ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
চলছে দুর্নীতি ও নানা রকম তালবাহানা

মিরসরাইয়ের মসজিদিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার হিসাবে গড়মিল

মিরসরাইয়ের মসজিদিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার হিসাবে গড়মিল এবং কমিটি নিয়ে চলছে দুর্নীতি ও নানা রকম তালবাহানা।

চট্রগ্রাম মিরসরাইয়ের ১২ নং খৈয়াচড়া ইউনিয়নের মসজিদিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার কমিটির বিরুদ্ধে নানা রকম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায় বিগত ২২-২৩ অর্থ বছরে হিসাবের ব্যাপক গড়মিল, মাদ্রাসার কোষাধ্যক্ষ আবদুল ওয়াহাব প্রকাশ হাতিয়া হুজুর দায়িত্বে থাকাকালীন অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে।

সর্বশেষ ২৮/০২/২০২৪ইং আমেলা কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা যায় প্রায় ৫-৭ লক্ষ টাকা গড়মিল পাওয়া যায়। বাধ্য হয়ে আমেলা কমিটি কোষাধ্যক্ষ আবদুল ওয়াহাব প্রকাশ হাতিয়া হুজুরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়।

কিন্তু দায়িত্ব থেকে তিনি না সরে গত ১৯/০৩/২০২৪ইং তারিখে অভিভাবক সম্মেলন কক্ষে মহিলাদেরকে একত্রিত করে নূরানী বিভাগকে আলাদা মাদ্রাসা ঘোষনা দিয়ে আলাদা কমিটি ঘোষনা করেন। যা কওমী মাদ্রাসার শৃঙ্খলা ও সংবিধান পরিপন্থি। পরবর্তীতে ৩০/০৪/২০২৪ইং তারিখে কওমী মাদ্রাসার নীতি নির্ধারনী ফোরাম মজলিসে সুরাহা বৈঠকে নূরানী বিভাগের প্রধান শিক্ষক আবদুর ওয়াহাবকে মাদ্রাসার সকল দায়িত্ব থেকে চিরস্থায়ী ভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং তিনি মাদ্রাসার বিরুদ্ধে কোনো অপপ্রচার করবে না বলে অব্যাহতি নামায় স্বাক্ষর করেন।

এরপর থেকে তিনি মাদ্রসার সাথে একের পর এক সড়যন্ত্র করে যাচ্ছে যার মধ্যে মাদ্রাসার বর্তমান পরিচালক মাওলানা জাফর উল্যাকে ২ নং আসামী করে মাদ্রাসার শুভাকাঙ্খীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে গ্রাম ছাড়া করে রেখেছিল গত ১৮/০৫/২০২৪ইং তারিখে।

সর্বশেষ বনানী থানায় ১টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন আসিফুর রহমান নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী দিয়ে। যার মামলা নং ২৫/১৩৬। এই মামলায় ১ নং বিবাদী করেন ১২ নং খৈয়াছরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহফুজুল আলম জুনু, ২ নং বিবাদী করে মাওলানা জাফর উল্যা নিজামীকে।

এই মামলায় প্রায় ৭ জনকে বিবাদী করা হয়। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, ৭ জন বিবাদী বেআইনী জনতাবদ্ধে আবদ্ধ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট ও হুমকী প্রদর্শন পূর্বক অপরাধ করেছে বলে মর্মে মামলা দায়ের করেন।

এই বিষয়ে ভুক্তভোগী মাওলানা জাফর উল্যা নিজামী জাতীয় দৈনিক ডেসটিনিক সংবাদ কে জানান কোষাধ্যক্ষ আবদুল ওয়াহাব আমাদের মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ করা ও জালিয়াতি করে যে অর্থ আত্মসাৎ করেছে তার শাস্তি মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সে থেকে আমার বিরুদ্ধে নানা রকম সড়যন্ত্র করে আসছে।

মাদ্রাসার ফান্ড থেকে টাকা নিয়ে ১২ শতক জমি ক্রয় করছিল ইউছুফ সাহেব। আবার ইউসুফ সাহেব মাদ্রাসার মতোয়াল্লী দাবি করে আসছেন। সর্বপুরি মাদ্রাসা গুলো নিয়ে চলছে নানা রকম সড়যন্ত্র। বিষয়গুলে নিয়ে অভিযুক্ত আবদুল ওয়াহাব এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জাতীয় দৈনিক ডেসটিনি সংবাদকে জানান তার বিরুদ্ধে সড়যন্ত্র করে মাদ্রাসা থেকে তাকে সরিয়ে দিয়েছে।

আমি কোনো অর্থ আত্মসাৎ করিনি বা কারো বিরুদ্ধে কোনো মামলাও করিনি। মাদ্রসার মতোয়াল্লীর বিষয় নিয়ে এলাকার স্থানীয়রা জানায় মাদ্রাসার ১২ শতক জমি মাদ্রাসার ফান্ড থেকে টাকা দিয়ে ইউছুফ সাহেবের নামে খরিদ করেন। পরে তিনি এই ১২ শতক জায়গা মাদ্রাসার নামে দানপত্র করেন।

চলছে দুর্নীতি ও নানা রকম তালবাহানা

মিরসরাইয়ের মসজিদিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার হিসাবে গড়মিল

আপডেট সময় ০৮:৩৯:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

মিরসরাইয়ের মসজিদিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার হিসাবে গড়মিল এবং কমিটি নিয়ে চলছে দুর্নীতি ও নানা রকম তালবাহানা।

চট্রগ্রাম মিরসরাইয়ের ১২ নং খৈয়াচড়া ইউনিয়নের মসজিদিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার কমিটির বিরুদ্ধে নানা রকম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায় বিগত ২২-২৩ অর্থ বছরে হিসাবের ব্যাপক গড়মিল, মাদ্রাসার কোষাধ্যক্ষ আবদুল ওয়াহাব প্রকাশ হাতিয়া হুজুর দায়িত্বে থাকাকালীন অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে।

সর্বশেষ ২৮/০২/২০২৪ইং আমেলা কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা যায় প্রায় ৫-৭ লক্ষ টাকা গড়মিল পাওয়া যায়। বাধ্য হয়ে আমেলা কমিটি কোষাধ্যক্ষ আবদুল ওয়াহাব প্রকাশ হাতিয়া হুজুরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়।

কিন্তু দায়িত্ব থেকে তিনি না সরে গত ১৯/০৩/২০২৪ইং তারিখে অভিভাবক সম্মেলন কক্ষে মহিলাদেরকে একত্রিত করে নূরানী বিভাগকে আলাদা মাদ্রাসা ঘোষনা দিয়ে আলাদা কমিটি ঘোষনা করেন। যা কওমী মাদ্রাসার শৃঙ্খলা ও সংবিধান পরিপন্থি। পরবর্তীতে ৩০/০৪/২০২৪ইং তারিখে কওমী মাদ্রাসার নীতি নির্ধারনী ফোরাম মজলিসে সুরাহা বৈঠকে নূরানী বিভাগের প্রধান শিক্ষক আবদুর ওয়াহাবকে মাদ্রাসার সকল দায়িত্ব থেকে চিরস্থায়ী ভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং তিনি মাদ্রাসার বিরুদ্ধে কোনো অপপ্রচার করবে না বলে অব্যাহতি নামায় স্বাক্ষর করেন।

এরপর থেকে তিনি মাদ্রসার সাথে একের পর এক সড়যন্ত্র করে যাচ্ছে যার মধ্যে মাদ্রাসার বর্তমান পরিচালক মাওলানা জাফর উল্যাকে ২ নং আসামী করে মাদ্রাসার শুভাকাঙ্খীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে গ্রাম ছাড়া করে রেখেছিল গত ১৮/০৫/২০২৪ইং তারিখে।

সর্বশেষ বনানী থানায় ১টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন আসিফুর রহমান নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী দিয়ে। যার মামলা নং ২৫/১৩৬। এই মামলায় ১ নং বিবাদী করেন ১২ নং খৈয়াছরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহফুজুল আলম জুনু, ২ নং বিবাদী করে মাওলানা জাফর উল্যা নিজামীকে।

এই মামলায় প্রায় ৭ জনকে বিবাদী করা হয়। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, ৭ জন বিবাদী বেআইনী জনতাবদ্ধে আবদ্ধ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট ও হুমকী প্রদর্শন পূর্বক অপরাধ করেছে বলে মর্মে মামলা দায়ের করেন।

এই বিষয়ে ভুক্তভোগী মাওলানা জাফর উল্যা নিজামী জাতীয় দৈনিক ডেসটিনিক সংবাদ কে জানান কোষাধ্যক্ষ আবদুল ওয়াহাব আমাদের মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ করা ও জালিয়াতি করে যে অর্থ আত্মসাৎ করেছে তার শাস্তি মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সে থেকে আমার বিরুদ্ধে নানা রকম সড়যন্ত্র করে আসছে।

মাদ্রাসার ফান্ড থেকে টাকা নিয়ে ১২ শতক জমি ক্রয় করছিল ইউছুফ সাহেব। আবার ইউসুফ সাহেব মাদ্রাসার মতোয়াল্লী দাবি করে আসছেন। সর্বপুরি মাদ্রাসা গুলো নিয়ে চলছে নানা রকম সড়যন্ত্র। বিষয়গুলে নিয়ে অভিযুক্ত আবদুল ওয়াহাব এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জাতীয় দৈনিক ডেসটিনি সংবাদকে জানান তার বিরুদ্ধে সড়যন্ত্র করে মাদ্রাসা থেকে তাকে সরিয়ে দিয়েছে।

আমি কোনো অর্থ আত্মসাৎ করিনি বা কারো বিরুদ্ধে কোনো মামলাও করিনি। মাদ্রসার মতোয়াল্লীর বিষয় নিয়ে এলাকার স্থানীয়রা জানায় মাদ্রাসার ১২ শতক জমি মাদ্রাসার ফান্ড থেকে টাকা দিয়ে ইউছুফ সাহেবের নামে খরিদ করেন। পরে তিনি এই ১২ শতক জায়গা মাদ্রাসার নামে দানপত্র করেন।