বাস আল-মুসাওয়ি। এর পরের বছর ইসরায়েলের হেলিকপ্টার হামলায় প্রাণ হারান আব্বাস

তার মৃত্যুর পর হাসান নাসরুল্লাহ হিজবুল্লাহর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর নাঈম কাশেম উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। তিনি গত এক বছর ধরে হিজবুল্লাহর অন্যতম মুখপাত্র হিসেবেও কাজ করে যাচ্ছেন। বিদেশি সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় তিনিই কথা বলেন।

লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর উপপ্রধান নাঈম কাশেম দলটির নতুন প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। গত ৩০ বছর ধরে হিজবুল্লাহর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা নাঈম কাশেমকে আজ মঙ্গলবার নতুন প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেছে হিজবুল্লাহ।

নাঈম কাশেম ১৯৫৩ সালে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন শিয়াদের আমল আন্দোলনের মাধ্যমে। ১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের পর তিনি আমল আন্দোলন থেকে সরে আসেন।

১৯৮২ সালে ইসরায়েল লেবাননে হামলা চালানোর পর ইরানের বিপ্লবী গার্ডের সহায়তায় তৈরি হয় হিজবুল্লাহ। যেসব বৈঠকের মাধ্যমে হিজবুল্লাহর জন্ম হয়েছিল সেগুলোতে উপস্থিত ছিলেন নাঈম কাশেম।

১৯৯২ সালে লেবাননে প্রথমবার সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয় হিজবুল্লাহ। ওই সময় থেকেই দলটির নির্বাচনী সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন নাঈম কাশেম।

তিনি ২০০৫ সালে হিজবুল্লাহর ইতিহাস নিয়ে একটি বই লেখেন। যার মাধ্যমে গোষ্ঠীটির অনেক বিরল ও অজানা তথ্য জানা যায়। নাঈম কাশেম মাথায় সাদা পাগড়ি পরেন। অপরদিকে সাবেক প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ কারো পাগড়ি পরতেন।

সূত্র: রয়টার্স

জনপ্রিয় সংবাদ

কে এই নাঈম কাশেম

লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান হিসেবে নির্বাচিত

আপডেট সময় ০৪:৫৪:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর উপপ্রধান নাঈম কাশেম দলটির নতুন প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। গত ৩০ বছর ধরে হিজবুল্লাহর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা নাঈম কাশেমকে আজ মঙ্গলবার নতুন প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেছে হিজবুল্লাহ।

সাবেক প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ গত ২৭ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলি হামলায় নিহত হওয়ার পর ৮ অক্টোবর টেলিভিশনে ভাষণ দেন নাঈম কাশেম। ওই সময় তিনি জানান, ইসরায়েলের হামলায় তারা কয়েকটি ‘বেদনাদায়ক ধাক্কা’ খেলেও তাদের সামরিক সক্ষমতা অক্ষত রয়েছে।

এছাড়া ওই সময় তিনি জানান লেবাননের সংসদের স্পিকার নাবিহ বেরি দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে হিজবুল্লাহর যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চালাচ্ছেন। যদি তার এই প্রচেষ্টা সফল হয় তাহলে ভালো। আর নয়ত ইসরায়েলের সঙ্গে তারা যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন। ওইদিনই প্রথমবারের মতো গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া শুধুমাত্র হিজবুল্লাহ-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির কথা বলেন তিনি।

নাঈম কাশেমের পরিচয়

১৯৯১ সালে নাঈম কাশেমকে উপপ্রধান হিসেবে নিযুক্ত করেন হিজবুল্লাহর তৎকালীন প্রধান আব্বাস আল-মুসাওয়ি। এর পরের বছর ইসরায়েলের হেলিকপ্টার হামলায় প্রাণ হারান আব্বাস

তার মৃত্যুর পর হাসান নাসরুল্লাহ হিজবুল্লাহর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর নাঈম কাশেম উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। তিনি গত এক বছর ধরে হিজবুল্লাহর অন্যতম মুখপাত্র হিসেবেও কাজ করে যাচ্ছেন। বিদেশি সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় তিনিই কথা বলেন।

লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর উপপ্রধান নাঈম কাশেম দলটির নতুন প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। গত ৩০ বছর ধরে হিজবুল্লাহর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা নাঈম কাশেমকে আজ মঙ্গলবার নতুন প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেছে হিজবুল্লাহ।

নাঈম কাশেম ১৯৫৩ সালে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন শিয়াদের আমল আন্দোলনের মাধ্যমে। ১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের পর তিনি আমল আন্দোলন থেকে সরে আসেন।

১৯৮২ সালে ইসরায়েল লেবাননে হামলা চালানোর পর ইরানের বিপ্লবী গার্ডের সহায়তায় তৈরি হয় হিজবুল্লাহ। যেসব বৈঠকের মাধ্যমে হিজবুল্লাহর জন্ম হয়েছিল সেগুলোতে উপস্থিত ছিলেন নাঈম কাশেম।

১৯৯২ সালে লেবাননে প্রথমবার সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয় হিজবুল্লাহ। ওই সময় থেকেই দলটির নির্বাচনী সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন নাঈম কাশেম।

তিনি ২০০৫ সালে হিজবুল্লাহর ইতিহাস নিয়ে একটি বই লেখেন। যার মাধ্যমে গোষ্ঠীটির অনেক বিরল ও অজানা তথ্য জানা যায়। নাঈম কাশেম মাথায় সাদা পাগড়ি পরেন। অপরদিকে সাবেক প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ কারো পাগড়ি পরতেন।

সূত্র: রয়টার্স