ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুৎসা রটানোয় চিরকুট লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা, গ্রেফতার ১

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে কুৎসা রটানোর কারণে মাদ্রাসাছাত্র মাইমুনা আক্তারের (১৫) আত্মহত্যার ঘটনায় দায়ের করা প্ররোচনা মামলায় অভিযুক্ত মো. ওমর রাহিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের জমিদারহাট এলাকা থেকে র‍্যাব তাকে গ্রেফতার করে।

রাত ১১ টার দিকে র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম মোর্শেদ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে ওমর পলাতক ছিল। তাকে গ্রেফতারে আমরা গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করি। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। প্রাথমিকভাবে আসামি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে কমলনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

গ্রেফতার ওমর লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থানায় দায়েরকৃত আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলার আসামি ও একই উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়িনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চরলরেন্স গ্রামের জাকের হোসেনের ছেলে।

নিহত মাইমুনা চরলরেন্স গ্রামের আবুধাবি প্রবাসী মো. মামুনের মেয়ে ও উপজেলার আল আরাফা দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।

র‍্যাব সূত্র জানায়, মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে একই এলাকার ওমর বিভিন্ন সময় মাইমুনাকে উত্ত্যক্ত করতো। ঘটনাটি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে ওমর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। একপর্যায়ে মাইমুনাকে নিয়ে ওমর এলাকায় বিভিন্ন কুৎসা রটায়। ২৩ অক্টোবর সকালে মেয়েকে বাসায় রেখে তার মা কেনাকাটার জন্য স্থানীয় করইতলা বাজারে যায়। এরমধ্যে সে ঘরে গলায় ফাঁস দেয়। ওমরের কুৎসা রটানোর ঘটনা সহ্য করতে না পেরেই সে আত্মহত্যা করে। এরআগে তার মৃত্যুর জন্য ওমরকে দায়ীসহ বিচার দাবি করে চিরকুট লেখে গেছে মাইমুনা। পরে পুলিশ ওই চিরকুটটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মাইমুনার মা বাদী হয়ে কমলনগর থানায় ওমরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

বাংলাদেশকে হারাতে রেকর্ড গড়তে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে

কুৎসা রটানোয় চিরকুট লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা, গ্রেফতার ১

আপডেট সময় ১০:৫২:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে কুৎসা রটানোর কারণে মাদ্রাসাছাত্র মাইমুনা আক্তারের (১৫) আত্মহত্যার ঘটনায় দায়ের করা প্ররোচনা মামলায় অভিযুক্ত মো. ওমর রাহিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের জমিদারহাট এলাকা থেকে র‍্যাব তাকে গ্রেফতার করে।

রাত ১১ টার দিকে র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম মোর্শেদ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে ওমর পলাতক ছিল। তাকে গ্রেফতারে আমরা গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করি। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। প্রাথমিকভাবে আসামি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে কমলনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

গ্রেফতার ওমর লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থানায় দায়েরকৃত আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলার আসামি ও একই উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়িনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চরলরেন্স গ্রামের জাকের হোসেনের ছেলে।

নিহত মাইমুনা চরলরেন্স গ্রামের আবুধাবি প্রবাসী মো. মামুনের মেয়ে ও উপজেলার আল আরাফা দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।

র‍্যাব সূত্র জানায়, মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে একই এলাকার ওমর বিভিন্ন সময় মাইমুনাকে উত্ত্যক্ত করতো। ঘটনাটি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে ওমর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। একপর্যায়ে মাইমুনাকে নিয়ে ওমর এলাকায় বিভিন্ন কুৎসা রটায়। ২৩ অক্টোবর সকালে মেয়েকে বাসায় রেখে তার মা কেনাকাটার জন্য স্থানীয় করইতলা বাজারে যায়। এরমধ্যে সে ঘরে গলায় ফাঁস দেয়। ওমরের কুৎসা রটানোর ঘটনা সহ্য করতে না পেরেই সে আত্মহত্যা করে। এরআগে তার মৃত্যুর জন্য ওমরকে দায়ীসহ বিচার দাবি করে চিরকুট লেখে গেছে মাইমুনা। পরে পুলিশ ওই চিরকুটটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মাইমুনার মা বাদী হয়ে কমলনগর থানায় ওমরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।