ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে: সালাহ উদ্দিন আহমেদ

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিদেশে বসে শেখ হাসিনা ও তার বন্ধুরা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। সঙ্গে যুক্ত রয়েছে দেশের ভিতরে বিভিন্ন স্থানে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিস্টদের দোসররা। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা না হবে ততক্ষণ সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।

বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত র‌্যালিপূর্ব সিলেট রেজিস্ট্রারি মাঠে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কারো গরদরাজ্যে পরিণত হওয়ার জন্য স্বাধীনতা লাভ করিনি। অরক্ষিত স্বাধীনতা পরাধীনতার সমান।

তিনি বলেন , ফ্যাসিস্টরা এখন বিএনপির সঙ্গে একাত্ম হয়ে গণতন্ত্র উদ্ধার করতে চায়। এটি সম্ভব নয়। কারণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে গণতন্ত্র মানায় না। তারা অতীতেও বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। তারা সব সময় গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ছিল। যারা গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল, তারা পালিয়ে গেলেও তাদের দেশে এনে গণহত্যার বিচার করা হবে। তারা হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। তাই এদেশে ফ্যাসিবাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। যতদিন পর্যন্ত দেশে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা না হবে ততদিন পর্যন্ত গণতান্ত্রিক সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী এবং মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর যৌথ পরিচালনায় শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউছ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-ক্ষুদ্র ঋণ ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, অ্যাডভোকেট হাদীয় চৌধুরী মুন্নি, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও ড্যাব সিলেট জেলার সভাপতি ডা. নাজমুল ইসলাম, সিলেট জেলা বারের পিপি আশিক উদ্দিন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, দেশের প্রয়োজনে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছিলেন, ঠিক দেশের ক্রান্তিকালে আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান নেতৃত্বে দিয়ে যাচ্ছেন। আগামী দিনের রাষ্ট্র গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

সমাবেশ শেষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহিদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে দলটির কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র‌্যালিতে যোগদান করতে দুপুর থেকে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে রেজিস্ট্রারি মাঠে জড়ো হতে থাকেন।

রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে: সালাহ উদ্দিন আহমেদ

আপডেট সময় ১০:১৫:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিদেশে বসে শেখ হাসিনা ও তার বন্ধুরা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। সঙ্গে যুক্ত রয়েছে দেশের ভিতরে বিভিন্ন স্থানে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিস্টদের দোসররা। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা না হবে ততক্ষণ সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।

বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত র‌্যালিপূর্ব সিলেট রেজিস্ট্রারি মাঠে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কারো গরদরাজ্যে পরিণত হওয়ার জন্য স্বাধীনতা লাভ করিনি। অরক্ষিত স্বাধীনতা পরাধীনতার সমান।

তিনি বলেন , ফ্যাসিস্টরা এখন বিএনপির সঙ্গে একাত্ম হয়ে গণতন্ত্র উদ্ধার করতে চায়। এটি সম্ভব নয়। কারণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে গণতন্ত্র মানায় না। তারা অতীতেও বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। তারা সব সময় গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ছিল। যারা গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল, তারা পালিয়ে গেলেও তাদের দেশে এনে গণহত্যার বিচার করা হবে। তারা হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। তাই এদেশে ফ্যাসিবাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। যতদিন পর্যন্ত দেশে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা না হবে ততদিন পর্যন্ত গণতান্ত্রিক সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী এবং মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর যৌথ পরিচালনায় শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউছ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-ক্ষুদ্র ঋণ ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, অ্যাডভোকেট হাদীয় চৌধুরী মুন্নি, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও ড্যাব সিলেট জেলার সভাপতি ডা. নাজমুল ইসলাম, সিলেট জেলা বারের পিপি আশিক উদ্দিন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, দেশের প্রয়োজনে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছিলেন, ঠিক দেশের ক্রান্তিকালে আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান নেতৃত্বে দিয়ে যাচ্ছেন। আগামী দিনের রাষ্ট্র গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

সমাবেশ শেষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহিদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে দলটির কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র‌্যালিতে যোগদান করতে দুপুর থেকে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে রেজিস্ট্রারি মাঠে জড়ো হতে থাকেন।